Movie Name - Forensic
Platform - Zee 5
Starring- Vikrant Messy, Radhika Apte, Prachi Desai
অনেকদিন পর কোনো মুভি দেখলাম। ট্রেলারটা দেখে বেশ আকর্ষণীয় লেগেছিল, তাই দেখার সিদ্ধান্ত নিই। এমনিতেই ক্রাইম থ্রিলার বইতে পড়তে যেমন ভালোলাগে তেমন ভালো লাগে পর্দায় দেখতেও।
গল্পটির প্রেক্ষাপট পাহাড়ি শহর মুসৌরি। এই শহরেই একের পর এক বাচ্চা মেয়ে নিজের জন্মদিনের দিন খুন হতে থাকে। মুসৌরি পুলিশ সিরিয়াল কিলিং সন্দেহ করে ডেকে পাঠায় দেরদুন নিবাসী তুখোড় ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ জনিকে (বিক্রান্ত মেসি) আর কেসের তদন্তের ভার পড়ে ইন্সপেক্টর মেঘা (রাধিকা আপ্তে)- র ওপর। এখান থেকেই গল্প এগিয়ে যায়।
ভালোলাগার বিষয়:
১. বিক্রান্ত ও রাধিকা দুজনেই খুব পছন্দের অভিনেতা। ওদের অভিনয় বরাবরের মতই ভাল লেগেছে। বাকি চরিত্ররাও ভাল অভিনয় করেছে, বিশেষ করে আনিয়া আর রোহনের চরিত্রের শিশু শিল্পী দু'জন খুবই ভাল।
২. বিভিন্ন দৃশ্যের উপস্থাপন কৌশল যথেষ্ট প্রশংসনীয়।
৩. শুরুর থেকে শেষ অবধি টানটান উত্তেজনার মধ্যে গল্প এগিয়ে গিয়েছে। উত্তেজনা শুরুর থেকে শেষ অবধি বজায় ছিল।
৪. অহেতুক গান বা রোম্যান্টিক দৃশ্য মাঝখানে ঢুকিয়ে রহস্যের উত্তেজনাকে বিন্দুমাত্র খেলো করা হয়নি। গানগুলো খুব ভাল না হলেও গল্পের সঙ্গে মানানসই ছিল।
৫. সিরিয়াল কিলিংয়ের ঘটনার পাশাপাশি মেঘা, জনি, আনিয়ার জীবনের যে ব্যক্তিগত টানাপোড়ন দেখানো হয়েছে তা বেশ উপভোগ্য এবং গল্পের প্রয়োজনে প্রাসঙ্গিকও। যেটুকু সময় এই সাব প্লটের জন্য দেওয়া প্রয়োজন ছিল, ততটুকুই দেওয়া হয়েছে, বেশি নয়। এর ফলে গল্পটি নির্মেদ হতে পেরেছে।
খারাপ লাগা:
১. শুরুর দৃশ্য থেকে শুরু করে কিছু কিছু জায়গায় বিক্রান্তের চরিত্রকে যেভাবে আঁকা হয়েছে, সেটা আমার কাছে একটু অতিরঞ্জিত বলে মনে হয়েছে। 'কুল মাইন্ডেড' ফরেনসিক ডক্টর দেখাতে গিয়ে একটু বাড়াবাড়ি করে ফেলা হয়েছে বলে আমার মনে হয়েছে।
২. স্বীকার করতেই হবে যে আমার মত যারা থ্রিলার ভক্ত তারা কিন্তু প্রথমার্ধের মধ্যেই আসল খুনিকে পুরোপুরি চিনে নিতে না সক্ষম হলেও আন্দাজ একটা করতেই পারবে। দর্শকের দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য অন্যান্য কিছু চরিত্রের ব্যবহার সন্দেহজনক করে তোলার চেষ্টা করা হলেও সেটা খুব একটা ফলপ্রসূ বলে আমার মনে হয়নি কারণ এখন সবাই জানে যে যাকে এরকম দেখাবে সে কোনোদিনও আসল অপরাধী হবে না।
৩. পাহাড়ি রাস্তায় গাড়ি নিয়ে চেসিং সিনটা অতিরঞ্জিত মনে হয়েছে। এছাড়া দু'জন পুলিশের লোক অন্য পুলিশকে যেভাবে দুর্ঘটনার মুখে ফেলছে- ব্যাপারটা দেখতে খারাপ লাগে কারণ সিনেমায় যদিও দেখানো হয়েছে কোনো বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি কিন্তু দৃশ্যগুলো দেখলেই মনে হয় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে প্রাণহানি ঘটাও অসম্ভব ছিল না। সেটা দু'জন দায়িত্বশীল অফিসারের কাছে কাম্য বলে মনে হয়নি। ওই জায়গায় পালানোর দৃশ্যটা অন্যরকম ভাবে পরিকল্পনা করা যেত।
পরিশেষে বলব, সিনেমাটি নিঃসন্দেহে বেশ উপভোগ্য। আর আমার মত যারা ছোটর থেকে CID র ফ্যান, তাদের জন্য সিনেমার শেষ অংশে ডঃ সালুঙ্কের আগমন এবং বেশ কিছু CIDর ডায়লগের ব্যবহার আলাদা মাত্রার আনন্দ দিয়েছে।
আমি সিনেমাটিকে রেটিং দেব - ৭/১০।
(বি.দ্র. - আমি কোনো চলচ্চিত্র সমালোচক নই কিংবা সিনেমা যে প্রচুর দেখি তাও নয়। সিনেমাটি দেখা নিজের যা মনে হয়েছে সেটুকুই বলেছি মাত্র।)
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।