বই: ডিকটেটরের খোঁজে? এতদূর?
লেখক: অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়
প্রকাশনাঃ প্রতিক্ষণ
বইয়ের প্রচ্ছদেই জোসেফ স্তালিনের ছবি দেখে অবাক হই না, গুগলে গিয়ে Dictator লিখে খুঁজতে গেলে হিটলারের আগেও তো তাঁরই ছবি আসে। বই খুললে জানতে পারি লেখকও আলাদা মানুষ নন, তিনিও কতকটা এই প্রশ্নেরই মুখোমুখি হয়েছেন, যে স্তালিন নাকি ভারতসহ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের উপনিবেশগুলো স্বাধীন করতে জোর দিয়েছেন বা নাৎসিদের বিরুদ্ধে লড়তে নিজের অপত্যস্নেহকেও বিসর্জন দিয়েছে আবার যাঁর গায়ে গুলাগের মতো কাদা লেগে আছে, তিনি কি হিটলারের সমতুল্য, না বেশী বা কম?
তবে আমাদের মতো লেখন এই প্রশ্নে শুধু quora আর wikipedia তে থেমে থাকেননি, তিনি উত্তর খুঁজতে ছুটেছেন রাশিয়ায়, একবার নয়, চার- চারবার।
লেখক শুরুতেই যদিও নিজের পক্ষপাতিত্বের কথা অস্বীকার করেননি, ওখানে গিয়ে ওখানকার মানুষের সাথে মিশে যথেষ্ট খোলামেলাই জানার চেষ্টা করেছেন। এটুকু বোঝা যায় যে, ভালিনের মৃত্যুর পরেই কেন তাঁর সম্পর্কে এসব এত প্রচার হয় এবং তিনি বেঁচে থাকতে নয়। কৃরুসচেন্ডের গোপন ভাষণ বা স্নাইডারের ব্লাডল্যান্ডস অথবা আরও কিছু প্রচার প্রোপাগাণ্ডা কিনা তার জন্য ডঃ গ্রোভার ফ্যারের বইগুলো উল্লেখও লেখক করেছেন, কিন্তু তাঁর উদ্দেশ্য ছিল বর্তমান রুশিদের চিন্তা ভাবনা কী তা জানা।
লেখক শুরুতে তাঁর ভ্রমণ অভিজ্ঞতা অতি সংক্ষেপে (একটু বাড়াবাড়ি রকমের সংক্ষেপে) বর্ণনা করেছেন, কিছু সুন্দর ছবিও সাথে দিয়েছেন, আর সব শেষে সাধারণ মানুষ অথবা স্বয়ং ডঃ ফার ও স্তালিনের প্রপৌত্রের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন।
আমার অভিজ্ঞতাঃ যেন আস্ত উপন্যাসকে অণুগল্প বানানো হয়েছে, তাই বাঁধুনি আঁটো থাকলেও বই পড়ে স্বস্তি হয় না। আমার ব্যক্তিগতভ ভাবে অনেক ধারণা যা আন্তর্জাল থেকে হয়েছিল তা পাল্টেছে। চোরা করবো, স্নাইডার আর প্রোভার সাহেবের বইগুলো পড়তে আর পড়লে এবং এই প্রতিক্রিয়া আপনাদের পছন্দ হলে অবশ্যই পাঠপ্রতিক্রিয়া দেবো আবার।
রিভিউটি লিখেছেনঃ Indranil Chowdhury
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।