বই: ইশ্বরের মৃত্যু
লেখক: পলাশ হক
১৯৬৫ সালে সাত বছর বয়সী জেরেমি মর্টিমার নিখোঁজ হয় মফঃস্বলের এক সার্কাসের মেলা থেকে। দীর্ঘ তেইশ বছর পরও তার অন্তর্ধান রহস্যের কোনো কিনারা না করতে পেরে পুলিশ কেসটিকে অমীমাংসিত হিসাবে ঘোষণা করে দেয়। এদিকে বেশ ক'বছর নিরুদ্দিষ্ট থাকার পর আচমকা বাড়ি ফিরে জ্যোতিষ্ক সেন সংবাদ পত্রে এই খবর পরে নিছক কৌতূহলবশত ঘাঁটতে শুরু করে এই অমিমাংসিত ঘটনা নিয়ে। কিন্তু ক্রমেই সেখানে আঁচ পাওয়া যায় এক গভীর ষড়যন্ত্রের।আদৌ জেরোমি কী বেঁচে আছে নাকী সে মারা গেছে? কে জেরমিকে অপহরণ করেছিল? কেনো করেছিলো? কীভাবে করেছিলো?
জানতে হলে পড়তেই হবে "ঈশ্বরের মৃত্যু"।
💢ঈশ্বরের মৃত্যু এক নি:শ্বাসে পড়ে ফেলার মত বই। ধারে ও ভারে।
💢লেখনী সরল ও সাধাসিধে। আট থেকে আশির তা বুঝতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না। ফলে এক থেকে দেড় ঘণ্টায় শেষ করা যায়।
💢 মানুষের মনের অন্ধকার দিক, ধর্মের নামে অন্ধকারের উপাসনা এই কাহিনির মূল বিষয় বস্তু
💢 পুরোনো দিনের বিবরণ বেশ ভালই রয়েছে এই উপন্যাসে।
😶🌫 জ্যোতিষ্ক সেন এখানে নিজেই বুঝেছেন, নিজেই করেছেন, নিজেই সর্বের সর্বা এই জিনিস টা আমার ভালো লাগেনি।
😶🌫 কমিক টাইমিং খুব একটা বেশি ভালো নেই। অধীরাজ সিরিজ পড়ার পর মনে হয় গোয়েন্দা উপন্যাস এও হাস্যরস যোগ করা যায়, যেটার অভাব আমি এখানে পেয়েছি।
😶🌫(Spoiler)ফ্লোরেন্স যদি উইলিয়ামকে ভালইবাসতেন, তাহলে তাঁর সম্পর্কে কুৎসা রটানোর অর্থ খুঁজে পেলাম না।
সময় কাটানোর জন্য পড়তেই পারেন এই বইটি।
বই : ঈশ্বরের মৃত্যু
লেখক : পলাশ হক
একটু ভিন্ন স্বাদের গোয়েন্দা গল্প। সাধানভাবে সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে গোয়েন্দারা তদন্ত করে থাকেন, কিন্তু এই গল্পে প্রায় দুই দশকের পুরোনো একটি অপহরণ ও অন্তর্ধান নিয়ে এই গল্পের protagonist জ্যোতিষ্ক সেন তদন্ত শুরু করেন। অত্যন্ত উপভোগ্য একটি গল্প বিশেষ করে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কিছু ধর্মাচার কে কেন্দ্র করে গল্পের পটভূমি রচনা অসাধারণ।🔥🔥🔥
রিভিউটি লিখেছেনঃ Sayandeep
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।