গৃহদাহ
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
উপন্যাসের কাহিনী ত্রিকোণ প্রেম কে কেন্দ্র করে আবর্তিত। প্রত্যেকটা চরিত্র উজ্জল। মৃণাল, রাক্ষসী দি, রামবাবু, কেদারবাবু, সুরেশের পিসীমা ইত্যাদি। গল্পের মহিম আত্মক্রেন্দ্রিক হলেও সাদা মাটা মানুষ। সুরেশ পরোপকারী আর লোভী। অচলার অচরন বা কর্মকান্ড সব থেকে বেশি লজ্জার বিষয়। ত্রিকোন প্রেমের জন্য প্রধানত দায়ী সে। এখানে তার ব্যক্তিত্ব সে বজায় রাখতে পারিনি। সুরেশেরও একই। কিন্তু প্রথম থেকেই সুরেশ যে তার দেহের প্রেমে পড়ে ছিলো সেটা অচলারও অজানা না। মৃনালের হাসি তামাশাকে কেন্দ্র করে মহিমকে অচলার সন্দেহ। তারপর বিয়ে বহির্ভুত মেলা মেশা সুরেশের সাথে। মহিমের আত্মকেন্দ্রিক দূর্গের ভেতর সে কখনো কাওকে ঢুকতে দেয়নি এটাই তার জিবনের সবচেয়ে বড় সর্বনাশ করেছে। অচলার রাগের প্রধান কারন সে স্ত্রী হওয়া স্বত্বেও একদিনের জন্যও মহিমের সুখ দুঃখের ভাগীদার হতে পারেনি। মহিম, সুরেশ, অচলার ত্রিকোন প্রেম কে ফুটিয়ে তুলতে যা যা দরকার সব কিছুই আছে গৃহদাহ তে। ত্রিকোন প্রেম আর তার পরিনতি, অচলার ট্রাজেডি সব কিছু বইয়ের মাঝে ডুবে রাখার মতো। ত্রিকোন প্রেমের ভয়াবহ জালে জড়িয়ে ২১ বছরেই জীবন থেকে কেমন করে একজন নারীর সুখ, দুঃখ, রঙ সব মুছে যায় একমাত্র গৃহদাহ পড়েই অনুধাবন করা সম্ভব।
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।