খোঁড়া ভৈরবীর মাঠ
অভীক সরকার
দীপ প্রকাশন
ভূত - শুনলেই আমাদের সেই আদিম অকৃত্রিম শিহরণ জেগে উঠে মনের কোনে। সে ছোটবেলায় "আপ বিতি", "আহাৎ" বা "সস্স কোই হ্যায়" যাই হোক না কেন, ভয়ও লাগতো, আবার চেয়ারের ফাঁক গলে,দরজার আড়াল থেকে উঁকি মেরে ভয় এর সিন গুলো হয়ে গেলে দেখতেও হতো।
তা আজকালকার ভূতেরা সবাই আর কেও এমনি ভূত নেই, সবাই তন্ত্র যোগ্য ডাকিনি, হাকিনী, পিশাচিনী এসবে এসে ঠেকেছে যারা নাকি কেবল তান্ত্রিক,গুনিন(পড়ুন কালী), ওঝা (পড়ুন সাধু) দের দ্বারাই জব্দ হয়।
তো সেই ভয় এর আবহ ধরেই বই এর প্রথম গল্প "কালিয়া মাসান"।
নিঃসন্দেহে গল্পের আদিবাসী অভিশাপের্ প্লট, কাহিনীর অন্যরকম উৎস, ছায়ার শরীর নিয়ে প্রতিশোধপ্রিয় আত্মার ভয় পাওয়ানোর ক্ষমতা প্রশংসার দাবি রাখে বিশেষত আদিবাসী মন্ত্র গুলি, কিন্তু গল্পের শেষ কোথায়?
কোথাও কি একটা গোঁজামিল দিয়ে শেষ করানোর চেষ্টা, শুন্যে দেহ ভেসে থাকার মতো নড়বড়ে ক্লাইম্যাক্স যা হিন্দি সিনেমা বা সিরিজে অহরহ দেখানো হচ্ছে তাতে কি গল্প জমলো নাকি এতো ভালো শুরুটাকেই আরো লঘু করে দিলো?
আগের ভূতের গল্পে এতো উপাদান না থাকলেও শেষে কিন্তু একটা রেশ থেকে যেত মনের অলিন্দে, সেসব ছাড়লে এই গল্পে বাকি সব কিছুই আছে।
মনে না থাকলেও একবার পড়ে খারাপ লাগবে না।
বইয়ের দ্বিতীয় গল্প "খোঁড়া ভৈরবীর মাঠ" যার নামে বই এর নামকরণ, একই রকম দৈন্য।
শুরুটা অসাধারণ, চূড়ান্ত ভয় এর আবহ তৈরি করেও শেষে মন জয় করতে ব্যর্থ কারণ গল্পের শেষ বলতে কিছু নেই।
কখন যে কেন শেষ হয়ে গেছে গল্প, আপনি ধরতেই পারবেন না।
তাই খুব বেশি নম্বর দেওয়া গেলো না।
রেটিং : ৬/১০
রিভিউটি লিখেছেনঃ Soumalya
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।