মিনাল মুরালি সিনেমা
Minnal Murali movie
(জং লাগা ঘষঘষে বাক্স, ছেঁড়া সাদাকালো আঝাপ্সা ছবি, কক্ষনো কাউকে না দেয়া এক টুকরো। এর ওপর ভরসা রেখে দাড়ি লম্বা হতে থাকে, চোখ ঘোলা হয়, এরই জন্যে ভেসে অন্ধকারের কাছে চলে যাওয়াই যায়। তারপর একদিন অপেক্ষার ঝুলি থেকে বড়দিনের বুড়ো উপহার হানে।)
অপেক্ষা চোখে চোখ রাখে। গুটি এগিয়ে দেয় আটাশ বছর। পারবে ত?
সে স্মিত হেসে তুলে নিল মাধুকরী পাত্র। শস্যের গায়ে প্রিয়তমার মুখ। শস্যের মুখে দান আঁকা। শূন্য ছাড়া কোন বিকল্প নেই তার।
অপেক্ষার গায়ে শূন্য ছুঁড়তে সাহস লাগে। সে থমকে দাঁড়াতে কোথাও এক কিশোরী ছলকে উঠে বিনুনির মতন। সূতোয় টান পড়ে এখনো। চকচকে চোখ মেলে অবাধ্যতা বলে ফেলে, পারব।
সময়ের গায়ে ধূলো পড়ে। শরীর থেকে খসে যায় বাহুল্যের অর্জন। সময় কখনো আয়না দেখে না- চোখ দুটো দেখে ফেলে যদি। সে'-র গায়ে অনধিকার দাগিয়ে দিতে সময়েরও ভয় ভয় মাঝখানে নিভে যাওয়া ল্যাম্পপোস্ট। দুই ধারে আলো। ওইটুকু ভয়কে যত্ন করা। ভয়ের গায়ে পেন্সিল বুলিয়ে যায় সে। মুখ ফুটে ওঠে। সামনে এসে দাঁড়ায়। এত বছরের শুকনো মাটিতে বসন্ত আসে না। ধূলো উড়ে পুরনো নীরবতার মতন। তবু এক অমোঘ যাযাবর নিশ্চয়তা খুঁজতে বেরোয়।
ভরসার পথে আলো নেই। তাই তাকে নিজে জ্বলতে হয়।
প্রথম ফুলকি সেতুর মতন। তারপর স্রোত। আটাশ বছর আগেও কেউ সাঁতার শেখে নি বলে ডুবে যাওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। তাকে মা বলে ডাকা যেত কি না সে প্রশ্ন জীর্ণ ফ্রেমে দোলে এখনো। কিন্তু পেরেক এখনো ফোটে, ফুলেদের পাশাপাশি।
এবং অপেক্ষা হেরেই যায়। ফুল ঘরে এসে স্মৃতি খোলে। সময় পিছিয়ে পথ করে দেয়। প্রথম স্পর্শ বৃষ্টি হয় নামে।
অবশেষে।
এই গল্পের শেষে কারা যেন নিজের খেয়ালে আগুন জুড়ে দিয়েছে। আগের পাতাগুলো সব পুড়ে যাচ্ছে, সাজানো ঘরদোর সহ।
এই ছাই নিয়ে তুমি কি করতে চাও? প্রলাপ না প্রলয়নাচন?
ক্ষমতা যার নেই সে প্রলাপ করুক। ক্ষমতাবান যদি দ্বিতীয় টি বেছে নেয়...
রাক্ষসের মৃত্যুকামনা ত সবাই করে। কিন্তু খুব কম রাক্ষসের মৃত্যুতেই কাঁদা যায়, তাই না?
অনেক ফুটোফাটা, রিফু, গোলযোগ নিয়েও মিন্নাল মুরলি নিখাদ ভারতীয় প্লটের জোরে বেরিয়ে যায় সসম্মানে। প্রায় তুম্বার এরই মতন। আর? আর আশা করি, খুব আশা করি, অন্য কোন সমান্তরাল বিশ্বে.. ভালবাসার জন্যে নিজেকে বা অন্য কাউকে মারতে হয় না; আর ওই বাড়িটায় আলো জ্বলে, আগুন নয়।
রিভিউটি লিখেছেনঃ SR GTK
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।