রূপ মারিচ রহস্য
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
পত্র ভারতী
বয়েস মাত্র কুড়ি। অপরূপ সুন্দরী। বিউটি কনটেস্টে প্রথম হওয়া হল না বিচারকদের জালিয়াতিতে। কিন্তু একজন বিচারক সঞ্জিত ভুলতে পারে না গার্গীকে। অন্যদিকে সেই কনটেস্টে টাকার জোর খাটিয়ে যে প্রথম হয়েছিল, সেই নম্রতার স্বামী বিজিতও আটকে পড়ে গার্গীর রূপমোহে। তারপর? একের-পর-এক অস্বাভাবিক মৃত্যু। প্রথমে সঞ্জিতের স্ত্রী, তারপর সঞ্জিত, তারপর বিজিত... কেন, কার জন্য..... অরুণিমার অগাধ টাকা, আমেরিকা প্রবাসী। স্বামী সুব্রত সেল্ফ মেড ম্যান। জীবনে এল মিহির। মিহিরের সঙ্গে এক গোপন শারীরিক সম্পর্কে মেতে উঠল অরুণিমা।... মিহির ফিরে আসে ভারতে। পিছু-পিছু আসে অরুণিমাও। সে মিহিরকে ছাড়তে পারছে না। মিহির বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। ওই দিন দুপুরে নিজের বাড়িতে একাকিনী অরুণিমা খুন হয়।... খুনি কে? রহস্যভেদী শবর দাশগুপ্তের নাম শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের পাঠককূলের তেমন অজানা নয়। শুধুমাত্র অনুমান, মনস্তত্ব বিচারের উপর যুক্তিবুদ্ধিগুলিকে সাজিয়ে রহস্যকাহিনিতে শীর্ষেন্দু এনেছেন এক অভিনব স্বাদ। 'রূপ' ও 'মারীচ' দুটি ছোট উপন্যাসকে একত্রিত করে রূপ-মারীচ রহস্য তাই হয়ে উঠেছে এক রূদ্ধশ্বাস বই।
রিভিউটি লিখেছেনঃ Rayan
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।