ধৰ্ম্মতত্ত্ব - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় Dharmatattwa by Bankim Chandra Chattopadhyay

ধৰ্ম্মতত্ত্ব - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় Dharmatattwa by Bankim Chandra Chattopadhyay

বই: ধৰ্ম্মতত্ত্ব
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
ডিডাকটিক পদ্ধতিতে আলোচনা (হ্যাঁ, না করে প্রশ্ন করে)

বস্তুতঃ আমাদের দেশে তথা ভারতীয় উপমহাদেশে ধর্ম নিয়ে মারামারি কাটাকাটি দ্বন্দ্ব ব্যবসা জীবনধারণ সবকিছুই হয়। যেকোনো সমস্যার মতোই এই সমস্যা ও সৃষ্টি হয় এই শব্দটিকে কেন্দ্র করে ধর্ম। তো যিনি ইতিবাচক অর্থে ধরে নেন ধর্ম শব্দটির আসল উদ্দেশ্য হল জিজ্ঞাসা তার কোন সমস্যা নেই কিন্তু যিনি এই শব্দের অর্থের মরীচিকার মধ্যে হারিয়ে যান তিনি একটা সময় কোনও কারণে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন।
বঙ্কিমচন্দ্র অনেক আগেই এই কথোপকথনের মাধ্যমে ধর্ম শব্দের অর্থ স্পষ্ট করে দিয়েছেন যেমন- ১ম রিলিজিয়ন-যেমন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ২/ মরালিটি, যেমন ধর্মবিরুদ্ধ ৩/ ভার্চু-ধর্মাত্মা, ন্যায়বান ব্যক্তিকে বলি ৪/ রিলিজিয়ন বা নীতির অনুমোদিত কার্য ৫/ গ্রুপ- যেমন চুম্বকের ধর্ম লোহাকর্ষণ ৬/আচার-ব্যবহার- এই যে একটা একটা করে জীবন থেকে দিন চলে যাচ্ছে অথচ আমরা প্রত্যেকেই কারোর না কারোর স্পষ্ট কিংবা অপ্রতক্ষ্যভাবে কারো না কারো নিয়ন্ত্রণে চলছি।
একদম সহজ কথায় বলতে গেলে যখনই মনে হবে আমরা নানা প্রকার বাঁধনে জড়িত বন্দি তখন সেই অবস্থায় প্রমাণ করে আমরা কোন না কোন ধর্ম পালনে ব্যর্থ হয়েছি। যেমন কারোর কাছে শারীরিকভাবে লড়াইয়ে আত্মসুরক্ষা করতে ব্যর্থ হলে আমরা যে শরীরচর্চা করিনি শরীরের ধর্ম পালন করিনি তার ব্যর্থতা প্রমাণ করে। ঠিক তেমনি শরীরের সুরক্ষা মনের সুরক্ষা সমস্ত কিছু সুরক্ষার জন্যই আমাদের তাদের কিছু নির্দিষ্ট কর্তব্য করা উচিত। সেগুলিকেই আসলে ধর্ম বলে। বঙ্কিমচন্দ্র নাম দিয়েছেন অনুশীলন। সন্তান হয়ে সন্তানের ধর্ম পিতা হয়ে পিতার ধর্ম শিক্ষক হয়ে শিক্ষকের ধর্ম মানুষের ধর্ম হলো পূর্ণ মনুষ্যত্ব অর্জন।
গ্রন্থটি পড়লে কোন প্রকারের একঘেয়েমি লাগবে না বলে আশা করি।

রিভিউটি লিখেছেনঃ অমিত দাস

Post a Comment

0 Comments