বই রোবেঞ্চে
লেখক - দেবঞ্জন মুখোপাধ্যায়
দেবাঞ্জন বাবুর লেখা "বনতন্ত্র" ও "মায়াবিনীর ম্যানিকুইন' বই দুটো আগে পড়েছিলাম, যেখানে উনি সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে উপন্যাস লিখেছিলেন, এবং আমার ব্যক্তিগত ভাবে ভালই লেগেছিল। তাই যখন দেখলাম যে অ্যাডমিন বন্ধুদের সাহায্যে "রোবেঞ্চে উপন্যাস টি পেলাম, সেটা পড়বার আগ্রহ এলো।
উপন্যাস টির সারাংশ দি এবারে। গল্পের পটভূমিকা সিকিম ও নেপালের পার্বত্য এলাকা। গল্পের শুরুতেই কয়েকটি চরিত্রের সাথে আমাদের আলাপ করানো হয়, যেমন ছোট নেপালি কিশোর, নথাং নবু সায়ন্তন, উজি, ফালগুনী, শৌভিক, ইত্যাদি। হঠাৎ এক বিকেলে সিকিমের আকাশ একটা হলুদ আলোয় ভরে ওঠে এবং সেই আলো দেখে স্থানীয় লোকদের বিস্ময় জাগে। কিন্তু নাথাং বুঝতে পারে যে অনেক কাল আগে এক মহামানবের ভবিষ্যত বাণী ফলতে শুরু করেছে। ঠিক একই সময়ে কলকাতা শহরে উজী একটা স্বপ্ন দেখে এক পার্বত্য প্রাসাদের এবং সিনেমার সেট হিসেবে সেটা একরাতের মধ্যে তৈরি করে ফেলে। প্রাসাদ টি রোবেঞ্চে এলাকার যেখানে এখন প্রাসাদের ধ্বংসস্তুপ ও একটি টুরিস্ট পয়েন্ট হিসেবে বিবেচিত হয়। যদিও বেশি চুরিস্ট সেখানে যায় না। ওই স্থানেই বেশ কিছু দুর্ঘটনা ঘটে যেটা অলৌকিক হিসেবে গণ্য হয়। ফালগুনী তার ফিল্মের সেট হিসেবে ও গল্প এর খোঁজে উজি, প্রিয়াঙ্কা সায়ন্তন ও শৌভিক কে নিয়ে রওনা হয় সেই ইতিহাস খোঁজার জন্য। এবং শেষ পর্যন্ত বৌদ্ধ তান্ত্রিকের সাহায্যে রোবেঞ্জে এর অভিশাপ মুক্ত করে।
লেখক এই গল্পে প্রচুর চরিত্র নিয়ে এসেছেন, যেটা আমার মতে অতিরঞ্জিত হয়ে গেছে। বাইক অ্যাডভেঞ্চার, অলৌকিক তন্ত্র, ও ইতিহাসের এক খিচুড়ি বানিয়ে দিয়েছেন। শেষ অবধি পড়ার ধৈর্য থাকেনা। টেনে লম্বা করে, সোজা কথায় ছড়িয়েছেন। যাদের বয়স ১৫-২৫ এর কোঠায়, তাদের হয়তো ভালো লাগতে পারে। তাই আমার ব্যক্তিগত রেটিং ৪/১০/
রিভিউটি লিখেছেনঃ নিলয়
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।