অঘোরে ঘুমিয়ে শিব - দেবারতি মুখোপাধ্যায় Aghore Ghumiye Shib by Debarati Mukhopadhyay

অঘোরে ঘুমিয়ে শিব - দেবারতি মুখোপাধ্যায় Aghore Ghumiye Shib by Debarati Mukhopadhyay

বই- অঘোরে ঘুমিয়ে শিব
লেখিকা- দেবারতি মুখোপাধ্যায়


দেবারতি মুখোপাধ্যায়ের লেখার সাথে প্রথম পরিচয় 'ঈশ্বর যখন বন্দি' উপন্যাসের মাধ্যমে। এই বইটি রুদ্র-প্রিয়ম সিরিজের অন্তর্গত তৃতীয় বই, তাজমহলের ওপর এক বিতর্কিত ইতিহাস নিয়ে লেখা। বইটি লেখার জন্য যে তিনি অনেকবার আগ্রা গিয়েছেন তা তার লেখা পরেই জানলাম। আর শেষে অনেকগুলি রেফারেন্স বইয়ের তালিকা যা দেখে বোঝা যায় যে বই লেখার আগে তিনি যথেষ্ট পড়াশোনা করেছেন। রুদ্র-প্রিয়ম সিরিজের প্রতিটা গল্পই অত্যন্ত জনপ্রিয়। তাই বইটি খুব আশা নিয়েই পড়তে শুরু করেছিলাম। তবে সত্যি বলতে কি আমার কাছে লেখিকার অন্য গল্পগুলোর তুলনায় এই গল্পটি সামান্য দুর্বল বলে মনে হয়েছে। যেহেতু তাজমহলের বিতর্কিত ইতিহাস ধর্মী উপন্যাস তাই একবার পড়া যেতেই পারে। গল্প যেহেতু থ্রিলার তাই এখানে উপন্যাসের বিস্তারিত বিবরণ দিলাম না
  যদি কেউ তাজমহলের ইতিহাস নিয়ে সাম্প্রতিক গবেষণা সম্পর্কে জানতে চান, তবে এই থ্রিলার তাদের নিঃসন্দেহে ভালো লাগবে।
        লেখিকার আগামী বইগুলি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
          রিভিউ পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

রিভিউটি লিখেছেনঃ SOMENATH BOSE

অঘোরে ঘুমিয়ে শিব 
পাঠ অনুভূতি

লেখিকা দেবারতি মুখোপাধ্যায়ের লেখা হিসেবে এটা আমার পড়া দ্বিতীয় বই। "নরক সংকেত" বইটি প্রথম পড়ি । প্রথম বইটি পড়ার সময় বুঝতে পারি লেখিকার কলমের জোর, এক উৎকৃষ্ট মানের লেখার সাথে পরিচয় ঘটে। 
"অঘোরে ঘুমিয়ে শিব" রুদ্র ও প্রিয়ম সিরিজের তৃতীয় বই। পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম স্থাপত্য তাজমহল। মুঘল সম্রাট শাহ জাহান, পরলোকগত স্ত্রী  মুমতাজ বেগমের উদ্দেশ্যে তাজমহল নির্মাণ করেন। তাজমহল আজও ভারতবর্ষের এক মুখ্য আকর্ষণ। প্রত্যেকটি ভাষাভাষীর মানুষ এই স্থাপত্যের সৌন্দর্য্যে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন। আজও পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এই স্থাপত্যের আশ্চর্য্য দর্শন করতে আসেন। কত কবি, লেখক, গায়ক যুগে যুগে তাজমহলের জয়গান করে গেছেন। 
কিন্তু এই স্থাপত্যের আনাচে কানাচে এখনও শোনা যায় অবিশ্বাস আর সন্দেহের সুর‌। কিছু ইতিহাসবিদদের বক্তব্য এটি আটশো বছর আগের এক প্রাচীন শিবমন্দির। তাহলে সত্যি কি তাজমহল মুঘল সম্রাটের বানানো নয় ? নাকি প্রাচীন শিবমন্দির যার নাম কিনা তেজ মহালয়া । এই বিতর্ক কতটা গ্রহণযোগ্য , আর কতটা জোর করে মেলানো , আর কতটাই বা অন্ধ আবেগ ? 
মুমতাজের স্মৃতিসৌধ নাকি শিবমন্দির এই নিয়ে বিতর্ককে ঘিরে শুরু হয় হিন্দু মুসলমান সাম্প্রদায়িক চাপান উতোর। 
এই উপন্যাস বর্তমানে এক বৃহৎ গবেষণাধর্মী উপন্যাস। এই উপন্যাস রুদ্ধশ্বাস রহস্যের সাথে সাথে সমাজের প্রোথিত ফাটলগুলি চোখের সামনে তুলে ধরে । আগ্রা, মেঘালয়, দিল্লী, খাজুরাহো এক সুবিশাল ভৌগোলিক পটে ইতিহাস ও ধর্মের অদ্ভুত মেলবন্ধনে এই উপন্যাস আঁকা হয়েছে‌। 
পরিশেষে একটা কথা বলতে পারি লেখিকা অত্যন্ত পরিশ্রম করে এই উপন্যাস রচনা করেছেন, তাই একবার পড়ে দেখা যেতেই পারে। যারা ইতিহাস সম্বন্ধীয় লেখা পড়তে ভালোবাসেন তাদের অবশ্যই এই উপন্যাস ভালো লাগবে এই আশা রাখি। 
আর যে কথাটি না বললেই নয়, অসংখ্য ধন্যবাদ বর্ণপরিচয়কে, এই উপন্যাস পড়তে সাহায্য করার জন্য।
 সম্পূর্ণ নিজস্ব অনুভূতি, ভুল ত্রুটি মার্জনীয়।

রিভিউটি লিখেছেনঃ Subhadeep Chatterjee:

Post a Comment

0 Comments