মানুষের মাংসের রেস্তোরা
লেখক - মোজাজ্ফর হোসেন
পৃষ্ঠা সংখ্যা - ০৬
অবাক হচ্ছেন পৃষ্ঠা সংখ্যা মাত্র ছয় তাতে আবার রিভিউ। অবাক আমিও হয়েছিলাম, যখন এই ছ'পাতার গল্প শেষ করে ৫০ পাতার ধারণা পেয়েছিলাম। যাই হোক, গল্পে আসি। আচ্ছা, আপনি কখনও মানুষের মাংস খেয়েছেন না কি! আমি জানি এটা খাওয়ার যোগ্য নয়। ভাবুন তো, যদি এই মাংসের বাজারে সবচেয়ে কম দরে মানুষের মাংস পাওয়া যায়, কখনও ফ্রাই, কখনও রেজালা ..... তখনও কি আপনি সেই রেস্তোরায় যাবেন ? সেই রেস্তোরায় না গেলেও এই গল্পটা পড়তে আপনার মন চাইছে এটুকু আমি নিশ্চিত। তাই আরও একটু বিস্তারিত বলি, অনেকগুলো রেস্তোরার মধ্যে একটা রেস্তোরা আছে যার নাম 'নিউ ইউম্যান মিট'। এখানকার বিশেষত্ব হল, এরা শিশুদের মাংস রান্না করে আর ফ্রাইটাও খুব সুন্দর করে। তবে এরা কোনো মৃত ব্যক্তি বা অন্য কোনো পশু প্রানীর মাংস নয়, পুরো তাজা মানুষের মাংস রান্না করে। না, এরা মানুষ খুন করে না, এদের বিরুদ্ধে মামলা হয় না তবুও এরা তাজা মানুষের মাংসের সুস্বাদু রান্না করে। হ্যাঁ, দামটা একটু বেশি। এখন ভাবছেন তো, এটা কীভাবে সম্ভব,এসবের পিছনে রহস্য কি! তাহলে আর দেরী না করে তাড়াতাড়ি পড়ে ফেলুন মোজাজফর হোসেনের লেখা ছোটো গল্প 'মানুষের মাংসের রেস্তোরা'।
-------------
যদি আপনি গল্পের নামকরণ দেখেই ঘৃণা পোষণ করেন তাহলে এ গল্প আপনার জন্য নয়।
রিভিউটি লিখেছেনঃ শুভজিৎ বিশ্বাস (অগ্নিধ্রু)
মনকে স্তব্ধ করে দেওয়া একটি ছোট গল্প। এভাবেও ভাবা যায়, আগে কখনো ভাবিনি, আগে কখনো পড়িনি। মুঠোফোনে বন্দী মানুষ যেভাবে অনুভুতিহীন হয়ে পরছি , সত্যিই কি এমন দিন আসবে! ভাবতেও গায়ে কাঁটা দিচ্ছে।
না, গল্পের নাম দেখে ঘৃণা বোধ হয় নি, তবে একটি জবরদস্ত মোচড় আছে, বুঝতে পারছিলাম, এতখানি যে কিছুক্ষণ এর জন্য বাক্যহারা।
ছোট গল্প, (?) পড়তে বেশি সময় লাগেনা, কিন্তু আমার যেন ঘোর কাটছে না।
পড়বেন না কি একবার!
রিভিউটি লিখেছেনঃ Lina Das
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।