বইয়ের নাম_ অপদার্থ
লেখক_ তিতাস দাস
পেজ সংখ্যা _৪৭
জনরা_রহস্য উপন্যাস
প্রথম প্রকাশ _২০২২
এর আগে আপনারা তিতাস বাবুর লেখা বিশুঠাকুর ও তার লেখা প্রথম "খাইয়ে" পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই জানেন যে এনার গল্প গুলো আকারে ছোটো হতে পারে কিন্তু অল্প কথায় ইনি যেভাবে গল্পটি শুরু করে শেষ অবধি সাসপেন্স বজায় রেখে শেষ করেন তার জন্য তিনি অনায়াসে পাঠক এর মন জয় করে নিতে পারেন।আর একবার যদি আপনি পড়তে শুরু করেন তাহলে গল্প শেষ না হওয়া পর্যন্ত আপনাকে পড়তে বাধ্য করবেন লেখক তার দূর্দান্ত লেখনী দিয়ে।
বিশু ঠাকুর এর পাশাপাশি মতো এই "অপদার্থ" ছোট উপন্যাস টি লেখক তার লেখনী দিয়ে মন জয় করে নিলেন।
পিতা পুত্রের সম্পর্কের টানাপোড়ন আর বাবার দেওয়া এই নাম অপদার্থ
এর থেকে কাহিনী সম্পর্কে আপনি আন্দাজ করতে পারবেন।
কিন্তু যদি ভেবেছেন কাহিনী এইভাবে চলছে বা এর পর এটা ঘটবে বলে সিদ্ধান্ত নেন কিন্তু গল্প শেষ হলে আপনি আমার মতো অবাক হবেন।
আর আবার একবার গল্পটি পড়তে শুরু করবেন। এখানেই লেখকের মুন্সিয়ানা তাই সেই হিসেবে "অপদার্থ" নামটি একদম পারফেক্ট ও সার্থক।
কাহিনী শুরু হয়েছে একটার পর একটা মৃত্যু দিয়ে যেখানে কলকাতায় পর পর তিনটে মৃত্যু যেখানে গল্পের শুরুতে এক থমথমে পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন আর সেই সব মৃত্যুর জন্য কে দায়ী সেটা গল্পের নায়ক চন্দন রায় ওহ আমরা একদম গল্পের শেষে জানতে পারি।গল্পের নায়ক চন্দন রায় একজন এমন একটি চরিত্র যে নিজের স্বার্থের জন্য সব কিছু করতে পারে।আর পাশাপাশি লেখক ঠিক তার ঠিক তার বিপরীত একটা চরিত্র সৃষ্ঠি করেছেন যেটা একদম তার উল্টো।সাদা পাশে কালো রাখলে যেমন দুটোই বোঝা যায় তেমন এই চরিত্র সতীনাথ রায় গল্পের নায়কের বাবা। আর আছে একটি অপরিনত প্রেম যেখানে গল্পের নায়িকা একজন এমন একজন যে নিজের স্বার্থের জন্য
চন্দন কে পাপ কাজের ইন্ধন জোগাতে থাকে। ওহ চন্দন কে
কুমন্থনা দেয় সেটা করলে যে কত বড় অন্যায় করা হবে সেটা অন্যায় হলে ওহহ দিনের পর দিন এক কথায় শেষ পর্যন্ত গল্পটি পড়লে আমরা জানতে পারবো। তাদের এইই অবৈধ সম্পর্কের ফলে কি খারাপ পরিণীতি হতে পারে সেটা গল্প পড়লেই আমরা জানতে পারি।
এখান থেকেই কাহিনী এ দুর্দান্ত ভাবে এগিয়ে চলেছে পিতা পুত্রের সম্পর্কের টানাপোড়ন আর একটি আদর্শবান পিতার বিপক্ষে এক লোভী সার্থপর পুত্র টাকা সম্পত্তি আর পিতার মৃত্যুর পর সব কিছু পাওয়ার আখাঙ্খা মানুষ কতটা নিচে নামতে পারে সেটাই উপন্যাস এর দ্বারা তুলে ধরেছেন তিতাস বাবু ।
গল্পটা এতদূর অব্দি পড়ে আপনি বুঝতে পারবেন না রে একটা রহস্যময় ভৌতিক গল্প। এমন ভাবে তিতাস বাবু গল্পের প্লট লিখেছেন।
গল্প যত এগিয়ে চলে আমরা ঠিক লেখক এর সাথে সাথে এগিয়ে চলি
চেনা ঘটনা আর কমন বিষয় বস্তু নিয়ে লেখা ওহ শেষ পর্যন্ত তার সাসপেন্স বজায় রাখা সেটাই এইই গল্পের ক্ষেত্রে ঘটেছে।
