খাইয়ে - তিতাস দাস Khaiye by Titas Das

খাইয়ে - তিতাস দাস Khaiye by Titas Das

বইয়ের নাম_ খাইয়ে
লেখক_ তিতাস দাস
পেজ সংখ্যা _৩৯
জনরা_রহস্য ভৌতিক উপন্যাস
প্রথম প্রকাশ _২০২২


এর আগে আপনারা তিতাস বাবুর লেখা বিশুঠাকুর এর গল্প গুলো পড়েছেন। তারা নিশ্চয়ই জানেন যে এনার গল্প গুলো যদি আপনি পড়তে শুরু করেন তাহলে গল্প শেষ না হওয়া পর্যন্ত আপনাকে পড়তে বাধ্য করবেন লেখক তার দূর্দান্ত লেখনী দিয়ে।
বিশু ঠাকুর এর মতো এই ছোট উপন্যাস টি লেখক তার লেখনী দিয়ে মন জয় করে নিলেন।

এবার আমি আলোচনা করবো বর্তমান উপন্যাস "খাইয়ে" নিয়ে সর্বপ্রথম বইটি পড়ে আমার লেখক এর এইই উপন্যাস এর নামকরণ একদম সার্থক বলে মনে হয়েছে। এর থেকে ভালো নাম আর উপন্যাস এর কিছু হতে পারতো না।

কাহিনী শুরু হয়েছে একটি বিয়ে বাড়ির পরিবেশে যেখানে উপন্যাস এর বক্তা ওহ তার স্ত্রী কথপোকথন দিয়ে।
দিয়ে। যেখানে তার স্ত্রী খওয়ার মাঝে পাশের একজন এর খাওয়ার বহর দেখে তার দৃষ্টি আকর্ষন করে। আর গল্পের বক্তা স্ত্রী মন্দিরা কথা শুনে তারদিকে তাকালে সঙ্গে তিনি তার জীবনে ঘটে যাওয়া অদ্ভুত এক রহস্যময় ঘটনা মনে করেন ওহ যিনি খাচ্ছিলেন তার মুখ টা খুব চেনা চেনা লাগে।
এখান থেকেই কাহিনী ফ্ল্যাশব্যাক এ দুর্দান্ত ভাবে শুরু করেছেন তিতাস বাবু। গল্পের নায়ক কর্ম সূত্রে মাস্টারি করার জন্য যেতে হয় মালদা গ্রামের বালিচেরা গ্রামে যেখানেই তার প্রথম কর্মক্ষেত্র। সেখানেই তার সাথে আলাপ হয় বিনোদবিহারী দও সঙ্গে যিনি যেমন এক পরোপকারী মানুষ ।তেমনি হাসি খুশি দিলদরিয়া টাইপ একজন মানুষ। তিনি একজন রেশন অফিসার ওহহ সেখানে তিনি তার স্ত্রী ওহ একমাত্র পুত্র নিয়ে থাকেন। দোষের মধ্যে একটাই দোষ তার তিনি খেতে ভালো বাসেন। গ্রাম এ সবাই তার নাম দিয়েছেন খাইয়ে বলে।
গল্পের নায়ক তার বাড়িতে বসবাস করেন । ওহ তার ওহহ তার পরিবারের সঙ্গে পাশাপাশি বসবাস করেন।
গল্পটা এতদূর অব্দি পড়ে আপনি বুঝতে পারবেন না রে একটা রহস্যময় ভৌতিক গল্প। এমন ভাবে তিতাস বাবু গল্পের প্লট লিখেছেন
কাহিনী সূত্রপাত একটি পূজা উপলক্ষে বিনোদবিহারী প্রাসাদ সবার বেশি খাওয়ার পড় বেশি মিষ্টি খেলে । গল্পের নায়ক এর পাশাপাশি বিনোদবিহারী কে নিয়ে সবাই হাসি ঠাট্টা করলে একপ্রকার রাগ করে বিনোদবিহারী উপর নিজের মতো হেঁটে গ্রাম এ ফেরার পথে তাদের সাথে অদ্ভুত এক রহস্য ময় ভৌতিক ঘটনার সামনে পড়লে গল্পের নায়ক খুব ভয় পেলে বিনোদ বিহারী তার সাথে ঘটে চলা কিছু অতীত ইতিহাস কথা খুলে বলে সেটা যেমন হাঁড় কাঁপানো অদ্ভুত রহস্যময় ভৌতিক ঘটনা তাই এই উপন্যাস না পড়লে আপনি জানতে পারবেন না।
যেহেতু এটি একটি ভৌতিক রহস্য উপন্যাস তাই রহস্য ভয় ঘটনা আমি কিছু ব্যাখ্যা করলাম না। সেটা জানতে হলে আমাদের পড়ে দেখতে হবে তিতাস বাবুর আসামান্য লেখা "খাইয়ে" উপন্যাস টি।

লেখক এর উপন্যাস টি পড়লে আপনার সমাজের কিছু মানুষের অপর মানুষ কে কিভাবে ছোট করতে হয় না জেনে তাকে অপদস্থ করতে তা কি সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করে চোখে আঙুল তুলে দেখিয়ে দিয়েছেন। এই জন্য তিতাস বাবু কে তার লেখার জন্য  কুর্নিশ জানাই। আর কথায় আছে তার শেষ ভালো তার সব ভালো।
এতো সুন্দর ভাবে উপন্যাস টি শেষ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। 
এই উপন্যাস শেষ করলে এই অদ্ভুত ভালোলাগা থেকে যাবে যা কষ্টের মধ্যে আপনার উপন্যাস লেখক যে সামাজিক অবক্ষয় তুলে ধরেছেন সেটা আপনাকে ভাবতে বাধ্য করবে।

তাই সবার কাছে আমার অনুরোধ আপনারা অতি অবশ্যই এই উপন্যাস টা পড়ে দেখবেন আশা করছি কেউ নিরাশ হবেন না।
রেটিং_ ব্যাক্তিগত ভাবে আমি মনে করি ১০ মধ্যে আমি ১০ এর বেশি কিছু পারলে দিয়ে দিতাম।

রিভিউটি লিখেছেনঃ বাপন দা

Post a Comment

0 Comments