বইয়ের নাম: Raise the Titanic
লেখক: Clive Cussler
এই বইটি লেখা হয়েছিল টাইটানিক এর ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়ার আগে। ডার্ক পিট সিরিজের এই বইটি ডুবে যাওয়া টাইটানিকের পুনরুত্থানের গল্প।
গল্পের শুরু ১৯৮৭ সালে, যখন এক আমেরিকান বিজ্ঞানী ডঃ সিগ্রাম শত্রুপক্ষের মিসাইল আক্রমণ নষ্ট করার জন্য 'সিলিকন প্রজেক্ট' নিয়ে কাজ করতে গিয়ে জানান এর জন্য প্রয়োজন এক বিশেষ খনিজ পদার্থ 'বাইজানিয়াম'। এটি পাওয়া যায় রাশিয়ার এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে, একটি দ্বীপে। কিন্তু সেখানে গিয়ে কিছু পাওয়া যায় না, যা ছিল তা আগেই তুলে নেওয়া হয়েছে। বিফল মনে ফেরার সময় তারা রাশিয়ানদের হাতে আক্রান্ত হয় এবং তখনই তাদের উদ্ধারে আসরে অবতীর্ণ হয় ডার্ক পিট।
এরপর জানা যায় ওই বাইজানিয়াম টাইটানিকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, যা এখন জলের তলায়। এবার ডার্ক পিটের ওপর দায়িত্ব আসে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে বের করে সেখান থেকে ওই খনিজ উদ্ধার করার। ডার্ক পিট অনেক চেষ্টায় তা খুঁজে বের করে। এরপর প্ল্যান হয় টাইটানিককে পুনরায় জলে ভাসিয়ে তোলার। সেইমত কাজ চলে। টাইটানিকের সব ছিদ্র বন্ধ করে দিয়ে বাতাসের সাহায্য নিয়ে তাকে ভাসিয়ে তোলার চেষ্টা হয় এবং পিট তাতে সফল হয়। কিন্তু এই সমস্ত খবর KGB কাছে যাওয়ায় তারা মাঝসমুদ্রেই টাইটানিক দখল করে নেয়। ডার্ক পিট নেভী সিলের সাহায্য নিয়ে রাশিয়ানদের থেকে জাহাজ পুনরুদ্ধার করে এবং অবশেষে টাইটানিক এসে পৌঁছয় আমেরিকায়। এরপর বাইজানিয়াম বের করার জন্য খোলা হয় জাহাজের সিন্দুক এবং দেখা যায় ................
এরপর কি হল বলে দিলে আর বইটা পড়ার দরকার হয় না, তাই এটুকুই থাক।
ক্লাইভ কাসলারের অন্যান্য লেখার মত এটিও যথেষ্ট সংঘাত ও উত্তেজনায় ভরা। এই বইটি থেকে একটি সিনেমাও হয়েছিল, কিন্তু সেটি তেমন সাড়া জাগাতে ব্যর্থ হয়েছিল।
রিভিউটি লিখেছেনঃ
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।