ব্ল্যাক করিডর - সমৃদ্ধ দত্ত
করিডোর বিরাট লম্বা। সবজে অন্ধকার। সার ধরা দরজা এক পাশে। সেগুলোর কোন কোনটায় আলোর আভা, কোনটা ঘুটঘুটে।
উঁকি দেয়া যাক..
১. নগদ টাকার কি এমন তাৎক্ষণিক প্রয়োজন, যা দুদিনের মধ্যে ফিরে পাওয়া যায়, অজ্ঞাত থাকে মোটিভ, আসল চোর? অথচ তার খোঁজ করার শাস্তিতে একের পর এক রহস্যমৃত্যু। এটুকুই যথেষ্ট রুদ্ধশ্বাস, আর তার সাথে যদি যোগ হয় স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ম্যাডামের নাম..
২. জয় শ্রীরাম..জয় সীতামাইয়া.. পাকিস্তানের সাথে চুক্তির গভীর রাতে মারা গেলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী সুদূর তাসখন্দে। যাঁর হল না পোষ্টমর্টেম। প্রাথমিক তৎপরতান্তে হঠাৎ চুপ বিদেশ। জনতা সরকারের শেষ চেষ্টা পিষে দিয়ে গেল একখানি ট্রাক...
৩. দিল্লী এসেছিলেন, এয়ারপোর্টে দুটি সুটকেস নিয়ে। বিকেলে ফেরার সময়, দুটোই নেই। কোথায় গেল- উত্তরে কেঁপে যাচ্ছে দেশ। আয়কর দপ্তর, বিভিন্ন দলের নেতা, সেলেব্রিটি, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী - এক দশকে উঠে আসা সমস্ত নাম আচমকা থেমে গেল এক হার্ট এটাকে? শুধু?
৪. একজন যেন অ্যাকশন নায়ক। গোটা মুম্বাই অপরাধজগৎ যার নামে কাঁপে। যাকে নিয়ে বলিউড সিনেমাও করে ফেলে। অন্যজন, না-খেতে-পাওয়া এক প্ল্যাটফর্ম থেকে উঠে আসা অত্যন্ত মেধাবী অপরাধী, যার হাতে সাধারণ থেকে অতি বৃহৎ নেতা, মন্ত্রী.. মানে স্বয়ং ভিলেন। যার বাড়ীতে চার কনস্টেবল চাকর খাটে। এমন নায়ক-প্রতিনায়কে সংঘাতটাইত স্বাভাবিক ছিল, অথচ..
৫. একটি অস্তিত্বহীন নামের কোম্পানি এবং একটি অস্তিত্বহীন আজগুবি যন্ত্র- দিব্যি ডিফেন্স ডিলের অনুমোদন পেয়ে গেল। ঠিক সেভাবেই, যেভাবে তিরিশ বছর আগে একটি ইতালীয় কোম্পানী যুক্তিহীন পেয়ে যায় বরাত... পয়সা। মিডলম্যান। ডিফেন্স ডিলের ফোঁপরা শরীর, যার ছবি আজকেও..
৬. একটি মেয়ের অপহরণের ওপর দুলতে থাকা নোংরা রাজনীতি। এত অন্ধকার যার সামনে কাশ্মীরিয়ৎ এক ফালি রোদ ফেলে যায়। আর দেশের নেতাদের একতা না থাকার সুযোগে, ফাটল শুধুই সাহসী..
৭. আশির দশক থেকে নব্বইয়ের প্রথম জুড়ে, মুম্বইয়ের প্রবাদপ্রতিম সেই ডি-কোম্পানীর আধিপত্য, গুলির লড়াই, দলের ভেতরের উত্থানপতন, রাজনীতি.. এবং অযোধ্যার একটি ঘটনার জেরে ক্রিমিনাল জগতেও ধর্মীয় বিভাজন এসে পড়া। একবিংশ শতক অব্দি ছড়ানো এই অধ্যায় শেষে নিজেকে কেমন মহাকালের মতন এক দর্শক লাগে; যে জানছে শেষের দিন সকলেরই অসহায়..
৮. প্রথম রড দিয়ে মাথা ফাটানো। এরপর হৃৎপিণ্ডে ছুরি। তারপর চোখ খুবলে নেয়া। শরীর নগ্ন করে, শেষে লাথি মারতে মারতে শরীর টাকে ড্রেনে ফেলে দেয়া। সঙ্গীর শরীর ততক্ষণে টুকরো টুকরো করে আগুন জ্বেলে দেয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসখ্যাত সে হোলির দিন। লোকাল পুলিশ, মাফিয়া এবং রাজ্যের তাবৎ নেতার অপরাধী স্বার্থে আঘাত দেবার সাহসের পরিণাম..
