বই: কেউ কেউ কথা রাখে
লেখক: মোহাম্মদ নাজিমুদ্দিন
নববিবাহিতা মিলির ধর্ষন ও খুনের কেসের তদন্ত পড়ে সাব ইন্সপেক্টর এস এম হায়দার ও তার অ্যাসিসটেন্টের উপর। সূত্র ধরে ধরে খুনিকে পেয়ে যায় তারা। খুনিকে ধরে ফেলতেও সক্ষম হয় তারা। মিলির স্বামী মিনহাজের একটিই আবেদন, "ফাঁসি দেয়া যাবে না খুনিকে, তাকে যাবতজীবন দিতে হবে। যাতে মৃত্যুর যন্ত্রনা সে হারে হারে টের পায়।"কিন্তু ক্ষমতার বলে জামিন পেয়ে যায় খুনি। ইন্সপেক্টর হায়দার অনেক চেষ্টারর
পরও আটকে রাখতে পারে না খুনিকে।ঘটে যায় আরোও একটি খুন। বদলে যায় ঘটনার সাথে জড়িয়ে থাকা অনেকের জীবন।
তার প্রায় অনেক দিন পর সেটা নিয়ে একটা বই লিখতে বসে সেই ঘটনা সম্পর্ক এ নতুন কিছু খুজে পান লেখক।আর সেই খুজে পাওয়া জিনিসটাই বই এর মূল টুইস্ট।
বইটা আমি রোমান্টিক ধরে নিয়েই পড়তে বসেছিলাম। এক বন্ধু পড়তে বলেছিল। সেইসময় অনেক থ্রিলার পড়ে পড়ে একঘেয়ে লেগে গেছিল। নাম দেখে বেশ ভালোই লেগেছিলো। পড়তে বসে দেখি থ্রিলার ধাঁচের। কিন্তূ পড়তে পড়তে বুঁদ হয়ে গেছিলাম।এক ফোঁটাও একঘেয়ে লাগেনি।
মাইন্ডব্লোয়িং স্টোরি টেলিং🙏।লেখক কে ধন্যবাদ এতো দুর্দান্ত একটি কাহিনী উপহার দেবার জন্য। মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন লেখক। বেশিরভাগ মানুষ কথা দিয়ে কথা রাখেনা। কিন্তূ এই উপন্যাসের নাম "কেও কেও কথা রাখে" কেনো হলো তা সত্যি একদম শেষের দিকে বোঝা যায়। সত্যিই কেও কেও কথা রাখার জন্য কতদূর যেতে পারে তা বোঝা যায়। হায়দার সাহেবের চরিত্র মন ছুঁয়ে যাবে সবার।
অবশ্যই পড়ুন এই উপন্যাসটি। সময়ের অপচয় মনে হবে না।👍🔥
রিভিউটি লিখেছেনঃ
বই: কেউ কেউ কথা রাখে
লেখক: মোহাম্মদ নাজিমুদ্দিন
রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি সিরিজের পর এই লেখকের অন্য লেখা পড়লাম, সত্যি বলতে ওটা হয়তো অন্য গল্প থেকে inspired হলেও রিসেন্ট সময়ের বেস্ট বাংলা থ্রিলার লেগেছিল, কিন্তু এতে একটু আশাহত হলাম। এখানে একসাথে দুটো গল্প চলছে, এক লেখক এখন তার পুরোনো এক পরিচিতর সাথে দেখা করে তাদের দুজনের জীবনের সাথে জড়িয়ে থাকা একটা খুনের কাহিনী গল্পাকারে লিপিবদ্ধ করে পাণ্ডুলিপি পড়তে দিয়েছে। আর একটা গল্প, সেই অতীতের গল্পটা, যেটা উনি লিখেছেন, উনি পুলিশের SI ছিলেন তখনের। দুটো গল্প একসাথেই চলছে এটার পর ওটা। তবে লেখক যিনি তিনি এত বই ডিটেকটিভ নভেল পড়েও পুলিশ হিসাবে এত বোকা এটা কেমন লাগে, আর ওদিকে ওই পরিচিত রামজিয়ার চরিত্রটিও কেমন লাগে যে ক্রিমিনাল লইয়ার হবে সে এত বোকা, এত অদ্ভুত, সেখানেও লজিক দেওয়া হয়েছে অভিজাত বাড়ির মেয়ে, এসব জানেনা, সেটাও বোকা বোকা লাগলেও সেই 70s-80s এর সময় হিসাবে কোনটা ঠিক কোনটা না আমার আইডিয়া নেই। আর সেরকম গল্পের টুইস্ট বা কিছুই নেই, সেটা অবশ্য শুরুতেই বলা, তাও এতটা বড় করার দরকার ছিল না মনে হলো। কিন্তু পুরোটা পড়ে খারাপ লাগেনি, প্রথম কারণ মোহাম্মদ নাজিমুদ্দিন এর লেখনী, দুর্দান্ত লেখেন, কথায় মাতিয়ে রাখেন, আর তখনকার বাংলাদেশ এর টালমাটাল রাজনীতির কন্টেক্সট। এসবের জন্য বেশ উপভোগ্য, আর কেউ কেউ কথা রাখে বলতে এমন অদ্ভুত কথা রাখা দেখলাম শেষে ভাবিনি।
রিভিউটি লিখেছেনঃ Nandini Biswas
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।