বই : নীবারসপ্তক
লেখক : কৌশিক মজুমদার
নীবারসপ্তকের পূর্ববর্তী খন্ড সূর্যতামসী পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলাম। বইটি শেষ হবার পর "তারপর কি হলো" উত্তেজনায় নীবারসপ্তক মূদ্রিত হয়েছে জানতে পারা মাত্র পাঠকবন্ধুর মাধ্যমে আনাই। আমি ভালো পাঠক। কিন্তু পাঠপ্রতিক্রিয়া দেবার ব্যাপারে খুব একটা ভালো নই। এই পোষ্ট ভালোলাগা ভাগ করে নেবার জন্য।
ইনটিউশন বলছিলো এই বই শুরু করার আগে সূর্যতামসী আর একবার পড়ে নেওয়া ভালো। খুব কম রহস্য কাহিনী দ্বিতীয় বার পড়ার সময়ও একই রকম উত্তেজনা ধরে রাখতে পারে। সূর্যতামসী সেই বিরল জাতের এক লেখা। দ্বিতীয় বার পড়ার সময় মনে হচ্ছিল আগের বার অনেক কিছু লক্ষ্যই করিনি।
নীবারসপ্তকে আগের চরিত্রগুলোর সাথে আরো নতুন বেশ কিছু চরিত্র এসেছে। ঘনিয়ে এসেছে আরো নতুন জটিলতা। দেখা গেল যে সমস্যার সমাধান হয়ে গেছিল বলে মনে করা হয়েছিল তা ফিরে এসেছে জটিলতর রূপে। সমাজের যে দিকগুলো নিয়ে আমরা তথাকথিত স্বাভাবিক মানুষেরা মাথাই ঘামাই না, তারাও নিজেদের অবস্থান জানায় প্রখর ভাবে।
হ্যাঁ। খুব high expectations ছিল বইটি নিয়ে। আশাভঙ্গ হয় নি। মুগ্ধতায় আমি আচ্ছন্ন।
রিভিউটি লিখেছেনঃ Dr Jeet Majumder
বইয়ের নাম: নীবারসপ্তক
লেখক: কৌশিক মজুমদার
সূর্যতামসী যখন পড়েছিলাম তখন মনে হয়েছিল একটা স্যান্ডউইচ এর মধ্যে অতিরিক্ত চিজ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দা উপন্যাস এর মধ্যে চেপে চেপে তথ্য ঢোকানো হয়েছে। কিন্তু পড়তে নেহাতই আমার খারাপ লাগে নি।কারন এখনকার থ্রিলার বা গোয়েন্দা উপন্যাস হলে তথ্য নির্ভর হতেই হবে। কিন্তু দ্বিতীয় খন্ড নীবারসপ্তক একটু আলাদা। তথ্য যতোটুকু লাগবে ততটুকুই দাওয়া হয়েছে। তুর্বসু, দারোগা প্রিয়নাথ, সাইগারসন, শৈল গণপতি প্রত্যেকের চরিত্র এখানে আরো স্পষ্ট হয়েছে। প্রথম দিক থেকে যে কাহিনীটি ধীরে ধীরে দানা বাঁধছিল এখানে এসে প্রায় পরিপূর্ণতা লাভ করেছে। সূর্যতামসী তে যে চিনা গ্রুপ ইচিং এর কথা বলা হয়েছিল সেটি এখানে বদলে হবে ফ্রিম্যাসন। লেখক-পাঠক কে ভুলভুলাইয়া এর মত ঘোরাচ্ছেন এখন। অন্তিম পর্ব না আসা পর্যন্ত বোঝা যাচ্ছে না শেষে কি হবে?
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।