সে ইরাবতী
প্রচেত গুপ্ত
পাতাঃ ২২৪
কাহিনীঃ
অপমান অসম্মান যাকে বিধ্বস্ত করেছে। আর তারপরেও ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে উঠে দাঁড়িয়েছে টানটান মাথা উঁচু করে। গড়পড়তা চাকরি, বিয়ে আর শরীরের কামনায় আটকে রাখেনি নিজেকে। জীবনকে সে দেখেছে চ্যালেঞ্জ হিসাবে। যে জীবন স্বপ্নে, সাহসে ঝলসে ওঠে। সে ইরাবতী, সে এক ধারালো মেয়ে।
লেখক পরিচিতিঃ
জন্ম কলকাতায়। বাবা ক্ষেত্র গুপ্ত, মা জ্যোৎস্না গুপ্ত। অল্পদিনেই সাহিত্যিক হিসেবে যে বিপুল জনপ্রিয়তা প্রচেত পেয়েছেন তা চমকে দেওয়ার মতো। সমালোচকরা বলেন, প্রচেত চমৎকার গল্প বলতে পারেন। বিস্ময়কর তার উদ্ভাবনী শক্তি। রোজকার একঘেয়ে জীবনের এক-একটা মুহূর্তে ম্যাজিক ঘটিয়ে দিতে জানেন। নীল আলোর ফুল গল্পগ্রন্থ এবং আমার যা আছে উপন্যাস লিখে তাঁর পথচলা শুরু। তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। তাঁর লেখা কাহিনি নিয়ে বহু সিনেমা, নাটক, টেলিফিল্ম হয়েছে। তার মধ্যে তরুণ মজুমদার পরিচালিত চাঁদের বাড়ি, শেখর দাস পরিচালিত নেকলেস চলচ্চিত্রগুলি উল্লেখযোগ্য। বেশ কিছু পুরস্কার পেয়েছেন। কলকাতা বইমেলা সম্মান, বাংলা আকাদেমি সুতপা রায়চৌধুরি পুরস্কার, বিভূতিভূষণ স্মৃতি পুরস্কার, শৈলজানন্দ স্মৃতি পুরস্কার, প্রতিদিন সাহিত্য সম্মান, রামমোহন লাইব্রেরি সাহিত্য সম্মান ইত্যাদি। বহু ভাষায় তাঁর কাহিনি অনূদিত হয়েছে। এপার বাংলার পুজো সংখ্যাগুলিতে যেমন তিনি নিয়মিত লেখেন, বাংলাদেশের জনপ্রিয় এবং বহুল প্রচারিত ইদ সংখ্যারও তিনি লেখক। প্রচেত বলেন, “আমি সবসময় অপেক্ষা করে থাকি পাঠকের ভালোবাসার জন্য। তাদের মতামতই আমার সেরা পুরস্কার। সে ভালো মন্দ যাই-ই হোক না কেন।”
রিভিউঃ
এই উপন্যাস এর প্রধান চরিত্র ইরাবতী।সে একজন গ্রাম্য কিশোরী থেকে কিভাবে একজন লৌহ মানবী রূপে নিজেকে গড়ে তুলেছিল তার এ কাহিনী এই উপন্যাস এর বিষয়বস্তু।
একটা প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানা প্রদীপ আলো সেটার সাথে ইরাবতী নামক মেয়েটির কি যোগসূত্র আছে।এই কাহিনী একদম শেষ দিকে টা জানা যায়।
আর এই উপন্যাস টির একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বাঙালির ব্যাবসা করতে চাওয়ার মানসিকতা যে শেষ হয়ে যায়নি।এই উপন্যাসের মাধ্যমে তা বর্ণিত আছে।
সবশেষে বলবো এই উপন্যাস পড়তে ভালোই লাগবে। কখনো পড়তে পড়তে একঘেয়েমি আসবে না।
রিভিউটি লিখেছেনঃ আমি অনামিকা
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।