সিনেমা: দা ইনভিজিবল ম্যান (২০২০)
পরিচালক: Leigh Whannell
IMDb: ৭.১/১০ (১,৮৪,৯৭৪)
আমার রেটিং : ৭/১০
H.G. Wells এর নাম শোনেন নি এমন সাহিত্যপিপাসু বোধ হয় নেই। এই প্রবাদপ্রতিম ঔপন্যাসিকের ১৮৯৭ এর সেই বিখ্যাত উপন্যাসকে বর্তমান সময়ে ফেলে খুব সুন্দরভাবে পরিচালক বানিয়েছেন ইনভিজিবল ম্যান, যা বর্তমান সময়ে ভীষণ প্রাসঙ্গিকও। চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে মূল কাহিনীর কিছু পরিবর্তন করেছেন পরিচালক।
শুরুতেই দেখা যায় সিসিলিয়া (এলিজাবেথ মস) রাত্রিবেলায় অনেক কষ্টে পালিয়ে যান তার বয়ফ্রেন্ডের বিশাল অট্টালিকার প্রাচীর ডিঙিয়ে ।পরে জানা যায় এড্রিয়ান নামের সেই বয় ফ্রেন্ড আসলে একটি ডমিনেটিং চরিত্র, যার কাঁটায় কাঁটায় মেপে দেওয়া সমস্ত কিছু অনুযায়ী সিসিলিয়াকে চলতে হতো, সে পোশাকই হোক আর কথাবার্তাই হোক। এমনকি তার মনের গভীরে চিন্তাও প্রভাবিত করতো এই নন্দদুলাল। সিসিলিয়া পুলিশ বন্ধু জেমস এর বাড়িতে উঠেও প্রতিমুহূর্তে অনুভব করতে থাকে এড্রিয়ান যেনো তার পিছু করছে। কিন্তু খবরে তো দেখা যাচ্ছে এড্রিয়ান আত্মহত্যা করেছে। তাহলে কি সিসিলিয়ার মধ্যেই কিছু অপ্রত্যাশিত ব্যাপার আছে, নাকি এড্রিয়ান সত্যিই বেঁচে আছে বা গভীর কোনও ষড়যন্ত্রের ছক কষে রেখেছিল?
সিনেমার প্রথমার্ধ তুলনামূলকভাবে শ্লথ গতিতে এগোয়, দ্বিতীয়ার্ধ ভালো গতি অর্জন করে।
এড্রিয়ানের চরিত্রে অলিভার জ্যাকসন কোহেনের বেশী কিছু করার থাকেনি, তবুও ভালো করেছেন যতটুকু পেয়েছেন। ম্যান অফ দা ম্যাচ অবশ্যই সিসিলিয়া রুপী এলিজাবেথ মস। মাঝে মাঝে ওনার রিয়েল লাইফ ডকুমেন্টারি দেখছি বলে ভুল হচ্ছিল। পরিচালককেও কুর্নিশ জানাতেই হয় দাম্পত্যের অন্তঃকলহ এবং তারও গভীরে গিয়ে বেশ কিছু অস্বস্তিকর সত্য দেখানোর জন্য । ক্লাইম্যাক্স সিন দারুনভাবে শুট করা এবং বেশ কিছু প্রশ্নও তুলে নিয়ে যায়, যার উত্তর অবশ্য সিনেমাতেই দেওয়া আছে - ওপেন এন্ডিং না।
সিনেমাটোগ্রাফি ও আবহ সিনেমার মেজাজের সাথে দারুনভাবে খাপ খেয়েছে। আমার কাছে সিনেমাটি সফলভাবে উপন্যাসের মূল রস উপহার দিয়েছে। তবে কল্পবিজ্ঞানের বিষয়টা আরেকটু থাকলে আরও ভালো লাগতো।
রিভিউটি লিখেছেনঃ চকোলেট বয়
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।