এখানে দুটো ঘটনা পাশাপাশি চলছে
একদিকে এক রহস্যময় ব্যাক্তির দ্বারা একের পর এক মৃত্যু। আর অন্যদিকে চন্দন কি ভাবে তার পিতা মৃত্যুর জন্য পরিকল্পনা করে সেটাই শেষ পর্যন্ত আমরা জানতে পেরেছি।
আর যেহেতু এটি একটি রহস্য উপন্যাস এর শেষটা আপনাকে অবাক করে দিতে বাধ্য।
গল্পের শেষ টা আমার মতো আপনারা যারা পড়বেন তাদের জন্য চমক অপেক্ষা করছে এটুকু বলতে পারি।
যেহেতু এটি একটি ভৌতিক রহস্য উপন্যাস তাই রহস্য ভয় ঘটনা আমি কিছু ব্যাখ্যা করলাম না। সেটা জানতে হলে আমাদের পড়ে দেখতে হবে তিতাস বাবুর আসামান্য লেখা "অপদার্থ "উপন্যাস টি।
লেখক এর উপন্যাস টি পড়লে আপনারা সমাজের একটা অন্ধকার দিক যেমন জানতে পারবেন
আবার নিজের স্বার্থের জন্য মানুষ কতদূর যেতে পারে সেটা জানতে পারবেন। আর সত্যি উপন্যাস টি পড়ার পর আপনি ভাবতে বাধ্য হবেন।মানুষ আর সমাজের সামাজিক অবক্ষয় চোখে আঙুল তুলে দেখিয়ে দিয়েছেন। এই জন্য তিতাস বাবুর অনেক ধন্যবাদ।
এতো সুন্দর ভাবে উপন্যাস টি শেষ করার জন্য আরো একটি ধন্যবাদ লেখকের প্রাপ্য।
কথায় আছে" যেইসি করনি ওইসি ভরনি "
কথাটা কেন বললাম তা উপন্যাস টি শেষ করলে বুঝতে পারবেন।
তাই সবার কাছে আমার অনুরোধ আপনারা অতি অবশ্যই এই উপন্যাস টা পড়ে দেখবেন আশা করছি কেউ নিরাশ হবেন না।
রেটিং_ ব্যাক্তিগত ভাবে আমি ১০ মধ্যে আমি ১০ দেবো
রিভিউটি লিখেছেনঃ বাপন দা
বইয়ের নাম - অপদার্থ
লেখক - তিতাস দাস
প্রকাশ ওয়েব সংস্করণ
পৃষ্ঠা সংখ্যা- ৪৭
মূল্য - একটু ভালোবাসা
রিভিউ লিখেছেন - শুভজিৎ বিশ্বাস
আচ্ছা, আপনাকে যদি আপনার কোনো প্রিয়জন সবসময় 'অপদার্থ' বলে ডাকে বা তাচ্ছিল্য করে, আপনার কি একটুও রাগ হবে না !! না এটা কোনো ভৌতিক উপন্যাস নয় বরং বলা যেতে থ্রিলার ! এটাতে খুন আছে রক্ত আছে আর আছে একটা ভয়, 'মাঝরাতে লেকটাউনে মাথাভাঙ্গার শিকার'। একটা লোক যে একটার পর একটা মাথা ফাটিয়ে যাচ্ছেন এর অন্য দিকে পুলিশ সেই খুনির পিছনে ছুটছেন। ঠিক যেমনটা একটা বিড়াল ইঁদুরের পিছনে ছোটে। ঠিক এই ঘটনার সাথে সাথে আর একটা ঘটনা লেখক খুব সুন্দর করে সাজিয়েছেন। মাতৃহারা ছেলে চন্দন আর বাবা সতীনাথ রায়, দুজনেই দুই বিপরীত মেরুর মানুষ তাদের মধ্যে ভালোবাসা খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কিন্তু সত্যিই কি তাদের মধ্যে একটুও ভালোবাসা ছিল না নাকি ভালোবাসা ছিল, দুটো মানুষ কেউ সেই অনুভব করতে পারিনি !!
অন্যদিকে, মাথাভাঙ্গা খুনি'র প্রতিটি খুনের পিছনে কারণ কি ? ইতিমধ্যে তিনটে খুন হয়ে গেছে। এবার তার চতুর্থ শিকার কে হবে ?
এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে একবার পড়ে দেখতে পারেন তিতাস দাসের লেখা 'অপদার্থ'। একেবারে দূরে সরিয়ে রাখার নয়, একটু হলেও কাছে টানবে এ লেখা আপনাকে .........।
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।