ডেথ এন্ড মুভি ২০০৩ Dead End 2003

ডেথ এন্ড মুভি ২০০৩ Dead End 2003

Dead End ( 2003) 
প্লট – ভয়, ভয়ঙ্কর, রহস্য 
ভাষা – ইংরেজি 
দেশ – ফ্রান্স 
আই এম ডি বি  রেটিং – ৬.৬  / ১০ 
পার্সোনাল রেটিং –  ৭ / ১০ 

এমন একটা রাত, যার কোন সকাল নেই... এমন একটা রাত, যার কোন আলো নেই... এমন একটা রাত, যার কোন অস্তিত্যই নেই...

ফিল্ম শেষে রীতিমত এমন ভাবেই চিন্তা করতে শুরু করে দিয়েছিলাম। কি দেখলাম, আর কি ভাবেই বা বর্ণনা করবো মনে মনে, সেটাই সবথেকে কঠিন কাজ। গল্পকার এতোটা সুন্দর ও সহজ পথে গল্পের গাড়ি চালাতে শুরু করেছিল, শেষে এসে যে আমাকে কোন খাদে ফেলে চলে এলো, তার ধারনা শেষ ২ মিনিট আগেও কল্পনা করতে পারিনি।

অনবদ্য প্লট।

সিনেমাটা অনেকটা চিকেন রোলের মত। যখন কমেডি হয়, চিকেনের পিসের মতই সুস্বাদু লাগে। রাগ মাঝে মধ্যে পেঁয়াজের ঝাঁজের মত আছড়ে পড়ে। ভুল করে যদি লঙ্কা একটাও পড়ে যায়, হু হু করে ঝালের মত রহস্যও হৃৎস্পন্দন বাড়িয়ে দেয় এক সেকেন্ডে। জল খেলেও সে ঝাল সহজে যায় না। সঙ্গে রোল খাওয়ার আগ্রহ আরও বেড়ে যায়, রহস্যের স্বাদ ছুটিয়ে মারে।

ডিসেম্বরের হলিডে চলছে। ড্রাইভে বেরিয়েছে একটি ফ্যামিলি।

বাবা ড্রাইভিং সীটে, পাশে মা। পেছনে ছেলে, মেয়ে ও তার বয়ফ্রেনড। ওরা চলেছে একটি বাড়িতে যাওয়ার জন্য। তবে লঙ জার্নি তে একা ড্রাইভ বেশি রিস্কি। 

ফলস্বরূপ ভুল করেই চোখটা লেগে যায় ড্রাইভিং সীটে বসে থাকা, বাবার।

এই ভুলটাই সাঙ্ঘাতিক ভাবে তাদের জীবনটা তছনছ করে দেয়। 

তবে আর একটা কথা, ভুলটা বোধয় এটা নয়।

শর্টকাট একটি রাস্তা ছিল, যেটা কুড়ি বছর ধরেও নেয়নি কেও। হঠাৎ সেটাই ধরে নেওয়াটা আসলে ভুলের কারন।

রঙ টার্ন মনে পড়ছে ?

উহু, ভুলে যাও। এটা অন্য লেভেলের কন্টেন্ট। রয়েছে নিজস্য ছক ও গতিধারা। এক প্রকার নেশা ধরার মত করেই বানানো এই সিনেমা, বসে পড়লে শেষ না করে আসার উপায় নেই মনে করছি। গল্পের বাধুনিটা আমার মারাত্মক লেগেছে। 

লিন সে কে মনে পড়ছে? না?

ইনসিডাস সিনেমার কথা মনে পড়ছে যেখানে একজন বয়স্কা মহিলা প্রতিবার আসবে, বাঁচানোর জন্য সমস্ত কিছু আগের মত ঠিক করার জন্য অন্য জগতে বিচরণ করতেও পিছুপা হবে না।

হুম, মনে পড়ল তাহলে?

সেই বয়স্কা কিন্তু এই সিনেমায় মা এর ভুমিকায়। এতোটা সুন্দর ও সুচারু ভাবে অভিনয় করেছেন, ওনার জন্যই ক্যারেক্টারটা বানানো হয়েছিল যেন। এক কথায়, ক্যয়া বাত! বেস্ট অভিনেত্রীর পুরস্কার তাই তার দখলে গেছে। এছাড়াও জুরি এ্যাওয়ার্ড, অডিয়েন্স এ্যাওয়ার্ড এর মত খান সাতেক শিরোপা এই ফিল্মের ঝুলিতে।

অনেক দিন পর এমন একটা সিনেমা দেখলাম, মাথা খাটানোর আগেই ঘটনা ঘটিয়ে ফেলছে। লক্ষ্য করার বিষয়, প্রতিবারে একই ঘটনা ঘটলেও, এতোটুকু বোরিং ভাব নেই। বরং উত্তেজনা আরও বাড়ছে, কৌতূহলের উদ্যেস্যে। 

আর হ্যাঁ, পোস্ট ক্রেডিট সিনটা খুব ভাইটাল, সিনেমার টুইস্ট যদি দেখতে চাও তাহলেই...

রিভিউটি লিখেছেনঃ SamiranSamanta

Post a Comment

0 Comments