বইয়ের নাম- মননশীল
লেখক- পার্থ দে
প্রকাশনা- কল্পবিশ্ব পাবলিকেশন
কল্পবিশ্ব ওয়েব ম্যাগাজিনে প্রথম মনন শীলকে নিয়ে লেখা তিনটি বায়োথ্রিলার উপন্যাস পড়েছিলাম। তারপর বই বেরিয়েছে জানতে পেরে বেশ ভালো লেগেছিল আর তারপর এই গুরুপের কল্যাণে (থ্যাঙ্ক ইউ দাদার/দিদিরা পড়তেও পারলাম সেই বই।
*উপন্যাসগুলোতে অ্যাডাল্ট কনটেন্ট আছে, ছোটদের না পড়তেই দেওয়াই ভালো (আমার মতে)। **
প্রথমেই বলি গল্পগুলো বায়োপাঙ্ক অথবা বায়োথ্রিলার ঘরানার। অর্থাৎ টেকনোলজি ব্যবহার করে যে রহস্য লেখা হয়, তারই একটা দিক হল এই বায়োগ্রিলার; বায়োলজিক্যাল টেকনোলজি ব্যবহার হচ্ছে এখানে। গুগলাবাবার কথায় "জোম্বি ছাড়া এক প্লেগ স্টোরি।
মনন শীল, ইনি হলেন লালবাজারের ডিসি ডিডি আর এই গল্পগুলোর মূল প্রোটাগনিস্ট: অত্যন্ত বুদ্ধিমান এই অফিসার। দেখতেও বেশ হ্যান্ডসাম: আর আছেন জাভেদ আলি, এনার সাকরেদ তথা সিনিয়র ইন্সপেক্টর!
এবার আসি উপন্যাসগুলোর কথায়। মোট তিনটি উপন্যাস আছে।
১. প্রহরণ
২. অধিশ্রী
৩.চরমজীবি
প্রথম উপন্যাসের ভিলেন প্রফেসর এফ.এন. বোর তথা ফনীন্দ্রনাথ ভড় একজন মলিকিউলার বায়োলজিস্ট। বয়সজনিত কারণে শারীরিক সক্ষমতা কমে যাওয়ার ফলে তার দ্বিতীয় স্ত্রী তার স্টুডেন্টের সাথে চলে যায়। হতাশায় তিনি এমন এক ড্রাগ তৈরি করেন যেটা খেলে এমনকি বৃদ্ধ বয়সেও কিছুক্ষণের জন্য শারীরিকভাবে চুড়ান্ত সক্ষম থাকা যায়। এবার তিনি সেটার টেস্টিং শুরু করেন কিছু মানুষের উপরে আর তাদের দিয়ে খুন করাতে শুরু করেন। এবার মনন শীল কিভাবে তাকে ধরবে এই নিয়ে হল গল্প।
সত্যি বলতে ভালো লাগেনি খুব একটা এই উপন্যাসটি আমার কাছে ড্রাগ বানানোর আর খুন করানোর কারণগুলো বেশ বোকা বোকা লেগেছে।
রেটিং দেখ ৫/১০!
দ্বিতীয় উপন্যাসে চার বন্ধু তানাকা, ইন(ভারতীয়), লারসেন আর স্লাইডার, তাদের কাছে ঈশ্বরসম নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী গাইডসেকের শেষজীবনের চরম অপমানের বদলা নিতে একসাথে হয়। জাপানি ভাষায় ইনু মানে হল কুকুর। তানাকা তার প্রিয় বন্ধুকে এই নামেই ডাকতে পছন্দ করে।
এদিকে ক্যামেলিয়া নামের এক সাংবাদিক যে মননকে একটু আধটু পছন্দও করতো সে এক স্টিং অপারেশন করে ফেরার পথে হঠাৎ ভয়াবহ অ্যাক্সিডেন্টে মারা যায়। মারা যাওয়ার আগে সে মননকে ছ'বার ফোন করেছিল। কেন? সে কি জানতে পেরেছিল? মনন শীলের এক বন্ধু ডঃ ধর্মরাজ সেনগুপ্ত মনন আর জাভেদকে তদন্তে সাহায্য করে। ইনুকে কি মনন খুঁজে বার করতে পারবে? আর খুনগুলোই বা হচ্ছে কীভাবে?
মোটামুটি ভালো লেগেছে। রেটিং দেব ৬/১০
তৃতীয় তথা শেষ উপন্যাস, বাকি দুটোর মতন কলকাতা না এবার সুদূর অ্যান্টার্কটিকায় যাবে মনন! কলকাতা পুলিশ থেকে মনন এখন এন.আই.এ. অর্থাৎ ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সিতে বদলী হয়ে এসেছে। একই তার থেকে দুবছরের জুনিয়র আই.পি.এস রীতিন্দর সোধিও বদলী হয়ে এসেছে এন. আই.এ.-তে।
অ্যান্টার্কটিকায় অবস্থিত ভারতের মৈত্রী গবেষণাগারে কর্মরত এক বিখ্যাত অনুজীব বিজ্ঞানী ডঃ বেদ পিল্লাই খুন হন। এন.আই.এ থেকে মনন আর রীতিদরকে পাঠানো হয় রহস্য সমাধানে। সেখানে কিছু রাশিয়ান বিজ্ঞানীদের সাথে দেখা হয় তাদের। খুনী কে?
একদম শেষে রহস্য সমাধানের পরেও মনন একটা ছবি দেখে কেন যুগপৎ চমকে উঠলো আবার হতাশও হল। কেন?
বেশ ভালো লেগেছে। রেটিং দেব ৮/১০।
বানান ভুল নেই সেরকম।
রিভিউটি লিখেছেনঃ Indrani Bhattacharjee
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।