সুলেমানী গুপ্তধন - সুদীপ্ত কাহালী Sulemani Guptadhon by Sudipta Kahali

সুলেমানী গুপ্তধন - সুদীপ্ত কাহালী Sulemani Guptadhon by Sudipta Kahali

বইয়ের নাম_সুলেমানী গুপ্তধন
লেখকের নাম_সুদীপ্ত কাহালী
পাবলিকেশন নাম_ সৃষ্টি পাবলিকেশন
প্রথম প্রকাশ_ এপ্রিল 2021
মূল্য_ 249
জনরা_ঐতিহাসিক অ্যাডভেঞ্চার থ্রিলার
টোটাল পেজ_ 161

বর্তমান তরুণ লেখক দের মধ্যে অন্যতম হলো সুদীপ্ত কাহালী তার লেখা একটি দারুন বুকটি নিয়ে আমরা আলোচনা করবো।
বুকটি একটি থ্রিলার ধাঁচের যার কাহিনী লেখক দারুন ভাবে শুরু করেছেন।
গল্পের নায়ক ইন্দ্রনীল একজন এজেন্ট হিসেবে দেখতে পাই। ও কাহিনী একটি সৃতিচারণা দিয়ে শুরু হয়েছে ইন্দ্রনীল ছিলো ইসরাইল এর মোসাদ এর একজন সিক্রেক্ট সার্ভিস এজেন্ট যে চুক্তি অনুযায়ী আগামী দিনে অন্তত সে এইই ঘটনা জানাতে পারবে না।যতদিন তাকে পারমিসন দেওয়া হবে।
অবশেষে তাকে পারমিশন দেওয়া হয় তার 52 বছর বয়সে। ও এই ঘটনা গুলি আমরা জানতে পারি একটি ডাইরি আকারে লিপিবদ্ধ।

এবার আসা যাক কাহিনী প্রসঙ্গে
ইন্দ্রনীল ছোট বেলা থেকে ঘুরতে ভালো বাসে ও কর্মসূত্রে সে একজন উকিল। প্রতিবছর নেই এ বছর সে বেড়াতে যায় ইতালী নেপলস সহরে।
ও সেখানে তার সাথে পরিচয় হয় ইংল্যান্ড এর একজন সাংবাদিক মাইকের সাথে। ও সেখানে কিছুদিন থাকার পর তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। সেখান থেকে তারা সমুদ্র সৈকত এ বেড়াতে যায় ও সেখানে পায় একটি বোতল তার মধ্যে থাকে একটি প্যাপিরাস এর কাগজ রাতে লেখা ছিল " আনি বনি ৩ মে ,১৭৮১ লিজার্ট পয়েন্ট ভিলেজ " এবং সে এটি মাইক কে দেখালে মাইক বলে তে এটি একটি গুপ্তধন এর নকশা
যেটি রাজা সুলেমান এর গুপ্তধন। যার হদিস পেয়ে ছিলো অনি বনি ।
সেটি লুকানো আছে ইসরাইল এর খিরবেত কুমরানে, সেই সংকেত লেখা আছে এই প্যাপিরাসে। কিন্তু বড়ো অভিশপ্ত সেই গুপ্তধন?অনি বনি সেটার উদ্ধার করতে চেয়েছিল কিন্তু শেষ অবধি পারেননি।
রাজা সোলেমান ছিলেন ইন্দো এরিয়ান মতো শক্তি উপাশক আর একমাত্র ইন্দো এরিয়ান কোনো সৎ মানুষ তার গুপ্তধন উদ্ধার করতে পারবে। সুলেমান ও আনির Angitia দেবীর উপাসক ছিল। ও তারা কথা দিয়ে দেবীর মন্দির নির্মাণ করেনি।
তাই তাদের উপর নেমে আসে অভিশাপ। ইন্দ্রনীল সেখানে কদিন থেকে সেখান থেকে ফেরার সময় দেবী Angitia মূর্তি কিনে নিয়ে আসে ও তার জীবনে নেমে আসে দেবীর অভিশাপ।
এক এক করে সে তার কাছের মানুষদের তার জীবন থেকে হারিয়ে ফেলে। ও শেষ অব্দি এক ইহুদী উপাশক এর কাছে এর প্রতিকার জানতে পারে যার নাম ছিল আব্রাহাম।
এর পর কাহিনী একটার পর একটা টুইস্ট আস্তে থাকে ও ইন্দ্রনীল অনেক মানুষের সঙ্গে আলাপ হয়।
ও তাকে গুপ্তধন উদ্দার করার জন্য  ইংল্যান্ড ,জর্ডন, ইসরাইল, প্যালেস্টাইন সব জায়গায় যেতে হয়।
কাহিনীর প্রয়োজনে লেখক বেশ দ্রুত গতিতে কাহিনী এগিয়ে নিয়ে গেছেন।
ও কাহিনী শুরু করলে আমরা এক নিঃশ্বাসে কাহিনী পাঠ না করে কোনো উপাই থাকে না।
জমজমাট প্লট আর কিছু সুপার ন্যাচারাল বস্তু কাহিনীর প্রয়োজনে ব্যাবহার করেছেন।
যা গল্পের প্রয়োজনে বাড়তি মনে হয়নি।
শেষ পর্যন্ত কি করে ইন্দ্রনীল কি করে রাজা সুলেমান এর গুপ্তধন উদ্ধার করে আর কি তার দেবী Angitia অভিশাপ থেকে নিজেকে আর তার সাথে তার সঙ্গী সাথীদের উদ্ধার করে ও শেষে আমাদের জন্য দারুন টুইস্ট অপেক্ষা করছে সেটা জানার জন্য আমাদের পড়ে দেখতে হবে সুদীপ্ত কাপালীর লেখা সুলেমানি গুপ্তধন।

রেটিংঃ আমি পার্সোনালি এই নতুন লেখক এর বুক টি কে ১০ এ ১০ দেবো।

 সবার কাছেই অনুরোধ রইলো সবাই আপনারা অতি অবশ্য বইটি একবার পড়ে দেখবেন আশা করি নিরাশ হবেন না।

Post a Comment

0 Comments