বইয়ের নাম _ "কচুবনের কানাই"
লেখক_সায়ক আমান
পাবলিকেশন _ মায়াকানন পূজা বার্ষিকী
প্রথম প্রকাশ _ সেপ্টেম্বর ২০২২
মূল্য_১৮০ টাকা
পৃষ্ঠা সংখ্যা _১০
জনরা_ রহস্য ,অলৌকিক ,সাসপেন্সঅনেকদিন পর একটা ছোটো উপন্যাসিকা পড়ে মন টা ভালো হয়ে গেলো । সায়ক আমান একজন বলিষ্ঠ লেখকদের মধ্যে অন্যতম।
আমি যেসব লেখকদের লেখা পড়ার জন্য অধীর ভাবে অপেক্ষায় থাকি তাদের মধ্যে তিনি অন্যতম।
তার প্রতিটা লেখা মধ্যে একটা জাদু আছে ।এই লেখাটি তার ব্যাতিক্রম না
আর উপন্যাসিকা শেষ করার পর আর রিভিউ না দিয়ে পারলাম না তাই একটা রিভিউ নিয়ে চলে এলাম।
"কচুবনের কানাই" মূলত কিশোর সাসপেন্স, রহস্য ,অ্যাডভেঞ্চার , থ্রিলার সব কিছুর এক পরিপূর্ণ মিশ্রণ। সাথে আছে বাস্তব জীবনের কথা আর গল্পের শেষে শিক্ষা হিসাবে যেটা পাওয়া সেটা মনে থাকবে অনেক দিন।গল্পের প্লট বেশ ইউনিক।তবে সবচেয়ে দুর্দান্ত লেগেছে এর লেখনী।
একবার পাঠ করতে শুরু করলে শেষ না করে কোনো উপায় নেই। আমি এই লেখকের এই লেখাটি পড়ে অভিভূত হয়ে গেছি। গল্পের বুনন আর অল্প কথায় যে কত কিছু বলা যায় এটা তার একটা দৃষ্টান্ত। এটি আমার কিশোর অ্যাডভেঞ্চার রহস্য হিসাবে উপরে দিকে থাকবে আর" কচুবনের কানাই " এর গল্পের রেশ আমার মনের কুঠিরে উপরের দিকে থাকবে।
এবার স্পয়লার বাঁচিয়ে যতটা আলোচনা করা সম্বভ করবো কারণ আমি চাইবো না আপনি এর কিঞ্চিৎ পরিমাণ রহস্য আমার রিভিউ পড়ে বুঝতে পারেন সেই চেষ্টা করবো।
গল্পের প্রধান চরিত্র বিট্টু নামের এক ২৬ বছরের যুবক আর তার সাথে আছে রকি নামের এক দেশী কুকুর।তার উভয়েই ছুটি কাটাতে হাজির তাঁদের গ্রামের বাড়িতে।
আর যেহেতু রকি বিট্টু কে ছাড়া থাকতে পারে না তাই কলেজে পড়ার সময় থেকেই তাকে সংগে করে ঘুরে বেড়ানো বিট্টুর অভ্যাস।
এমন এক দিনে গ্রাম এ আল এর উপর হাঁটার সময় রকি দেখতে পায় এক অদ্ভুত প্রাণী কে ।
এবং সেই কচু বনে তাদের সাথে পরিচয় হয় আমাদের গল্পের অন্যতম চরিত্র কানাই এর সঙ্গে।
কে এই কানাই? কি তার পরিচয়?এই কানাই সব জায়গায় হাজির হতে পারে না একমাত্র কেউ তাকে ডাকলে সে আসতে পারে। কানাই এর সঙ্গে বিট্টুর পরিচয়ের পর কানাই জানতে পারে যে বিট্টুর মনে দুঃখ আছে।
গল্পের কানাই চরিত্র টি খুব রহস্যময়।সে মানুষ দেখে তাদের দুঃখ জানতে পারে।
আর সেটার সমাধান বলে দিতে পারে।
বিট্টুর মন খারাপ এর কথা কানাই কে খুলে বলে। ও কানাই সেটা শুনে তাকে সমাধান দেয় তাকে "বাঁচা পাল্টি" করতে হবে। কি এই "বাঁচা পাল্টি"?
