📚 চতুর্জালে জ্যোতিষ্ক
✒️ মৌমিতা ঘোষ
🏁 লিপিঘর প্রকাশনা
💲 মূল্য ১৯৯
পৃষ্ঠা সংখ্যা -১৪৪
মাঝে মাঝে যখন মন ছোটবেলায় ডুব দিতে চায়, তখন ছোটবেলাতে পড়া গোয়েন্দা চরিত্র সব থেকে বেশি মনে পরে। গোগোল, পান্ডব গোয়েন্দা আজকাল আর সেরকম মনে ধরেনা, হয়ত বড় হয়ে গেছি তাই।
জ্যোতিষ্ক, বই এর মুখ্য চরিত্র, একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। ফেলুদার ভক্ত, তাই শখে গোয়েন্দাগিরি তে আগমন। তার যোগ্য সঙ্গী, তারি সহপাঠী রাজর্ষি। জ্যোতিষ্ক, তাঁর চারপাশে ঘটে চলা সাধারণ ঘটনা কে ভিত্তি করে সত্যানুসন্ধান চালায় এবং রহস্য ভেদ করে।
বইটিতে ৪ টি নভেলা আছে।
১। রানী রহস্য - এই গল্প দিয়েই প্রথম হাতে খড়ি। বীরভূমে বসবাসকারী এক জাতিস্মর শিশুর এর রহস্যভেদ। একটি নিষ্পাপ শিশু কিভাবে তাঁর বাবার উচ্চআখাঙ্খার শিকার হওয়া থেকে রক্ষা পেলো, তা জানতে গেলে পড়তে হবে।
২) কর্মকারদের কালোজাদু - কালোজাদুর প্রভাব কে কাজে লাগিয়ে এক পরিবার তাঁদের ভিতরের ভাতৃদ্বেষ কে চরিতার্থ করে, এবং তাঁদের রাজনীতির শিকার হতে বসে তাদেরই পরিবারের এক নব দম্পতি।প্রতিবেশীকে বাঁচায় জ্যোতিষ্ক।
৩) স্বর্ণসাপের সন্ধানে - দুই বন্ধু বেড়াতে যায় তাঁদের আত্মীয়বাড়ি। সেখানে চুরি হয় বহুবছর ধরে মনসা পূজার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃৎ একটি সোনার সাপ। যদিও জ্যোতিষ্ক যথারীতি তা সমাধান করে।
৪) ভৌমিক ভিলায় ভয়ংকর -
আসন্ন উচ্চমাধ্যমিক এর জন্যে, arkono case নিতে নারাজ জ্যোতিস্ক, কিন্তু ততদিনে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে। অগত্যা, ভৌমিক বাবুকে ভুতের উপদ্রব থেকে মুক্ত করতে আসরে নামে জ্যোতিষ্ক। কিন্তু তা কেটে একসময় নিজের জীবন নিয়ে একরু ঝুকি দেয় সে, কিন্রু উপযুক্ত প্ল্যানিং এবং আধুনিক ব্যবস্থায় সে প্রতিপক্ষ কে মাত করে।
পরিশেষে বলবো - জ্যোতিষ্ক আমাদের ঘরের ছেলেই। এরুকু ভালোবাসা তাঁর কাম্য। মূলত কিশোর পাঠ্য হলেও বেশ উপদেয়।
প্রচ্ছদ - ভালো লেগেছে
বাঁধাই ও পৃষ্ঠার মান - ভালোই। অনর্থক স্পেস দিয়ে বা ছবি দিয়ে পেজ বাড়ানো হয়নি।
রিভিউটি লিখেছেনঃ
বই ---- চতুর্জালে জ্যোতিষ্ক
লেখিকা ---- মৌমিতা ঘোষ
প্রকাশনা ---- লিপিঘর
এই বইয়ের মুখ্য চরিত্র শখের গোয়েন্দা জ্যোতিষ্ক, তার সঙ্গী তারই বাল্যবন্ধু ও সহপাঠী রাজর্ষি। এরা কিশোর চরিত্র।
বইটিতে চারটি গল্প আছে।
১) রানী রহস্য --- বীরভূমের এক গ্রামে এক জাতিস্মর শিশুর খোঁজ পাওয়া যায়। এই নিয়ে বারবার খবরের কাগজে খবর আসায় জ্যোতিষ্ক কৌতুহলী হয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে রহস্যভেদ করে।
২) কর্মকারদের কালোজাদু --- জ্যোতিষ্কের পাশের বাড়িতে শিউলি জেঠিমার উপর তার ছেলের নতুন বৌ রিমলি কালোজাদু করছে বলে সন্দেহ। জ্যোতিষ্ক গোয়েন্দাগিরি করে রহস্যভেদ করে।
৩) স্বর্ণসাপের সন্ধানে --- রাজর্ষির পিসির বাড়িতে মনসা পুজো দেখতে যায় জ্যোতিষ্ক ও রাজর্ষি। সেখানে যাওয়ার পরে জানা যায় যে একটি সোনার সাপ চুরি গেছে। জ্যোতিষ্ক এই রহস্যের সমাধান করে।
৪) ভৌমিক ভিলায় ভয়ংকর --- জ্যোতিষ্কের বন্ধু সৈকতের বাবার বন্ধু সর্বেশ্বর ভৌমিকের বরাহনগরের বাড়িতে ভূতের উপদ্রব দেখা দিয়েছে বলে তিনি জ্যোতিষ্ককে এই রহস্যের সমাধান করতে অনুরোধ করেন। সামনে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা থাকলেও সর্বেশ্বর ভৌমিকের প্রবল অনুরোধে সাড়া দিয়ে ঐ বাড়িতে গিয়ে রহস্যভেদ করে।
গল্পগুলি একেবারেই সাধারণ। বর্ণনাও সাধারণ, ভাষার উপর ভালো দখল আছে বলে মনে হয়নি আমার। সবমিলিয়ে একেবারেই ভালো লাগেনি।
রিভিউটি লিখেছেনঃ Aritra Sen
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।