কলকাতার রাত্রি রহস্য (১৮+) – হেমেন্দ্র কুমার রায় Kolkatar Ratri Rahashya by Hemendra Kumar Roy

কলকাতার রাত্রি রহস্য (১৮+) – হেমেন্দ্র কুমার রায় Kolkatar Ratri Rahashya by Hemendra Kumar Roy

পুস্তক পরিচয় 
কলকাতার রাত্রি রহস্য 
লেখক – হেমেন্দ্র কুমার রায় 
পাবলিকেশন – বুক ফার্ম 


 শুধু মাত্র প্রাপ্ত বয়স্ক দের জন্যঃ গতানুগতিক গল্প বা উপন্যাস তো অনেক পড়েছ আশা করি। ভৌতিক বা রহস্য বা প্রেম, এই তিন বিভাগের মধ্যে কেও না কেও তো পড়বেই, যারা গল্পের বই এর সাথে মিশে আছে।

আজকের বই টা এদের সবাইকে ছাড়িয়ে, একটু অন্য স্বাদের বলা চলে। ভালোলাগাটা নির্ভর করছে পাঠকের ওপর।

আসল কলকাতার জীবন্ত ও লিখিত দলিল বোঝো? কলকাতার অলিগলি তো সব্বার পছন্দ, কিন্তু সেই জায়গা যদি খুন খারাপির স্মৃতি বহন করে।

শ্যামবাজার এলাকা তো আমরা কম বেশি সবাই গেছি, কিন্তু আগের কলকাতার সেই জায়গা ঠিক কতটা ভয়ংকর ছিল…

বারবনিতা নামের সাথে আমরা কম বেশি সব্বাই পরিচিত, তাই না? কিছু  স্থানের নাম আমরা হয়তো জানি, কিন্তু রাতের অন্ধকারে সেই স্থানে আসলে কি ঘটত যদি জিজ্ঞেস করি? জুয়োচুরি আসলে কে করতো? সেটাও কি প্ল্যান মাফিক? নাকি সব মায়ার খেলা?

যদি জিজ্ঞেস করি চিনেপাড়া চেন? উত্তর আসবে হ্যাঁ। যদি বলি  চিনেপাড়ার আসল চেহারা কি বলতে পারবে?
উত্তর বোধ করি পাব না।

নিমতলা শ্মশান কেও আমরা চিনি। কিন্তু লেখকের চোখে যে ছবি ধরা পড়েছে, সেটা আদতে কতটা ভয়ঙ্কর, সেটা জানতে ইছে করছে না?

কলকাতার এরকম সমস্ত রকমের কথা ও কাহিনী গল্পের আকারে প্রকাশ করা হয়েছে, যা পড়লে মনে হবে, এ কোন কলকাতা।

হুম, সত্যি একটা জীবন্ত দলিল। একবার নয়, তথ্যের জন্য বার বার পড়তে হবে এই বই টাকে।

লেখক তো আমাদের পূর্ব পরিচিত। আমরা এনাকে অন্য ভাবে চিনি। কিন্তু এই হেমেন্দ্র নামটাও ওনার ছদ্ম নাম, তা কি জানা আছে কারোর? শুরু থেকে শেষ পরে ফেলো বই টা।

একবার অন্তত পড়ার জন্য বলছি সেই সমস্ত বই নেশাখোর পাঠক ও পাঠিকা দের, যারা কোলকাতা কে নিজের গর্ব বলে মনে করে।
তবে হ্যাঁ, বয়স টা অবশ্যই আঠারো টপকাতে হবে।

রিভিউটি লিখেছেনঃ Sam Samy

পূর্বে মেঘনাদ গুপ্ত ছদ্মনামে প্রখ্যাত সাহিত্যিক হেমেন্দ্রকূমার রায়ের লেখা এই বইটি পুনর্বার প্রকাশ করে বুক ফার্ম এবং সম্পাদনা করেন কৌশিক মজুমদার। বইটি রাতের কলকাতার জীবনযাত্রাকে সুন্দরভাবে তুলে ধরে এবং লেখক নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কলকাতার কিছু কুখ্যাত জায়গার রুদ্ধশ্বাস বিবরণ এই বইয়ে লিপিবদ্ধ করেন যা পাঠককে বইটি হাত থেকে নামাতে দেয় না। এছাড়া বেশ কিছু দুর্লভ আলোকচিত্র এবং টীকা বইয়ে সংযোজিত আছে যা বইটির উৎকর্ষতা আরো বৃদ্ধি করে। পাঠকগণ নিশ্চয় বইটি পড়ে দেখতে পারেন।

Post a Comment

0 Comments