নন্দিনী
লেখক আনিসুল হক
এই নাম দিয়ে হুমায়ুন আহমেদেরও একটা ছোটগল্প আছে, আর এটা উপন্যাস। এই নামের চরিত্র বনফুল, রবীন্দ্রনাথ, হুমায়ুন আহমেদ অনেকেই নিয়েছে। তবে আনিসুল হকের গল্পে কোনো চরিত্রের নাম নন্দিনী নয়। এখানে একটি থিয়েটার গ্রুপ আছে যারা রক্তকরবী করছে, সেখানে যে নন্দিনী হচ্ছে তার নাম মুক্তি। দেখা যাচ্ছে মুক্তি শুধু অভিনয়েই না নিজের আসল জীবনেই নন্দিনী হয়ে ওঠে যাকে সবাই চায়, বুড়ো রেজা সাহেব থেকে তার বাচ্চা ভাইপো দীপ্র, থিয়েটারের মানুদা, বায়েজিদ, রহমান সাহেব, জনপ্রিয় অভিনেতা তৌফিক আহমেদ, কাজিন রয়েল (যেহেতু মুসলিমদের ভিতর কাজিন ম্যারেজ হয়), প্রত্যেকে। কেউ বিশু, কেউ কিশোর, কেউ রাজা, কিন্তু কে রঞ্জন? প্রথমে মনে হচ্ছিলো আহামরি কিছু না, পুরোটা পরে ভালোই লাগলো, আবার মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে আহামরি কিছু না, আবার মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে সাধারণ এর মধ্যে অসাধারণ এটা নিয়ে সিনেমা হওয়া উচিত। আমি আমার কনফিউশন নিয়ে আছি, আপনারা পড়ে নিতে পারেন কোনটা ঠিক ভাবতে। যাই হোক, একজনের পিছনে সবাই পাগল, ঠিক আছে, তাই বলে টিভি অভিনেতাও যার পাশে সুন্দরীরা সবসময়? গুণের কথা বলেছে, সেরকম তো কিছু দেখলাম না , অভিনয়ের কথা বলছে কিন্তু সেটা নিয়েও বেশি লেখেনি, কিন্তু কোনো বইও পড়ে না। যাক মেয়েটা বড় দুঃখী। তার শেষে কী হয়?
রিভিউটি লিখেছেনঃ Nandini Biswas
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।