বইয়ের নাম: শয়তানের বাইবেল
লেখিকা: দেবদত্তা বন্দ্যোপাধ্যায়
আমার রেটিং : ৯/১০
বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো বই ‘কোডেক্স গিগাস’ বা শয়তানের বাইবেল, যা শয়তানের নিজের হাতে লেখা বলে বিশ্বাস করেন অনেকে, বইটি রয়েছে সুইডেনের লাইব্রেরিতে। এই লেখিকার বই প্রথমবার পড়লাম। থ্রিলার ফ্যান্টাসি আমার বরাবরের প্রিয় বিষয়। বইয়ের নামটা তাই আমাকে আকর্ষণ করেছিল বলে পড়তে শুরু করেছিলাম। আর এক নিঃশ্বাসে তা পড়ে শেষ করলাম।
'কোডেক্স গিগাস' বা 'শয়তানের বাইবেল লেখাই হয়েছিল ঈশ্বরের প্রতি বিতৃষ্ণা থেকে, যে অসহায় লোকজনের সাথে অন্যায় হলেও নাকি ঈশ্বর কোনও প্রতিকার করেন না, কিন্তু শয়তানকে মন থেকে ডাকলেই নাকি সে সাড়া দেয় এবং যে ডাকছে তার ইচ্ছাপূরণ করে, তবে যে ডাকবে তার আত্মা সমর্পণ করতে হয় শয়তানের কাছে। এই বইটা নাকি লেখা হয়েছিল এক রাতের মধ্যে, পশুর চামড়ার উপর লেখা এই বই নাকি কোনোভাবেই নষ্ট হয় না কারণ স্বয়ং শয়তানই নাকি এই বইয়ের রক্ষাকর্তা। এই বইতে রয়েছে প্রচুর জ্ঞানের ভান্ডার, যে কোনো রোগ সারানোর সূত্র রয়েছে এতে, কিন্তু শেষ ২০ টা পাতায় রয়েছে শয়তানকে জাগিয়ে তোলার উপায়। একবার সুইডিশ রাজ পরিবারের কাছে থাকা এই বই ধ্বংস করার হুকুম দেন সুইডেনের রাজা, কারণ তার পরিবারের সদস্য নাকি এই বই পড়া শুরু করেছিল, আর এই বই একবার শুরু করলেই সে শয়তানের বশীভূত হয়ে পড়ে এবং ধীরে ধীরে মৃত্যুবরণ করে। বইটিতে আগুন দিলে সেটি ধ্বংস হয় না কিন্তু লাইব্রেরী সম্পূর্ণরূপে পুড়ে যায় আর শেষ ২০ টি পাতা হয়ে যায় মূল বইটি থেকে আলাদা যা কিনা শয়তানকে পৃথিবীতে ডেকে আনার পাসপোর্ট। একটি পরিবার শত শত বছর ধরে প্রজন্মের পর প্রজন্ম সকলের চোখের আড়ালে লুকিয়ে রেখেছিল সেই বইটিকে। কিন্তু আজও কিছু সিক্রেট সোসাইটি তথা শয়তানের উপাসকরা খুঁজে চলেছে সেই বইটিকে, নাকি সর্ষের মধ্যেই রয়েছে ভূত বইটির হাতবদল হতে থাকা আর রহস্য এবং বিপদের ঘনঘটা বাড়তে থাকে ধীরে ধীরে, কি হয় শেষ পর্যন্ত? থ্রিলার ফ্যান্টাসি পড়তে ভালোবাসেন এমন পাঠকদের বেশ ভালোই লাগবে বইটি।
রিভিউটি লিখেছেনঃ Biswajit
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।