সারমেয়
তিতাস দাস
রাত ঠিক ৯ টার পর থেকেই ফ্ল্যাটের বারান্দার গ্রিলের ফাঁকে মুখ রেখে নীচের দিকে তাকিয়ে কুই কুই করতে থাকে কুকুরটা। রোজই দেখে বাবাকে নীচে দাড়িয়ে থাকতে, পায়চারি করতে। বুঝতে পারে না, বাবা ওপরে আসে না কেন। বাড়ির আর কেউ বাবাকে ডেকে আনে না কেন ঘরে?
আধ ঘন্টা পর বাবা চলে যায় অথচ একবারের জন্যেও কুকুরটার দিকে ফিরে তাকায় না। বাড়ির লোকের কাছেও ব্যাপারটা গা সওয়া গেছে। আজকাল ৯ টা বাজলেই কেউ একজন বারান্দার দরজাটা খুলে দেয়।
কিন্তু আজ এতদিন পর বাবা এসেই ওপরের দিকে তাকাল দেখে কান ঝেড়ে চট করে উঠে দাড়াল কুকুরটা। ওই তো বাবা ডাকল হাত নেড়ে, ঠিক যেভাবে হাঁটতে যাওয়ার সময় ডাকত। আজকের দিনটার জন্যেই তো এতদিন অপেক্ষা ছিল ওর। খুশিতে ল্যাজ নেড়ে দু'বার পাক খেয়ে নিল, তারপর নিচে পৌঁছেই কত চিৎকার।
ব্যাপারটা বাড়ির লোকের কাছে অস্বস্তিকর, কারণ এগারো তলার বারান্দা থেকে বাবা নীচে পড়ার পর কুকুরটাকে আর কেউ কখনও জোরে ডাকতে শোনেনি। দূর থেকে চেনা আওয়াজটা কানে এলেও বারান্দায় কুকুরটার তখনও অল্প গরম শরীরটা ছাড়া আর কিছু ছিল না।
রিভিউটি লিখেছেনঃ তিতাস
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।