বইয়ের নাম: ঈশ্বরের নষ্ট ভ্রূণ
লেখক: সৈকৎ মুখোপাধ্যায়
কালকে একটা রিভিউ লিখছিলাম, ওটা জাস্ট বইটা শেষ করার পর, ঘোরের মধ্যে ছিলাম, তাই ছোট রিভিউ। আজ একটু ডিটেইল লিখি।
বইটির প্রধান চরিত্র'ই হল মনস্তত্ত্ব। আমাদের মধ্যেকার হিংস্রতা, অনমনীয়তা, হীনমন্যতা, অন্ধ ভক্তি, ইত্যাদি সমস্ত মনস্তত্ত্ব'ই এই বইটির বারোটি আলাদা আলাদা গল্পের মূল কেন্দ্রচরিত্র। বইটি নিয়ে বেশী বললে সাসপেন্স নষ্ট হয়ে যাবে। কারণ প্রতিটি গল্পেই রয়েছে চমক। সেই চমক আপনাকে বাধ্য করবে নিজেকে মানুষ হিসেবে আরেকটু উন্নত করতে, আরেকটু নিজেকে বদলে ফেলতে। বইটির প্রচ্ছদেই সত্যজিৎ রায়ের 'খগম' গল্পটির কথা বলা আছে, এ গল্প যারা শুনেছেন/পড়েছেন তাদের এধরণের গল্প ভালোলাগবে। আমার শুধু ভালোইলাগেনি, অসাধারণ লেগেছে। বাস্তব ঘটনা গুলোকে কেন্দ্র করে লতার মতই বেড়ে উঠেছে অবাস্তব।
রিভিউটি লিখেছেনঃ Skyler White
review
ঈশ্বরের নষ্ট ভ্রুণ – সৈকত মুখোপাধ্যায়
প্রকাশক: পত্রভারতী
আমাদের মনের কিছু অন্ধকার দিক থাকে যেখান থেকে খুব মাঝে মধ্যে কিছু উদ্ভট, নৃশংস, অনৈতিক চিন্তা বেরিয়ে আসে আমাদের যৌক্তিকতার সমস্ত কঠিন স্তর ভেদ করে। আমরা নিজেদের মুহূর্তের মধ্যে সেই চিন্তা থেকে সরিয়ে আনি যাতে আমরা ক্ষেপে গিয়ে পৈশাচিক না হয়ে যাই।
এই বই সেই বারণ একদম বাদ দিয়ে লেখা। সমস্ত গল্পই ভয়াবহ ধরনের ডার্ক। (লেখক বলেই দিয়েছিলেন অবশ্য)
প্রত্যেকটা গল্প পড়ে আপনাকে থামতে হবে। নিজেকে বোঝাতে হবে না এটা সত্যি না - এমন কোনোদিন হবে না। শান্তি পাবার পর পরের গল্প শুরু করতে পারবেন।
160 পাতার মধ্যে 12 টি ভয়াবহ গল্পের প্রত্যেকটিই পড়ার পর মাথার ঠিক রাখতে পারবেন না। নিজের ডার্ক সাইড এর ওপর নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষা করার কোন ইচ্ছা না থাকলে এই বই না পড়াই শ্রেয়।
সব ধরণের পাঠকের হয়তো এই ধারার লেখা ভাল লাগবে না, তবে লেখক আমাকে মুগ্ধ করেছে বলবো। বাংলা ভাষায় এই ধরনের লেখা সত্যি দুর্লভ তাই এই চিরচেনা পৃথিবীর বাইরে অন্ধকার, আধিভৌতিক কিংবা নিষিদ্ধ জগতে ঢুঁ মেরে আসার জন্য বেশ ভাল একটা বই।
সত্যই যেমন শিব এবং সুন্দর, তেমনইভাবেই ইহাও সত্য যে আমাদের মনে অন্ধকার আছে। সেই অন্ধকারকে যাপন করা প্রিয় মনে হলে অবশ্যই হাতে তুলে নিন ‘ঈশ্বরের নষ্ট ভ্রূণ’, শিহরণ জাগবেই জাগবে।
রিভিউটি লিখেছেনঃ 𝓐𝓴𝓪𝓼𝓱
Review
বইঃ ঈশ্বরের নষ্ট ভ্রূণ
লেখকঃ সৈকত মুখোপাধ্যায়
প্রকাশকঃ পত্রভারতী
'না শুধু গল্প বললে কিছু বলা হয় না'। লেখকের এই উক্তিটি পাঠককে অনেক কিছু বুঝিয়ে দেয়।
বইটিতে ১২টি গল্প আছে -
ঈশ্বরের নষ্ট ভ্রূণ
বাচ্চুমামার বাড়ি
ছাদের বাগান
গুহাচিত্র
জলকষ্ট
কলঙ্কভাগী
মরা ফুলের মধু
পাশা
সূর্যাস্তের ছবি
হাতকাটা মেয়ের হারমনিয়াম
তুলোবীজ
নিভাঁজ ত্রিভুজ
'ভয়' বা 'অন্ধকার' এই দুই জিনিসকে নিয়ে প্রত্যেকটি গল্প রচিত হয়েছে। তবে 'ভয়' বা 'অন্ধকার' সম্পর্কিত কিছু শুনলেই আমরা ধরে নিই ভূত। কিন্তু এই দুটি জিনিস যে মানুষের জীবনে অনেক ভাবে আসতে পারে, এই প্রত্যেকটি গল্পে তারই উদাহরণ বহন করেছেন লেখক 'সৈকত মুখোপাধ্যায়'। শুধু তাই না প্রত্যেক মানুষের জীবনে কিছু না কিছু অন্ধকারের গল্প থাকে। এই ১২টি গল্প এতটাই বাস্তব কোথাও আপনিও নিজের জীবনের ভীতর খুঁজে পেতে পারেন কোন এমন কাহিনী। পাঠক হিসাবে বলতে পারি নিঃসন্দেহে ভিন্ন ধরার লেখা। হরর পরতে চাইছেন কিন্তু ভূতের গল্পে একঘেয়েমি লাগছে, তাহলে এমন সময় আপনি 'ঈশ্বরের নষ্ট ভ্রূণ' পড়তে পারেন।
রিভিউটি লিখেছেনঃ tania das
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।