পাঠপ্রতিক্রিয়া
চৌথুপীর চর্যাপদ
লেখক এবং প্রকাশক: প্রীতম বসু
ত্রয়োদশ শতাব্দীর প্রাককালে বাংলা তথা ভারতবর্ষের আধুনিক শিক্ষার অন্যতম পীঠস্থান চৌথুপীর সংঘারামের মহাস্থবির আবিষ্কার করলেন যে সংঘারামের সমস্ত অমূল্য পুঁথি চুরি গেছে।
এরপরের প্রেক্ষাপট একবিংশ শতক। আর্কিওলজিস্ট যোজনগন্ধা সংবাদপত্রের পাতায় দেখেন চৌথুপীতে অবলোকিতেশ্বরের মূর্তি উদ্ধার হয়েছে। সেই মূর্তির পিছনে সিদ্ধম নামক সাংকেতিক হরফে চর্যাপদ লেখা। এই চৌথুপীতেই যোজনগন্ধার বাবা প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে গিয়ে রহস্যজনক ভাবে নিঁখোজ হন। এখান থেকেই মূল কাহিনীর সূত্রপাত। এরপর যোজনগন্ধা চৌথুপীতে যাবেন, কীভাবে ঘটনাবহুল কাহিনী তার এগোবে, সেটাই কাহিনীর মূল উপজীব্য বিষয়।
লেখক এখানে দ্বাদশ -ত্রয়োদশ শতাব্দীর তৎকালীন সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক কাহিনী খুব নিপুণতার সঙ্গে ফুটিয়ে তুলেছেন। কখনো তথ্যের ভারে ভারাক্রান্ত লাগেনা, একটুও তাল কাটেনি।
ঐতিহাসিক কাহিনীটি তৎকালীন বাঙালী বিদুষী নারী সঞ্জীবনী তথা গন্ধকালীকে কেন্দ্র করে রচিত; বর্তমান কালের কাহিনী যোজনগন্ধকে কেন্দ্র করে। গল্পের অন্যতম প্রধান চরিত্র হাফি হাবিলদার। এছাড়াও আরো অনেকেই প্রধান চরিত্র, সবাই যেন একে অন্যের পরিপূরক।
বইটি একাধারে থ্রিলার, ঐতিহাসিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় সমস্ত কাহিনীর সমন্বয়। তবে শেষের কয়েক বিবরণটুকু আর একটু বিস্তারিত হলে ভালো হত।
যাইহোক, চৌথুপীর চর্যাপদ সবমিলিয়ে পড়ে দেখার মত একটি বই।
রিভিউটি লিখেছেনঃ Saheli
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।