উপন্যাস- ছাতিম
লেখক স্মরণজিৎ চক্রবর্তী
4 বছরটা শুরু করলাম হাতিম ফুলের গন্ধ দিয়ে এবং শেষে এক মিষ্টি অনুভূতি পেলাম। মূলত গল্পটি দুটি ভাগে বিভক্ত। এক ভাগে আমরা পাই সত্তুর কাহিনী আর আরেকদিকে হাড্রিমের কাহিনী।
কুসুমদি দের বাড়িতে ভাড়ায় থাকতে আসে সতুরা। বয়সে সত্তুর থেকে পাঁচ বছরের বড়ো কুসুমদিকে যখন প্রথম সতু দেখেছিল মুগ্ধ হয়েছিল। প্রথম দেখাতে অমর কুসুমদি কে পরি বলে সম্বোধন করেছিল। সতুর চোখেও কুসুমটি কী পরি ছিলেন?
* দুবছর আগে করা একটা ভুলের ফল ভোগ করতে হচ্ছে হাট্টিমকে এখনও। তার সবচেয়ে কাছের মানুষটি যাকে হাট্টিম নিজের চেয়েও বেশি ভালোবাসে সেই ইজনার সাথে তার এত দিনের সম্পর্ক ভেঙে গেছে একটি ভুলের কারনে। ভাঙনের দুবছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও আজও ইজনা তার সামনে এলে বুকের হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়, একটা চাপা কষ্ট হয়। কী করেছিল হাট্টিম যে ইজনা তাকে সহ্য করতে পারেনা?
* অনেকদিন পর স্মরণজিৎ চক্রবর্তীর উপন্যাসটি মন ছুয়ে গেল। বিশেষ করে সত্তুর ভালোবাসার কথা। সত্যিই কী ভালোবাসা কোনো বারন মানে?
* এছাড়াও পাড়ায় প্রথম পূজোর উচ্ছ্বাস, ফুটবল ম্যাচের টানটান উত্তেজনা, বনযুদ্ধ আর দেশ স্বাধীনের স্বপ্ন সব রয়েছে উপন্যাসে। কিছু পূর্ণতা কিছু অপূর্ণতা নিয়ে ছাতিম।
4 ভালবাসা যত দিন থাকবে, তত দিন মানুষ হারবে না। তত দিন মানুষ ফিরে ফিরে আসবো না পেলেও, প্রিয় মানুষকে লালন করবে মনে। তাঁকে যত্নে বাঁচিয়ে রাখবে আজীবনের ভালবাসায়।”
রিভিউটি লিখেছেনঃ Rupa Shaw
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।