নোলা - কৌশিক মজুমদার Nola by Koushik Majumdar

নোলা - কৌশিক মজুমদার Nola by Koushik Majumdar

বই- নোলা 
লেখক- কৌশিক মজুমদার 
প্রকাশনী- বুক ফার্ম

কৌশিক মজুমদার বাবুর প্রথম বই পড়ি সূর্যতামসি,তারপর খুঁজতে গিয়ে দেখি, উনি অনেক রকম বিষয় এর উপরই বই লিখেছেন।এই রকম খাবারের উপর লেখা বই হল নোলা।আমরা এখন যে ধরনের খাবার খায়,বা কোন সময় এর খাওয়া কে কি বলি তার ইতিহাস, কি ভাবে এই চল গুলো এল, তার সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন বই এ।ফুডকা খ্যাত ইন্দ্রজিত লাহিড়ি বাবু এই বই এর ভূমিকা লিখেছেন, সেটিও বেশ মজার।
Recipe নই, কিন্তু খাবার নিয়ে লেখা বই আমার খুব পছন্দের।তাই বইটি পরে আমার খুব ভালো লেগেছে।আশা করব, এই রকম বই নিয়ে কৌশিক মজুমদার বাবু আবার ফিরে আসবেন।

রিভিউটি লিখেছেনঃ Dibyendu Rano

নোলা- কৌশিক মজুমদার। 

 আমি খাদ্যপ্রিয় ও খাদ্যরসিক মানুষ। খাবার এর সাথে সাথে যদি সেই খবর সম্বন্ধে মজার মজার ও প্রাসঙ্গিক তথ্য জানা যায়, তাহলে সেই খাবার এর স্বাদ দ্বিগুণ হয়ে ওঠে। বাঙালির অতি প্রিয় খাদ্য লুচি থেকে শুরু করে, দই চিঁড়ে, বা মাছ, মিষ্টি, বিরিয়ানি, চা, ভোজবাড়ির খাবার, সব কিছুর অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরেছি বই টি পড়ে। খাবার এর ইতিহাস সহজ ভাষায় সাবলীল ভাবে কৌশিক বাবু লিখেছেন। পড়ে সমৃদ্ধ হলাম।

review
বই: নোলা
লেখক: কৌশিক মজুমদার 
প্রকাশনী: বুকফার্ম 
রেটিং : ৮/১০

যাবার শুধু মানুষ কেন, পৃথিবীর যে কোন প্রাণীর কাছে অত্যাবশকীয়। তাই ব্যক্তিভেদে রকমফের থাকলেও, বেঁচে থাকার এই প্রথম শর্তটি আমাদের সকলেরই কম-বেশি প্রিয়। খাবার নিয়ে রোজ নতুন নতুন experiments এর পাশাপাশি পিছনের দিকে ফিরে অতিচেনা রোজকার খাবারগুলোর শুরুর দিনটার কথাও ভাবতে ইচ্ছে করে মাঝে মাঝে। কোনো বিশেষ পদ হোক বা তা খাওয়ার নিয়ম - কে প্রথম ভেবেছি কিভাবে কারোর মাথায় এলো, কেনই বা সে হঠাৎ এরকম ভাবতে গেলো, যেকোনো নতুন খাবার খেতে গেলে এ চিন্তা মাথায় আসা স্বাভাবিক। আর এভাবেই তৈরি হয় বিশেষ বিশেষ খাবার নিয়ে নানারকম গল্প। এ বইও আমাদের হদিশ দেয় সেই রকমই কিছু গল্পের। লেখক সূচিপত্রটি সাজিয়েছেন নিপুনভাবে, ঠিক যেন মেনুকার্ড। ব্রেকফাস্ট থেকে শুরু করে স্টার্টার, মেনকোর্স, ডেজার্টের রকমারি মেনুতে সাজানো লাঞ্চ, ডিনার পেরিয়ে এখানে হাজির পান এবং পানীয়েরও বিচিত্র সমাহার। শুধু তাই নয় আছে নানা ফাস্টফুডও। দেশি-বিদেশি দুরকমের মেনুই | আপনি পাবেন এই ফুডকোর্টে। এইসব খাবারের কি, কেন, কখন- সব প্রশ্নের উত্তর আছে এই ছোটো ছোটো গল্পগুলোতে। সঙ্গে আছে খাবার নিয়ে এডওয়ার্ড লিয়ারের আজব রেসিপি, মেনুকার্ড, কুকবুকের জন্মের প্রসঙ্গও। এবার আসি বইটার খামতির দিকগুলোতে। প্রথমেই আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়েছে যে বিষয়গুলোর অতিরিক্ত সংক্ষেপ হয়ে গেছে আর একটু বিশদ হলে বোধহয় ভাল হতো। তবে উইকিপিডিয়ার যুগে এ নিয়ে আর অভিযোগ করছি না। এই কথার সূত্র ধরেই বলি, সব তথ্য যদি নেট মাধ্যমেই পেয়ে যাই তবে আর আলাদা করে বইটা কেন পড়ব। তার কারণ, জ্ঞান আর গল্প এক জিনিস নয়। গুগুলে অনেক তথ্য পাবো ঠিকই, কিন্তু তাতে না থাকবে গল্প শোনার মজা, আর না থাকবে তথ্য খোঁজার ধৈর্য। আর গল্প শুনতে আমরা ভালবাসি, গল্প সহজে মনেও থাকে অনেকদিন। গল্প শুনে যদি কোনো বিশেষ বিষয়ে বিশদে জানার থাকে তখন নাহয় জ্ঞানভান্ডার-এ যাওয়া যাবে। আর আগে মজার মজার খাবারের গল্প একটু চেখে দেখতে ক্ষতি কি?? 

Post a Comment

0 Comments