উপন্যাস - কৃষ্ণপক্ষ
লেখক - হুমায়ুন আহমেদ
হুমায়ুন আহমেদ রচিত কৃষ্ণপক্ষ পড়লাম।কেমন একটা বিষন্নতার প্রলেপ মাখানো অনুভূতির বোধ যে হচ্ছে তা বলে বোঝানো যাবে না।এমনিতেই আমি হুমায়ুন স্যারের লেখার অনুরাগী বিশেষ করে মনস্তাত্ত্বিক বিষয়ের ওপর লেখা গল্প উপন্যাসগুলো আমার ভীষণরকম ভালোলাগার জায়গা কিন্তু এ উপন্যাস পড়ে অন্যরকমভাবে স্যারের লেখনীর এক অন্য আঙ্গিক জানতে পারলাম।
অরু আর মুহিব পরিবারের কাউকে কিছু না বলে বিয়েটা সেরে ফেলে। এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে ওঠে। কিন্তু তাদের একসাথে থাকা ও সংসার পাতা হয় না, সেইদিনই মুহিবের দিদির বর জামাইবাবু তাকে এক চাকরীর খোঁজ দেন যার জন্য পরদিই চাকরীস্থলে পৌঁছাতে হবে।অরুকে কিচ্ছু না জানিয়ে রওনা দেয় মুহিব চাকরিটা সে যে কোনো মূল্যে পেতে চায়।খুব ছোট্টবেলায় বাবা মা মারা যাওয়ার কারণে মুহিব দিদি জেবার কাছেই মানুষ।এদিকে অরুও বাড়ি ফিরে আসে অরুর বাবা একজন সৎ পুলিশ অফিসার।তিনি অত্যন্ত মেজাজী ও মা অধ্যাপিকা। অরু ভয়ে ভয়ে বাড়ি ফিরে সব স্বাভাবিক দেখে স্বস্তি পায়।অরু তার দিদি মীরুকে চিঠি লিখে তার বিয়ে করতে যাওয়ার কথা জানিয়ে গেলেও মীরু সে চিঠি না পড়ার কারণে অরুর বিয়ের কথা কিছু প্রকাশ পায়নি। ইতিমধ্যে সকালে অরুর ফিরে আসার কারণে তা গোপনই থাকে।অরুর কয়েকদিন পরই বিয়ে এক ডাক্তার পাত্রের সাথে যাকে অরুর বাবা তার জন্য নির্বাচন করেছেন।
সেদিনই চাকরিস্থল চিটাগাং এ যাওয়ার পথে মুহিবের অ্যাকসিডেন্ট হয় এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর কি হলো মুহিবের? অরু কি খবর পেল তার মুহিবের? মুহিবের দিদি জেবার উনিশ বছরের বিবাহিত জীবনের চড়াই উতরাই এ নতুন কি ঘটলো? সে কি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না একে একে বাবা মা ছোটবোনের মৃত্যু দেখা চোখ আবার পরমপ্রিয় ভাই এর মৃত্যু দেখলো? আর অরু তার কি হলো সে কি তার একদিনের বিবাহিত জীবনের দায়ভার সারাজীবন বহন করলো? শেষের চমকটা ছিল অনবদ্য সব কথা জানতে হলে পড়তে হবে কৃষ্ণপক্ষ।
রিভিউটি লিখেছেনঃ রাখী ভৌমিক
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।