আর এটা করার জন্য বিট্টু কে কি করতে হয়? বিট্টুর এই কানাই এর কথামত কাজ করে কি কোন লাভ হয়েছে? আমরা জীবনের অনেক সময় যেটা কাছে থাকে সেটা হারিয়ে যেটা পাওয়া যাবে না তার পেছনে ছুটে বেড়াই।
কাউকে যদি বেশিদিন বাঁচতে দেখতে চাও তাহলে তাকে নিজের সময় দিতে দেখো ভাই। টাকাপয়সা,শখ আহ্লাদ পূরন এ সবের থেকে বড় উপহার হলো সময়।অথচ আমরা ও গুলো নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। আমরা ভাবি সময় কি করে দেবো? আমাদের এতো কাজকর্মের পর সময় নেই,ওই যে বলেছিলাম না? নিজের কাছে কম বা বেশি আছে এটা ভেবে নিতে নেই, সমস্তটা দিতে হয় আমরা এটা বুঝতে পারিনা কোন জিনিসটা সবচেয়ে দামি?
এই গল্পের শেষে আমাদের শেখার জন্য লেখক যে ভাবে গল্পের শেষ করেছে সেটা সত্যিই কষ্টদায়ক আর আপনার মন খারাপ করে দিতে বাধ্য।
কেন এই কথাটা বললাম সেটা জানার জন্য আমাদের পড়তে হবে লেখক সায়ক আমান এর লেখা
"কচুবনের কানাই"
তাই সবার কাছে আমার অনুরোধ রইলো আপনার অতি অবশ্যই এই উপন্যাসিকাটি পড়ে দেখবেন আমি আপনাদের বলছি পাঠক হিসেবে এতো ভালো গল্প থেকে নিজেকে বঞ্চিত করবেন না।
রেটিং _ গল্পের পাতায় পাতায় লেখক রহস্য হাসি ঠাট্টা মজা ও রকির বুদ্ধি আনুগত্য আর ভালোবাসার প্রমাণ দিয়েছেন
সত্যি বলতে কি এইই গল্পের কোনো রেটিং হয় না। শুধু গল্পের শেষে এ আপনাদের মন খারাপ হতে বাধ্য
আমার রেটিং পারফেক্ট ১০ এর মধ্যে ১০ অবাক হবেন না গল্পটি পড়লে আমার সাথে আপনারা সহমত পোষণ করবেন।
লেখক_সায়ক আমান
পাবলিকেশন _ মায়াকানন পূজা বার্ষিকী
প্রথম প্রকাশ _ সেপ্টেম্বর ২০২২
মূল্য_১৮০ টাকা
পৃষ্ঠা সংখ্যা _১০
জনরা_ রহস্য ,অলৌকিক ,সাসপেন্সঅনেকদিন পর একটা ছোটো উপন্যাসিকা পড়ে মন টা ভালো হয়ে গেলো । সায়ক আমান একজন বলিষ্ঠ লেখকদের মধ্যে অন্যতম।
আমি যেসব লেখকদের লেখা পড়ার জন্য অধীর ভাবে অপেক্ষায় থাকি তাদের মধ্যে তিনি অন্যতম।
তার প্রতিটা লেখা মধ্যে একটা জাদু আছে ।এই লেখাটি তার ব্যাতিক্রম না
আর উপন্যাসিকা শেষ করার পর আর রিভিউ না দিয়ে পারলাম না তাই একটা রিভিউ নিয়ে চলে এলাম।
"কচুবনের কানাই" মূলত কিশোর সাসপেন্স, রহস্য ,অ্যাডভেঞ্চার , থ্রিলার সব কিছুর এক পরিপূর্ণ মিশ্রণ। সাথে আছে বাস্তব জীবনের কথা আর গল্পের শেষে শিক্ষা হিসাবে যেটা পাওয়া সেটা মনে থাকবে অনেক দিন।গল্পের প্লট বেশ ইউনিক।তবে সবচেয়ে দুর্দান্ত লেগেছে এর লেখনী।
একবার পাঠ করতে শুরু করলে শেষ না করে কোনো উপায় নেই। আমি এই লেখকের এই লেখাটি পড়ে অভিভূত হয়ে গেছি। গল্পের বুনন আর অল্প কথায় যে কত কিছু বলা যায় এটা তার একটা দৃষ্টান্ত। এটি আমার কিশোর অ্যাডভেঞ্চার রহস্য হিসাবে উপরে দিকে থাকবে আর" কচুবনের কানাই " এর গল্পের রেশ আমার মনের কুঠিরে উপরের দিকে থাকবে।
