বই: হেরুক
লেখক : সৌমিত্র বিশ্বাস
প্রকাশক : আনন্দ পাবলিশার্স
বাংলায় তন্ত্রমন্ত্র আর তন্ত্রসাধনার উপর লেখা গল্পের পথিকৃৎ অবশ্যই বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় আর তাঁর পুত্র তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পূর্বেও কেউ থাকতে পারেন, তবে পাঠক মহলে সম্ভবতঃ ততটা জনপ্রিয় হয় নি। বিভূতিভূষণ-তারাদাসের পর এই ধারায় একটি উপন্যাস লেখেন সৌমিত্র বিশ্বাস, উনিশ কুড়ি পুজো সংখ্যা ২০০৯-তে। নবীন পাঠকমহলে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিল এই থ্রিলারটি। বুদ্ধদেবের পর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দুটো ভাগ হয়ে যায়, মহাযান ও হীনযান । এই মহাযান ধর্মাবলম্বীদের এক দেবতা হেরুক। পাহাড়ি শহর কালিম্পঙের পটভূমিকায় লেখা এক টান টান থ্রিলার, রহস্যময় দেবতা হেরুক-কে কেন্দ্র করে।
উনিশ কুড়ি পুজো সংখ্যাটি রেখে দিয়েছিলাম শুধুমাত্র এই উপন্যাসটির জন্য। পরে আনন্দ বই হিসাবে বার করে, কিন্তু অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই নিঃশেষ হয়ে যায়। পরে খোঁজ করেও বই আকারে আর পাই নি। আজকে পুরোনো বইয়ের এক স্টলে হঠাৎই বইটি পেয়ে গেলাম। সঙ্গের ছবিটি অবশ্য উনিশ কুড়ি পুজো সংখ্যা থেকে। মূল বইয়ে যথারীতি এই অলংকরণগুলো বাদ গেছে।বাংলায় তন্ত্রমন্ত্র আর তন্ত্রসাধনার উপর লেখা গল্পের পথিকৃৎ অবশ্যই বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় আর তাঁর পুত্র তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পূর্বেও কেউ থাকতে পারেন, তবে পাঠক মহলে সম্ভবতঃ ততটা জনপ্রিয় হয় নি। বিভূতিভূষণ-তারাদাসের পর এই ধারায় একটি উপন্যাস লেখেন সৌমিত্র বিশ্বাস, উনিশ কুড়ি পুজো দে সংখ্যা ২০০৯-তে। নবীন পাঠকমহলে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিল এই থ্রিলারটি। বুদ্ধদেবের পর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দুটো ভাগ হয়ে যায়, মহাযান ও হীনযান । এই মহাযান ধর্মাবলম্বীদের এক দেবতা হেরুক। পাহাড়ি শহর কালিম্পঙের পটভূমিকায় লেখা এক টান টান থ্রিলার, রহস্যময় দেবতা হেরুক-কে কেন্দ্র করে।
review
হেরুক
লেখক: সৌমিত্র বিশ্বাস
এই উপন্যাসটি সম্পূর্ণ তন্ত্র উপরে নির্ভর করে লেখা হয়েছে, যেখানে মূলত বৌদ্ধ ধর্মের বজ্রযান এবং তার তান্ত্রিক কার্যকলাপ এর কথা বলা হয়েছে। গল্পের শুরুতেই দেখা যায় একজন তান্ত্রিক একটি গোপন আচার করছে আর গুরুত্বপূর্ন কিছু সন্ধানের চেষ্টা করছে এবং তাতে সাহায্য করছে কিছু মানুষ, তারা অবশ্যই এই তান্ত্রিকের শীষও।
এবার পটপরিবর্তন হওয়া দেখা যাচ্ছে কলকাতায় একটি পরিবারকে। সেখান তারা তিন ভাই এবং তাদের পুরো পরিবার, তারা সবাই চলছে কলিংপংয়ে। সেখানে একটা পৈতৃক বাড়ি এবং তাদের সেই বাড়িকে ঘিরে তৈরি হয়েছে এক দুর্দান্ত প্লট। গল্প ধীরে ধীরে যত আগতে থাকবে তান্ত্রিক কার্যকলাপ ও একটি অপহৃত মেয় কে ঘিরে তার উদ্ধার ঘটনা এক ররমহার্ষক ঘটনা পাঠকের সামনে তুলে ধরে, যা পড়তে পড়তে পাঠকের অ্যাড্রিনাল খরণ হবেই।
এক কথায় উপন্যাসটি ভালো কল, কখনই মনে হবে না পরে সময় নস্ট হবে। তবে যারা তন্ত্র পছন্দ করেন না তাদের আমি পড়তে নাই বলবো কারণ এক একসময় তন্ত্র সম্বন্ধে এত তথ্য আসবে যত হয়তো অন্য পাঠকের ভালো না লাগতেও পারে।
সর্বোপরি রেটিং করতে হলে ৪.৫/৫ ।
ধন্যবাদ।
রিভিউটি লিখেছেনঃ Soham Sengupta
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।