বইয়ের নাম _ প্রেতবাহনার মুন্ডু
লেখকের নাম_ তিতাস দাস
জনরা _ অতি প্রাকিতিক ভৌতিক তন্ত্র
উপন্যাস
পৃষ্ঠা _ ৬৫
আজকে আমি আলোচনা করবো আমার খুব প্রিয় একজন লেখকের একটি ছোটো উপন্যাস নিয়ে।
যা পাঠ করার পর আমার মুখ থেকে একটি কথা বার হতে লেখক তার লেখনী মাধ্যমে বার করেছে সেটি হলো অপূর্ব সুন্দর।
বইটির শুরু থেকেই এক টানটান রহস্য আর ভৌতিক ঘটনা ও অতিপ্রাকৃতিক ঘটনা লেখক উল্লেখ করেছেন তা রহস্য ভরপুর।
পরেশ বাবু হঠাৎ সাপের কামড়ের ফলে মারা গেলে তাঁকে নিয়ে আসা হয় বীরভূম জেলার একটি অতি প্রাচীন শশ্মানে।
কিন্তু তার দাহকর্য চলা কালীন তিনি আস্তে আস্তে তার চিতা থেকে উঠে আসেন।ও তার সারা দেহে জায়গায় জায়গায় হাড় বেরিয়ে পড়েছে রক্ত আর মাংস।ওহ চিত হয়ে দুই হাত ওহ পা এর মাধ্যমে উল্টো ভাবে সেই চিতা দিয়ে উঠে পালিয়ে যায়।কি এমন ঘটলো তার সাথে ? কেনো তার এমন পরিণতি হলো? শুধু যে তার সাথে এমন ঘটনা ঘটলো এমন না তার পড়ে সেই পাড়ার বসবাস করা তাঁতি নগেন সাপুই বুকের ব্যাথার ফলে মারা গেলে তাঁকে নিয়ে তে ঘটনা ঘটলো তা আরো ভয়াবহ ও রোমহর্ষক।
কি এমন হলো তার জন্য কোন মৃত দেহ শশ্মানে নিয়ে আসলে তাদের ভয়াবহ পরিনীতির শিকার হতে হচ্ছে?
কাহিনীর অন্যদিকে সেই গ্রামের একটি চায়ের দোকান সন্ধ্যা বেলায় গল্প গুজব করতে দেখি আমাদের গল্পের নায়ক বিশু ঠাকুর ওরফে বিশ্বেশ্বর ভট্টাচার্য কে।
তিনি তার সাথে ঘটে চলা চলা সব কাহিনী সেই সব শ্রোতা দের শোনান আর তাদের সব অতিপ্রাকৃতিক ঘটনার যুক্তিনিষ্ট ব্যাখ্যা করে তাদের বুঝিয়ে দেন।( এখানেই তার সাথে তারা নাথ তান্ত্রিক ও কালিগুনিন কে মনে পড়তে বাধ্য)ওহ সেই আসর এ যোগদান করে এইই গল্পের অন্য একটা চরিত্র মাস্টার মশাই। সেই আলোচনা টে আমরা জানতে পারবো যে বীরভূমের অতি প্রাচীন একটি গ্রামে মৃত্যুর পর বিকৃত রূপ ধারণ করছে সেই সব মৃত দেহ। আর একের পর এক সব শশ্মান গামী সব মৃতদেহ!
আর তাদের হচ্ছে ভয়াবহ পরিনীতি!
অন্যদিকে সেই গ্রামে শতাব্দী প্রাচীন এক নিষিদ্ধ জঙ্গলে রয়েছে ভয়ংকর এক দেবী মূর্তি যার ভয়ে সেই জঙ্গলে কেউ প্রবেশ করে না। সেই দেবীর নাম "প্রেতবাহনা" কে এই দেবী
প্রেত বাহনা ?কেন হঠাৎ এতোদিন পর প্রেত গুলো সব জেগে উটছে? বিশু ঠাকুর সেই গ্রাম এ পৌঁছে ওহ জমিদার এর মুখে জঙ্গল ওহ দেবীর সমস্ত ঘটনা জানতে পেরে স্থির করে যে যেখানে সমস্যা সেখানেই গিয়ে সব সমস্যার সমাধান করবে। বিশু ঠাকুর কি পারবে সেই সব সমস্যার সমাধান করতে?আর সমাধান করলে সেটা করবেই বা কি করে? তাকে তো এক ভয়ঙ্কর অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়তে হবে?আর লড়াই করার মতো তার হাতে সাধন ও সীমিত ও কি কি ভয়াবহ ও সমস্যার মধ্যে বিশু ঠাকুর কে পড়তে হলো আর সব চেয়ে বড় সমস্যা সেটি তো কাহিনী পড়লে আমরা জানতে পারবো কারণ দেবীর টো......
আর বললাম না জানতে হলে আমাদের পড়ে দেখতে হবে তিতাস বাবুর আসামান্য লেখা" প্রেতবাহনার মুন্ডু"
এখানে লেখক এর কথা ধার করে বলছি "আপনার অভিজ্ঞতা কথা যদি আরো শুনতে চাই?!
আমার বিহ্বলতা দেখে বিশু ঠাকুর হেসে বললেন এই তো সবে এলে মাস্টার, সবকিছু কী আর একেবারে শুনে ফেলবে?বলার জন্য আমি তেমন আছি,তেমনি শোনার জন্য তোমরাও।একটা গল্প শেষ হলে তার পেছনে ঠিক আরো একটা এসে পড়ে। গল্প কী অত সহজে শেষ হয়?"
সাধারন পাঠক হিসাবে আমাদের তিতাস বাবুর কাছে পাঠক হিসাবে অনুরোধ এই বিশু ঠাকুর এর পথ থেমে না যায়।
রেটিং _ ব্যাক্তিগত ভাবে আমার লেখকের প্লট লেখনী আর ভয়ের পরিবেশ ওহ দুর্দান্ত ভাবে শেষ করার জন্য আমি ১০ এর মধ্যে ১০ দেবো।
রিভিউটি লিখেছেনঃ
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।