১৯৭১ এরপর সংকর চক্রবর্তীর ফেরা হয়নি বাংলাদেশে। ওপারের টান কাটিয়ে ওঠার জন্য যে টান এপারে প্রয়োজন ছিল তা জোগান দিয়েছে সুপ্রিয়া চক্রবর্তী, রণবীর, অদিতি, আরস। বাংলাদেশ ফেরার বাসনায় ধুলো জমেছিল ঠিক কিন্তু উবে যায়নি একেবারে। মনে কোন এক কোণে জিইয়ে রেখেছিলেন। কতত্বের কাঠিটা ছেলে হাতে দেয়াতে সংকর চক্রবর্তী জোর হারিয়েছেন ক্রমেই। বাংলাদেশে যাওয়া আর হয়ে ওঠেনি।
মাঝেমাঝে সংকর চক্রবর্তী নিজেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পান না।কি করে তিনি ফেলা আসা আবেগ আর পরম ভালোবাসার মানুষদের ভুলে থাকলেন? তাও এতটা সময়!!!
বাংলাদেশে পুর্ব পুরুষদের সব চিহ্ন রেখে আসা আবেগের টানে আর একবার বাংলাদেশে যাওয়া প্রয়োজন সংকর চক্রবর্তীর। তার মনে গোপনীয় এক ভয়।
ভয় দিনিদিন শাখা-প্রশাখা মেলে দিচ্ছে। অদ্ভুত এক স্বপ্ন দেখছেন সংকর চক্রবর্তী। কয়েকটা বাচ্চা স্বপ্নের মাঝে পায়ের আঙ্গুল টানছে। খুব সাধারন একটা স্বপ্ন।তবু যেন একটা অর্থ আছে।
স্বপ্ন দেখে সংকর চক্রবর্তী ভয় পাচ্ছেন।ভয় দিনদিন আতঙ্কে পরিণত হচ্ছে। এই আতঙ্ক জয় করার সূত্র আছে বাংলাদেশেই।
'ফিরিয়ে দিতে এসে' সুবিশাল গল্পের খন্ড অংশ। পুষের রাখা অভিমানের গল্প, ফেলে আসা আবেগের গল্প, স্বপ্নময় সময় থেকে ছিটকে পড়া মানুষদের স্বপ্ন নিয়ে বাঁচার গল্প এটি ছোট ছোট ভালোবাসার গল্প জমতে থাকা কষ্টের গল্প। এক দীর্ঘ অপেক্ষার গল্প নিয়ে আপনাদের অপেক্ষায় থাকবে ফিরিয়ে দিতে এসে। এই অপেক্ষার শুরু হয়েছিল ১৯৭১ এর স্বপ্নময় দিনগুলোতে।
ফিরিয়ে দিতে এসে
লেখক: আল কাফি নয়ন
ধরনঃ উপন্যাসিকা
মলাট মূল্য: ১৩০/-
প্রচ্ছদ: সাজিদ শুভ
প্রকাশনী: Idea Prokashon
নিজস্ব মতামত: সবসময় খেয়ালী জীবনযাপন করেছেন সংকর চক্রবর্তী। তার ছোট ছেলে আরস অনেকটা তারই মতো। আরস এবং দীশার ভালোবাসার গল্পটা সবচেয়ে চমৎকার লেগেছে আমার। এছাড়াও মেয়ে জামাই এবং চৌধুরাণীর চরিত্রটা মজার। আরস, অদিতি, সুপ্রিয়া, জয়ন্ত, সৌরভ, প্রতিমা, রগতি, চৌধুরাণী, দীশা সব মিলিয়ে একটি চমৎকার গল্প। ঠাই এর অনেকগুলো মানুষের গল্প। অনেক যত্ন করে প্রতিটি চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক। বইটির জন্য অনেক অনেক শুভকামনা। পাঠকের মনজয় করার মতো একটি বই।
রিভিউটি লিখেছেনঃ Shayan C.Arnob
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।