অগ্নিবাণ
(ব্যোমকেশ কাহিনী )
লেখক শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রথমেই বলে রাখা ভালো এই ব্যোমকেশ কাহিনী আর পাঁচটা রহস্য কাহিনী থেকে কিছুটা আলাদা। কাহিনী শুরু হয় ব্যোমকেশ ও অজিতের অতি পরিচিত এক যুবকের বোনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। মৃত্যু আপাতভাবে স্বাভাবিক হলেও ব্যোমকেশ মনে করে এ মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। কিন্তু মৃত্যু কিভাবে হয়েছে বা মৃত্যুর কারণ সম্বন্ধে কোন ধারনাই পাওয়া যায় না। যদি এই মৃত্যু হত্যা হয় তাহলে তার মোটিভ কি সেটাও অধরা থেকে যায়। ঘটনা পরম্পরায় অনেক তথ্যই প্রকাশ পায়, কিন্তু সত্যের কাছে পৌঁছানো যায় না। কাহিনীর একেবারে শেষ প্রান্তে এসে হত্যাকারী কে এবং হত্যার উদ্দেশ্য কি তা প্রকাশ পায়।
তার আগে পর্যন্ত টানটান সাসপেন্স বজায় থাকে। এই রচনাটিকে শুধুমাত্র একটি গোয়েন্দা কাহিনী বললে ভুল বলা হয়। এই কাহিনীর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে এক বৈজ্ঞানিকের ব্যথা, যন্ত্রণা এবং আবেগ। বৈজ্ঞানিক মাত্রই তার নিজের আবিষ্কারের প্রয়োগ দেখার জন্য উদগীব হয়ে থাকেন। কিন্তু তার পরিণতি যদি ভয়ঙ্কর হয়! গল্প শেষ হয়ে গেলেও তা একটা গভীর চিরাচরিত প্রশ্নচিহ্ন রেখে যায়, বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ?
গল্পটি নিয়ে sunday suspense হয়েছে, সাম্প্রতিককালে ওয়েব সিরিজ হয়েছে।
তবু যারা একটু অন্য স্বাদের রহস্য গল্প ভালবাসেন তারা অবশ্যই পড়ে দেখতে পারেন।
রিভিউটি লিখেছেনঃ
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।