গল্প – নৌকাডুবি
লেখক - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
প্রায় এক নিঃশ্বাসেই এই উপন্যাসটা শেষ করলাম। অসাধারণ বললেও কম বলা হয়। উপন্যাসটার এমনই গতি যে এরপর কি হবে-এরপর কি হবে ভেবে-ভেবে না শেষ করে উঠতে পারলাম না।
নায়ক রমেশের সাথে হেমনলিনীর বহুদিনের প্রণয়ের সম্পর্ক। হেমনলিনীর বাড়ির লোক চায় তাদের সম্পর্কটা পরিণতি লাভ করুক বিবাহের মাধ্যমে। এতে রমেশ মত দেয়। ইতিমধ্যে রমেশের বাবা গ্রাম থেকে কলকাতায় রমেশের কাছে আসে এবং তাকে একপ্রকার জোর করে বাড়ি নিয়ে যায়। বাড়ি গিয়ে জানতে পারে, বাবার দেখা এক মেয়ের | সাথে তার বিবাহ স্থির করা হয়েছে। তার সম্পূর্ণ অমতে তার বাবা তার বিয়ে দিয়ে দেয় ওই মেয়ের সাথে। বিয়ে করে নৌকাযোগে বাড়ি ফেরার পথে ভীষণ ঝড়ে তাদের নৌকাডুবি হয়। কোন রকমে রমেশ বেঁচে যায়। সে দেখে বধু বেশে এক বালিকা সেই নদীর চরে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে আছে। বিয়ের সময় যেহেতু বরবধূ কেউই একে অপরকে দেখেনি ফলে তখন বুঝতে পারে না যে বউ বদল হয়ে গেছে। কয়েকদিন পরে রমেশ বুঝতে পারে যে কমলা তার বিয়ে করা বউ নয় সে তো সুশীলা কে বিয়ে করেছিল। এরপর রমেশ তার করণীয় সম্পর্কে দ্বিধাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। এভাবে রমেশ একটার পর একটা ভুলের কষাঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে ট্র্যাজিক নায়ক হয়ে ওঠে। ঘটনার বুনোট এমনই যে দ্বিধাগ্রস্থ হয়ে পড়তে হয় যে নিজের অজান্তের প্রথম ভালবাসার বন্ধন বেশি দৃঢ় নাকি অপরিচিত স্বামীরা লেখক মনোবিজ্ঞান নিয়ে এক অদ্ভুত খেলা খেলেছেন। অতি অবশ্যই পড়ে দেখার মত একখানি উপন্যাস।
রিভিউটি লিখেছেনঃ Saptarshi Dana
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।