মরণবিভা
সৈকত মুখোপাধ্যায়
বক্সা টাইগার রিজার্ভের একটি ছোট অঞ্চল ‘হরিণভূমি বিট্’।
হরিণডুবিতে আছে একটি ভাঙা দূর্গ, নাম ‘শিরোমণির গড়’। জঙ্গলে বসবাসকারীদের বিশ্বাস একদিন ঐ ভাঙ্গা দূর্গে আবার ফিরে আসবে তাদের বহুদিন আগে মৃত রাজা – রাজা শিরোমণি। তাদের জীবনের সব অন্ধকার, অভাব ঘুচবে, তারা পাবে অরণ্যের অধিকার।
শিরোমণি গড়ে tourism hut বানানোর জন্য কোটিপতি বিনতা মেহরা তার টাকার জোর কাজে লাগালেন যেখানে বক্সা টাইগার রিজার্ভের অন্তর্গত হওয়ার অঞ্চলটি জনগনের প্রবেশ নিষিদ্ধ।
তার সঙ্গে হাত মেলাল মধু বর্মণ, আদিবাসীদের বিশ্বাসঘাতক নেতা।
হরিণডুবির দায়িত্বে থাকা ফরেস্ট অফিসার প্রমিত কিছুতেই বুঝতে পারে না কীভাবে নদীর ওপারে, ভূটানপাহাড়ের মাথায় লুকিয়ে থাকা টেররিস্ট পোচারদের বুলেট অন্ধকারেও নিখুঁত লক্ষ্যে বিঁধে যাচ্ছে হরিণডুবির ফরেস্ট গার্ডদের বুকে। কিভাবে রাতের অন্ধকারে তারা টার্গেট কে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে? মারা যায় প্রমিতের অত্যন্ত বিশ্বস্ত তিন বন্ধু এবং অত্যন্ত দক্ষ forest guard যারা চোরাশিকারিদের দুয়ো দিতে ওস্তাদ। খুন হন টাকার কুমির বিনতা মেহতা হরিণডুবির চরে।
জঙ্গলের মানুষের সরলতার সুযোগে কি ভিতর ভিতর চোরাচালান এর সাথে অন্য কোনো ব্যবসা ফেঁদেছে কোনো কুচক্রী মাথা?
বিভ্রান্ত প্রমিতের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে জঙ্গলে নৃতত্বের ফিল্ডওয়ার্ক করতে আসা এক পড়ুয়া মেয়ে – দ্যুতি। উত্তর খোঁজার কাজে দ্যুতিও প্রমিতের সাথে হাত মেলায়। শেষ অবধি কি প্রমিত আর দ্যুতি খুঁজে পাবে এই সমস্ত হত্যার মূল চক্রীকে?
অন্যরকম এই থ্রিলার টি এককথায় অসাধারণ। যারা থ্রিলার প্রেমী, তাদের আশাকরি প্রাপ্তবয়স্ক এই থ্রিলার টি নিরাশ করবে না।
রিভিউটি লিখেছেনঃ
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।