হুল
অরুন চৌধুরী
লর্ড কর্ণওয়ালিস-এর প্রবর্তিত চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে পুর্বতন জমিদারেরা জমিদারী হারাচ্ছিল, এবং নব্য ধনী, ব্রিটিশ প্রভুদের মোসাহেবরা সেই জমিদারীর মালিক হয়ে বসছিল। অতিরিক্ত লাভের আশায় তারা জঙ্গল কেটে জমি চৌরস করতে সাঁওতাল আদিবাসীদের ডেকে বসিয়েছিল, কারন ছিল সাঁওতালদের কোন বাধা বিপদ না মেনে পরিশ্রম করার ক্ষমতা। বিনিময় তাদের হয় অল্প জমি, বা কাজ করিয়ে নিয়ে একেবারে উৎখাত করে দিলেই চলত। আর যাদের জমি দেওয়া হত, জমিদার, মহাজনরা মিলে যেকোন কায়দায় ঋনের জালে জড়িয়ে তাদের বংশানুক্রমিক ক্রীতদাস করে রাখা যেত। এর সাথে ছিল নীলকর সাহেব, ও বিভিন্ন বাজার, গঞ্জ থেকে পন্য কলকাতায় নিয়ে যাবার জন্য তৈরী হতে রেলওয়ে কনস্ট্রাকশনের সাহেবদের অত্যাচার। যার থেকে সাঁওতাল মহিলারাও রেহাই পাচ্ছিল না। এই অবস্থা থেকে সাঁওতালরা সিধো, কাহ্নো, চান্দো, ভৈরব এই চার ভাইয়ের নেতৃত্বে বিদ্রোহের সুচনা করে। এই হুল বিদ্রোহ দমন প্রসঙ্গে স্বয়ং ব্রিটিশরাই লিখে গেছে, বিদ্রোহ দমনের নামে গনহত্যা করা হয়েছিল হাজার হাজার সাঁওতাল বিদ্রোহীদের। কখনো ভুলে যাওয়া উচিত নয় আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অন্যতম অধ্যায়কে।
রিভিউটি লিখেছেনঃ
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।