বই: মৃত্যুর নিপুণ শিল্প
লেখক সৈকত মুখোপাধ্যায়
বর্তমানের লেখকদের মধ্যে সৈকত মুখোপাধ্যায় আমার অত্যন্ত প্রিয় লেখক। যে কয়েকজন শক্তিশালী লেখকের হাত ধরে বাংলা সাহিত্যের ডার্ক জঁরের পুনর্জাগরণ পর্ব শুরু হয়েছে তাঁদের মধ্যে অন্যতম তিনি। তাঁর প্রায় প্রতিটা বইই আমার পড়া এবং সংগ্রহে রাখা। কোনো বই পড়েই নিরাশ হই নি। এই বইটাও তাদের মধ্যে একটা।
এই বইয়ে তিনটি বড় গল্প আছে।
1. মৃত্যুর নিপুণ শিল্প
2. মাননীয় অমানুষ
3. ঘাতকের মুখ
প্রত্যেকটি গল্পই অন্যরকম, মৃত্যুগন্ধী এবং অসম্ভব ভালো।
মৃত্যুর_নিপুণ_শিল্প গল্পে এক অ্যন্টিক শপের মালিক কুণাল। হঠাৎই একদিন কুণালের হাতে চলে আসে mother of pearl এর তৈরি কিছু জিনিস। খোঁজ করতে করতে করতে পাঠক পৌঁছে যায় এক অপ্রকৃতিস্থ বায়োলজিস্ট সুধাকর আপ্তের কাছে। তারপর? গল্প মোড় নেয় এক ভয়াবহ সত্যের দিকে...
ভীষণ ভীষণ ভালো লেগেছে বায়োলজিকাল এই থ্রিলার উপন্যাসিকাটি। মৃত্যুর বর্ণনা লেখকের হাতের গুণে এখানে সত্যিই শিল্প হয়ে উঠেছে।
মাননীয়_অমানুষ
এই গল্পটিকে কসমিক ফিকশন বলাই যেতে পারে। এই গল্পটিও আমার বেশ ভালো লেগেছে।
ঘাতকের_মুখ গল্পে
সাঁওতাল পরগণার এক গ্রামে ছুটি কাটাতে গিয়ে কিছু মানুষের অভাবনীয় পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার কথা বলা হয়েছে। ঘটনাক্রমে এঁদের মধ্যে দুজন সেখানকার এক শ্মশানবাসী 'জানগুরু'র রোষানলে পড়েন এবং তাঁর অভিশাপের শিকার হন। আসল সত্যিটা ঠিক কী?
এই গল্পটাও দুর্দান্ত লেগেছে আমার। সাইকোলজিকাল থ্রিলার ঘরানার এই গল্পটিতে মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা আর আতঙ্কের টানাপোড়ন স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে।
সৈকত মুখোপাধ্যায়ের গল্পের মূল আকর্ষণ ওঁর লেখার ঝরঝরে ভাব আর বিশদ বর্ণনা। তাই একবার হাতে তুলে নিলে নামিয়ে রাখা যায় না। তিনটে গল্পেই বেশ টানটান উত্তেজনা ছিল। অবশ্যই অবশ্যই পড়ে দেখতে পারেন।
রিভিউটি লিখেছেনঃ Saheli
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।