নটরাজ
সিদ্দিক আহমেদ
রেটিংঃ ৪/৫
ভারতীয় উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটে রচিত চমৎকার একটি আর্কিওলজিক্যাল থ্রিলার। প্রাচীন চোল সাম্রাজ্য নিয়ে লেখক বিস্তর পড়াশুনা করেছেন, তা বইটা পড়লেই বোঝা যায়। এই বই পড়ে আমার মতো জ্ঞানপিপাসু পাঠকরা চোল সাম্রাজ্যের ইতিহাস, উত্থান-পতনসহ পারিপার্শ্বিক দিকগুলি সম্পর্কে সম্যক ধারণা পেতে পারেন। এই বইটিকে অনেকটা গবেষণাধর্মী বইও বলা চলে, কারণ বিভিন্ন ইতিহাসভিত্তিক প্রমাণ যে চোলদের আদিভূমি হিসাবে এই বঙ্গের দিকেই ইঙ্গিত বহন করে, সেই বিষয়ে লেখক রীতিমতো রিসার্চ করে নিজস্ব হাইপোথিসিস তৈরি করে এই বইটি লিখেছেন এবং সেই হাইপোথিসিস মোটেও শুধুমাত্র কল্পনাপ্রসূত বলে উড়িয়ে দেওয়া যায়না, বরং বেশ কিছু ক্ষেত্রে তা সম্পূর্ণ যৌক্তিক ও বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়। বইয়ের শেষের দিকে টুইস্টের উপর টুইস্ট বিষয়টা ভালো লাগলেও, সে অংশটা বেশ তাড়াহুড়ো করে লেখা বলে মনে হয়। বইটি বেশ দ্রুতগতির বই, একবার বসেই শেষ করা যায়। সবমিলিয়ে এই আর্কিওলজিক্যাল থ্রিলার ঘরানার বইটি লেখকের একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
রিভিউটি লিখেছেনঃ Sagnik Bhaduri
নটরাজ
সিদ্দিক আহমেদ
আলোঘর প্রকাশনী
জিতু, সিহাব, আর নাবিলা তিনজনে বাংলাদেশের বান্দরবানের আন্ধারমানিক রিজার্ভ ফরেস্টে ঘুরতে গিয়ে চোল যুগের একটি নটরাজ আবিস্কার করে বসে। সেইটার ফটো নিজের ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করার কদিন পড়েই জিতু খুন হয়। এর কিছুদিন পরেই এক ইন্দো-বঙ্গ আর্কিওলজিকাল এক্সক্যাভেশন টিম এসে পৌছায় ঐ সাইটের উদ্দেশ্যে অভিযান করতে। তাদের ধারনা ওখানে চোল যুগের ঐ মুর্তিটি ছাড়াও আরো মূল্যবান প্রত্নবস্তু পাওয়া যাবে। তার জিতুর খোজ করে, কিন্তু তার আগেই তো জিতু খুন হয়ে গেছে। তাহলে কি আরো কোন টিম ঐ এক্সক্যাভেশন সাইটের খোজে আছে? কিন্তু তারা খুনটা করল কেন? আন্ধারমানিকে পৌছে কি অমূল্য প্রত্নবস্তুগুলো পাওয়া যাবে? যেখানে পদে পদে ওত পেতে আছে বিপদ, যার কিছু প্রাকৃতিক, ও কিছু মনুষ্যসৃষ্ট।
এইরকম ঐতিহাসিক থ্রিলার পড়তে খুব ভালো লাগে যার মধ্যে ইতিহাস, মিথলজি, লোককথা, আর্কিওলজি, এবং এক্সক্যাভেশন সাইটের বুবি ট্র্যাপ, ষড়যন্ত্র, বিশ্বাসঘাতকতা সব মেশান। একদমে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে ফেলার মত উপন্যাস এটা।
রিভিউটি লিখেছেনঃ
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।