এবার স্পয়লার বাঁচিয়ে যতটা আলোচনা করা সম্বভ করবো কারণ আমি চাইবো না আপনি এর কিঞ্চিৎ পরিমাণ রহস্য আমার রিভিউ পড়ে বুঝতে পারেন সেই চেষ্টা করবো।
গল্পের প্রধান চরিত্র বিট্টু নামের এক ২৬ বছরের যুবক আর তার সাথে আছে রকি নামের এক দেশী কুকুর।তার উভয়েই ছুটি কাটাতে হাজির তাঁদের গ্রামের বাড়িতে।
আর যেহেতু রকি বিট্টু কে ছাড়া থাকতে পারে না তাই কলেজে পড়ার সময় থেকেই তাকে সংগে করে ঘুরে বেড়ানো বিট্টুর অভ্যাস।
এমন এক দিনে গ্রাম এ আল এর উপর হাঁটার সময় রকি দেখতে পায় এক অদ্ভুত প্রাণী কে ।
এবং সেই কচু বনে তাদের সাথে পরিচয় হয় আমাদের গল্পের অন্যতম চরিত্র কানাই এর সঙ্গে।
কে এই কানাই? কি তার পরিচয়?এই কানাই সব জায়গায় হাজির হতে পারে না একমাত্র কেউ তাকে ডাকলে সে আসতে পারে। কানাই এর সঙ্গে বিট্টুর পরিচয়ের পর কানাই জানতে পারে যে বিট্টুর মনে দুঃখ আছে।
গল্পের কানাই চরিত্র টি খুব রহস্যময়।সে মানুষ দেখে তাদের দুঃখ জানতে পারে।
আর সেটার সমাধান বলে দিতে পারে।
বিট্টুর মন খারাপ এর কথা কানাই কে খুলে বলে। ও কানাই সেটা শুনে তাকে সমাধান দেয় তাকে "বাঁচা পাল্টি" করতে হবে। কি এই "বাঁচা পাল্টি"?
আর এটা করার জন্য বিট্টু কে কি করতে হয়? বিট্টুর এই কানাই এর কথামত কাজ করে কি কোন লাভ হয়েছে? আমরা জীবনের অনেক সময় যেটা কাছে থাকে সেটা হারিয়ে যেটা পাওয়া যাবে না তার পেছনে ছুটে বেড়াই।
কাউকে যদি বেশিদিন বাঁচতে দেখতে চাও তাহলে তাকে নিজের সময় দিতে দেখো ভাই। টাকাপয়সা,শখ আহ্লাদ পূরন এ সবের থেকে বড় উপহার হলো সময়।অথচ আমরা ও গুলো নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। আমরা ভাবি সময় কি করে দেবো? আমাদের এতো কাজকর্মের পর সময় নেই,ওই যে বলেছিলাম না? নিজের কাছে কম বা বেশি আছে এটা ভেবে নিতে নেই, সমস্তটা দিতে হয় আমরা এটা বুঝতে পারিনা কোন জিনিসটা সবচেয়ে দামি?
এই গল্পের শেষে আমাদের শেখার জন্য লেখক যে ভাবে গল্পের শেষ করেছে সেটা সত্যিই কষ্টদায়ক আর আপনার মন খারাপ করে দিতে বাধ্য।
কেন এই কথাটা বললাম সেটা জানার জন্য আমাদের পড়তে হবে লেখক সায়ক আমান এর লেখা
"কচুবনের কানাই"
তাই সবার কাছে আমার অনুরোধ রইলো আপনার অতি অবশ্যই এই উপন্যাসিকাটি পড়ে দেখবেন আমি আপনাদের বলছি পাঠক হিসেবে এতো ভালো গল্প থেকে নিজেকে বঞ্চিত করবেন না।
রেটিং _ গল্পের পাতায় পাতায় লেখক রহস্য হাসি ঠাট্টা মজা ও রকির বুদ্ধি আনুগত্য আর ভালোবাসার প্রমাণ দিয়েছেন
সত্যি বলতে কি এইই গল্পের কোনো রেটিং হয় না। শুধু গল্পের শেষে এ আপনাদের মন খারাপ হতে বাধ্য
আমার রেটিং পারফেক্ট ১০ এর মধ্যে ১০ অবাক হবেন না গল্পটি পড়লে আমার সাথে আপনারা সহমত পোষণ করবেন।
রিভিউটি লিখেছেনঃ বাপন দা
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।