উপন্যাস - ষ্টিফেন ম্যানসন
লেখক - রূপক সাহাস্টিফেন ম্যানসন এর অগ্নিকাণ্ডের উপর ভিত্তি করে লেখা এই উপন্যাস। আমরা অনেকেই সেই দিনটার কথা মনে রেখেছি যেদিন আগুনের লেলিহান শিখা স্টিফেন ম্যানসন কে গ্রাস করেছিল ও বেশ কিছু আটকে পড়া মানুষেরা সেই বিল্ডিংয়ের থেকে রাস্তায় ঝাঁপ মেরেছিল বাঁচার তাগিদে।
এখানে লেখক অনেক চরিত্রের ছবিই এঁকেছেন, তবে এই উপন্যাস জড়িয়ে আছে দেবদূত, মিলেনা ও তার পরিবার, মস্তান রুস্তম, তার সাগরেদ দের, শিখিন ও তার দমকল বাহিনী নিয়ে।
গল্পের ধারাটি তিনটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে -
একটি ভাগে দেবদূত একজন চরিত্রবান বডি বিল্ডার যে মিস্টার ইন্ডিয়া হবার পর থেকে সিলভার জিম এ ম্যানেজার হিসেবে আছে, এবং স্বপ্ন দেখে মিস্টার এশিয়া হবার। মিলেনা এক সম্ভ্রান্ত আর্মেনীয় পরিবার এর সন্তান ও স্টিফেন ম্যানসন এই থাকে তার ঠাকুরদার সাথে।
দ্বিতীয় ভাগে- রুস্তম একজন সমাজবিরোধী যে তার গুরুর মৃত্যুর পর চেষ্টা করে সমাজে একটা জায়গা করে ভোট এ জিতে তার সাংসদ আসন পাকা করতে। মিলেনা কে চমকাতে গিয়ে দেবদূত ও রুস্তম ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে ও সেই ঘটনার মধ্যে দিয়ে দেবদূত ও মিলেনা র মধ্যে একটি সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে বুদ্ধি বিবেচনা করে রুস্তম সমাজে তার একটা সমাজসেবী মনোভাব গড়তে সক্ষম হয়।
তৃতীয় bhage- শিখীন, অনিরুদ্ধ এরা দমকল বিভাগে কাজ করে ও অগ্নিদেব এর কাছে প্রার্থনা করে যেনো তিনি তার খিদে মেটানোর জন্য কোনো বড় দুর্ঘটনা ঘটিয়ে না ফেলেন। এখানে দমকল বিভাগের কিছু তথ্য গল্পের আকারে পড়তে বেশ লাগে। বিশেষ করে দমকলের পাম্প (মেশিন), সিঁড়ি, ও সহকর্মী দের মধ্যে সদ্ভাব ও অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ইত্যাদি।
প্রতিটি চরিত্র লেখক ভালো মত ফুটিয়ে তুলেছেন। স্টিফেন ম্যানসন এর উচ্চ বিত্ত বাসিন্দা, তাদের লোভী ও জান্তব মনোভাব, রাজনীতি, ও আরো পাওয়ার লোভ কিভাবে ষ্টিফেন ম্যানসন এর অন্তর্ঘাত ও অগ্নিকাণ্ডের জন্য দায়ী, ও তিনটি ভাগের মানুষেরা কিভাবে সেই অগ্নিকাণ্ডের সাথে জড়িয়ে পড়ে, সেটা লেখক ভালো ভাবে বর্ণনা করেছেন।
ব্যক্তিগত ভাবে আমার রূপক সাহা এর লেখা ভালো লাগে, আর এই উপন্যাসের জন্যও আমি রেটিং দেবো ৭/১০.
লেখক - রূপক সাহাস্টিফেন ম্যানসন এর অগ্নিকাণ্ডের উপর ভিত্তি করে লেখা এই উপন্যাস। আমরা অনেকেই সেই দিনটার কথা মনে রেখেছি যেদিন আগুনের লেলিহান শিখা স্টিফেন ম্যানসন কে গ্রাস করেছিল ও বেশ কিছু আটকে পড়া মানুষেরা সেই বিল্ডিংয়ের থেকে রাস্তায় ঝাঁপ মেরেছিল বাঁচার তাগিদে।
এখানে লেখক অনেক চরিত্রের ছবিই এঁকেছেন, তবে এই উপন্যাস জড়িয়ে আছে দেবদূত, মিলেনা ও তার পরিবার, মস্তান রুস্তম, তার সাগরেদ দের, শিখিন ও তার দমকল বাহিনী নিয়ে।
গল্পের ধারাটি তিনটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে -
একটি ভাগে দেবদূত একজন চরিত্রবান বডি বিল্ডার যে মিস্টার ইন্ডিয়া হবার পর থেকে সিলভার জিম এ ম্যানেজার হিসেবে আছে, এবং স্বপ্ন দেখে মিস্টার এশিয়া হবার। মিলেনা এক সম্ভ্রান্ত আর্মেনীয় পরিবার এর সন্তান ও স্টিফেন ম্যানসন এই থাকে তার ঠাকুরদার সাথে।
দ্বিতীয় ভাগে- রুস্তম একজন সমাজবিরোধী যে তার গুরুর মৃত্যুর পর চেষ্টা করে সমাজে একটা জায়গা করে ভোট এ জিতে তার সাংসদ আসন পাকা করতে। মিলেনা কে চমকাতে গিয়ে দেবদূত ও রুস্তম ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে ও সেই ঘটনার মধ্যে দিয়ে দেবদূত ও মিলেনা র মধ্যে একটি সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে বুদ্ধি বিবেচনা করে রুস্তম সমাজে তার একটা সমাজসেবী মনোভাব গড়তে সক্ষম হয়।
তৃতীয় bhage- শিখীন, অনিরুদ্ধ এরা দমকল বিভাগে কাজ করে ও অগ্নিদেব এর কাছে প্রার্থনা করে যেনো তিনি তার খিদে মেটানোর জন্য কোনো বড় দুর্ঘটনা ঘটিয়ে না ফেলেন। এখানে দমকল বিভাগের কিছু তথ্য গল্পের আকারে পড়তে বেশ লাগে। বিশেষ করে দমকলের পাম্প (মেশিন), সিঁড়ি, ও সহকর্মী দের মধ্যে সদ্ভাব ও অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ইত্যাদি।
প্রতিটি চরিত্র লেখক ভালো মত ফুটিয়ে তুলেছেন। স্টিফেন ম্যানসন এর উচ্চ বিত্ত বাসিন্দা, তাদের লোভী ও জান্তব মনোভাব, রাজনীতি, ও আরো পাওয়ার লোভ কিভাবে ষ্টিফেন ম্যানসন এর অন্তর্ঘাত ও অগ্নিকাণ্ডের জন্য দায়ী, ও তিনটি ভাগের মানুষেরা কিভাবে সেই অগ্নিকাণ্ডের সাথে জড়িয়ে পড়ে, সেটা লেখক ভালো ভাবে বর্ণনা করেছেন।
ব্যক্তিগত ভাবে আমার রূপক সাহা এর লেখা ভালো লাগে, আর এই উপন্যাসের জন্যও আমি রেটিং দেবো ৭/১০.
রিভিউটি লিখেছেনঃ নিলয়
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।