কপিলাবস্তুর কলস
প্রীতম বসু
Self publishing.
মূল্য: 375/-
প্রাপ্তিস্থান: খোয়াবনামা, ধ্যানবিন্দু, বইচই।
শুরু হয়েছিল আর্নল্ড সোয়ারজেনেগারের কম্যান্ডো দিয়ে, শেষ হলো শাহরুখের বাদশা দিয়ে।
ঘটনার শুরু দিল্লীতে... পরের স্তর আমেরিকা। ওনার অন্য লেখার মতনই, সমান্তরালে একটা ঘটনা চলে নেপালের তরাই এলাকায়, ১২২ বছর আগের। দুটো কাহিনী এসে শেষ হয় নিউ ইয়র্কে, ২০১৯ সালে। অনেক কিছুই আছে। লোকবিশ্বাস, সংস্কার, পুরাতত্ব, খনন নিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতি, কুলি ব্যবসা, ডার্ক ওয়েব, ড্রাগ, এখনকার আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সম্পর্ক, প্রেম, ভাঙ্গা সম্পর্ক ... এককথায় from elephant to Alpin, যেটা নেই, পরের পাতা পড়ার উত্তেজনা। প্রীতমবাবুর কাছে এই লেখা পৌঁছাবে কি না জানিনা, তবে এটা অনুরোধ, ওনাকে লেখা নিয়ে ভাবতে হবে। ওনার লেখা পড়তে ভালোবাসি। ভালোবাসি কারণ উনি গল্পচ্ছলে আমাদের অতীতকে সুন্দরভাবে দেখিয়ে আনেন। অনাবশ্যক sex নেই। যাই হোক, আসল কথায় ফিরে আসি। তথাগত বুদ্ধের দেহাস্থি আর কপিলাবস্তুর প্রকৃত অবস্থান নিয়ে দুই প্রতিবেশী দেশের রাজনীতি এই গল্পের মূল। বাকিসব গল্পের প্রয়োজনে।
একটা মারাত্মক ভুল নজরে আসলো। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসের স্নাতকোত্তরের প্রথম বছরেই ব্রাহ্মী শেখানো হয়, Epigraphy and numismatics কে special paper নিলে আরো বিস্তারিত এ পড়তে হয়। এছাড়াও ব্রাহ্মী script এ উনি মৌর্য থেকে কুষাণ, সবই ব্যবহার করেছেন। সেখানে বেশ কিছু মাত্রার ভুল আছে। এটা দেখার দরকার।
পড়া যায়। আমার মন্দ লাগেনি।
আফশোষ, এখানকার সিনেমার পরিচালকরা এসব লেখার খবর রাখেননা কেন জানিনা। বেশ ভালো সিনেমা হবে।
রিভিউটি লিখেছেনঃ Soumen
কপিলাবস্তুর কলস
প্রীতম বসু
কাহিনীর শুরু দিল্লীতে বুদ্ধের অস্থি প্রদর্শনীতে। এক চৈনিক লামা এসে দাবি করেন এই অস্থি বুদ্ধের নয়। ওই মিউজিয়ামের কিউরেটর সিদ্ধার্থ এরপর নিরুদ্দেশ হয়ে যান বুদ্ধের অস্থি নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে।
এর বেশ কিছু বছর পর ওনার বিন রিধিমা, ওই একই বিসি নিয়ে গবেষণা করতে বিদেশ যায়। সেখানে তার তিন প্রফেসরকে হত্যা করে কোনো অজানা আততায়ী।আর রিধিমার হাতে এসে পড়ে ওর দাদার একটা পুরনো ডায়েরি।
কে কেন হত্যা করলো প্রফেসরদের? সিদ্ধার্থেরই বা কি হলো? রিধিমা কি পারবে সমাধান করতে? আর বুদ্ধের অস্থিই বা কোথায়? এই সব রহস্যের সমাধানেই কাহিনী এগিয়ে যায় নানা মোড় ঘুরে।
প্রীতম বসুর অন্যান্য উপন্যাসগুলোর মতো এখানেও সমান্তরাল দুটো টাইমলাইনে গল্প এগিয়েছে। অনেক তথ্য থাকলেও কখনো মনে হয়নি তা গল্পের গতিকে স্লো করে দিয়েছে।
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।