লাল রঙের পৃথিবী
রুপক সাহা
বইটি লেখা হয়েছে আমাদের কলকাতায় অবস্থিত সোনাগাছি নামক থুব জনপ্রিয় যৌনপল্লী / পতিতাপল্লী/ নিষিদ্ধপল্লী যাই বলুন আপনারা, সেই সোনাগাছি নিয়ে এবং তার মধ্যেকার মানুষজনের জীবনযাত্রা নিয়ে। গল্পের মধ্যে রয়েছে ~ অবশ্য একটু হয়তো ভুল বললাম গল্প নয় উপন্যাস বললে বোধহয় বেশি মানানসই হয় ~ নিষিদ্ধ পল্লীর মানুষদের (মেয়েদের) জীবনযাত্রা, তাদের জীবনের প্রবাহ, নিষিদ্ধ পল্লীর মধ্যেও রাজনৈতিক দলাদলি, এবং কিছু মানুষের কথা যাদের নিষিদ্ধপল্লীতে থেকেও নিষিদ্ধপল্লীর নিষিদ্ধতা ছুঁতে পারেনি, যাদের মন সকালের শুভ্র শিশির ভেজা পদ্মের মতো ।
সমস্ত চরিত্রগুলোকে চোখের সামনে দেখতে পাবেন এখানে লেখককে প্রশংসা না করে পারিনা, সমস্ত মন প্রান দিয়ে তিনি চরিত্রগুলোকে জীবন্ত করে তুলেছেন। পড়া শেষ হওয়ার পরও চরিত্রগুলো মনের মধ্যে অনেকক্ষণ থেকে যায়।
শেষ করার আগে আরেকটা কথা বলতে চাই রুপক সাহা লেখকের নামটা আমার কাছে নতুন এই প্রথম ওনার বই পড়লাম কিন্তু দেখলাম বইএর কোথাও লেখক পরিচিতি নেই , লেখকের সম্পর্কে জানতে পারলে খুব খুশি হটাম । লেখকের আর কোনো ভাল বই এর নাম কারোর জানা থাকলে জানাবেন।
সর্বোপরি দারুন বই এটি পারলে অবশ্যই পড়ে দেখুন।
আর এই প্রথমবার Review দিলাম কেমন হয়েছে জানাবেন আর কোনো ভুলত্রুটি হলে জানাবেন। (মতামত ব্যক্তিগত)
লাল রঙের পৃথিবী
রূপক সাহা
কলকাতার নিষিদ্ধপল্লি সোনাগাছি এলাকাকে কেন্দ্র করে এই উপন্যাস। লেখকের কলমে উপন্যাসের চরিত্রগুলি জীবন্ত হয়ে উঠেছে। এখানকার মেয়েদের প্রতিদিনের জীবন যাপন এবং তাদের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না লেখক নিখুঁত দক্ষতার ফুটিয়ে তুলেছেন। তাই বই শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও হিমন, ডালিয়া, আলতামাসি, পুতুল, ডলি, গোপা, শান্তা এবং আরো সব চরিত্র গুলির রেশ বহুক্ষণ থেকে যায় মনের মধ্যে। এখানকার নানা সমস্যা, অবাঙালি যৌন ব্যবসায়ীদের প্রতিপত্তি বৃদ্ধি, রাজনীতি, অসাধু এনজিওদের কারবার সবই উঠে এসেছে গল্পে। সাধারণ মানুষের মধ্যে এই এলাকার সম্বন্ধে একটা কৌতুহল থাকে। এই উপন্যাস পাঠকের সেই কৌতূহল অনেকাংশেই মেটাবে। তবে উপন্যাসের মুখ্য চরিত্র হিমনের পাকাপাকি ভাবে এই এলাকায় থেকে যাওয়ার কারণটা ঠিক যুক্তিগ্রাহ্য মনে হয়নি।
রিভিউটি লিখেছেনঃ Sunibesh Mandal
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।