৯. চীন সরকার, কেএমটি, এবং সিআইএ। প্রধানমন্ত্রীর জীবন বাঁচানোই যদি লক্ষ্য হয়; এভাবে বাকিদের কেন.. এক চির রহস্য হয়েই রইল ক্ষমতার লড়াইয়ের অন্দর, প্রকৃত দোষী, ঘটনাক্রম- যার মাঝে ঢুকে গেল ভারতের এক হতভাগ্য প্লেনের নাম..
১০. বিদ্বেষ এমন এক ভাইরাস যারা বড্ড তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে যায় দেশের তুখোড় মগজসমূহের অন্দরেও। আর তার মোকাবিলায় বিশ্বাসের কৌশল নিয়ে এগিয়ে আসে প্রখরতর কোনো মস্তিষ্ক... '৯৩ বিস্ফোরণে ভারতের আন্ডারকভার উত্তর।
১১. গরীবদরদী ডাক্তার, সমাজসেবী, দুর্নীতিরোধী লড়াইয়ের মুখ, প্রকৃতিপ্রেমী, স্নেহশীল পিতা, বিশ্বস্ত স্বামী.. তবে আমাদের সমাজের বেশকিছু গর্ত আছে যে। দণ্ড দেয়া হয়ে গেলে তিনি তাদের মাটিচাপা দেন। ওপরে ফুল লাগান। গাছের কষ্ট যে তিনি দেখতে পারেন না...
১২. মুম্বই থেকে দিল্লী হয়ে কলকাতা। ভারত থেকে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল অব্দি বিস্তৃত এক জাল। বিদ্বেষমাখা সব গুজবের আকর্ষণ টেনে নিয়ে যাচ্ছে ধর্মের নামে অন্ধ করে তোলা যুবকদের.. এত মৃত্যুর, এত সন্ত্রাসের শেষে তবু আলো দেখাল কে..?
১৩. উচ্চমাধ্যমিকে আটানব্বই শতাংশ। অল ইন্ডিয়া জয়েন্ট। কলেজে টপার। ইয়াহুর চাকরি। শখ নানা দেশের ভাষা শেখা। সেই শখের বশেই ত আরবি শিখতে যাওয়া... এক উজ্জ্বল কেরিয়ারের হারিয়ে যাওয়া জেহাদি ভীড়ে।
১৪. গোটা বিশ্বের অনলাইন জেহাদে তারই কপিরাইট। দেশে দেশে তার স্ট্র্যাটেজি, তারই আহবানে উত্তাল ইংরাজি শিক্ষিত যুবসমাজ, আগুন সিরিয়া, লেবানন, মিশর, বেলজিয়াম, তুরস্ক, ব্রিটেন, বাংলাদেশ সর্বত্র ছড়িয়ে যাচ্ছে.. কে এই সর্বশক্তিমান? লিবিয়ান, ইয়েমেনীয়, ইরাকী?... তবে তার উচ্চারণ কেন বাঙালী ধাঁচ...
১৫. এক এক এক। এক দুই তিন। কি হতে পারে কোড? এভাবে কি মেলানো যায়? সময় ফুরিয়ে এল, হঠাৎ মাথায় বিদ্যুৎ - শুভসংখ্যা.. একটা ব্রিফকেসের সাথে খুলে গেল স্বাধীন ভারতের হিংস্রতম স্ক্যাম.. যার আভাস পাবার একমাত্র শাস্তি মৃত্যু- এমনকি রাজ্যপালের ছেলে হলেও..
১৬. দিল্লীর ফুটপাতে এক ফলের রসের দোকানীর ছেলে, যে নিজস্ব আলোআঁধারি ব্যবসাবুদ্ধিতে গোটা দেশের সঙ্গীত এবং সিনেমাজগতের চির-আইকন হয়ে গেল- এক রূপকথার উত্থানের শেষ প্রকাশ্য মন্দিরে আঠারোটি গুলিতে।... কে? উঠেই আসছে বলিউডের একের পর এক নায়ক-পরিচালকের নাম..
১৭. সিংহও বৃদ্ধ হয়। ডায়াবেটিস হয়। চামড়া ঝুলে যায়। ভয় পায়। রাজা অন্য কারো হতে হয়। সিংহের আর দরকার নেই খাঁচা। এভাবে বলার স্পর্ধা রাখা এক কলমকে থামাতে বুলেট! মিডিয়ার ওপর ক্রিমিনাল হামলা? কিন্তু এর পেছনে যখন উঠে আসে আরেক কলমচিরই নাম..
১৮. বোর্ড প্রেসিডেন্ট। বোর্ড চেয়ারম্যান। তাঁরই স্পনসরকৃত টীমের কর্মকর্তা, অফিশিয়াল, প্লেয়ার, আম্পায়ার.. এবং যেকোনো অপরাধের সাথে অনিবার্য ভাবে জড়িত রাজনীতি। কিন্তু এহ বাহ্য। পরদা সরালেই ত সেই একই ডি অক্ষর, যার আঙুলে ঝরে যায় সুনন্দা পুষ্কর কিংবা চিফ ইনভেস্টিগেশন অফিসার বদ্রীশের মতন কিছু নাম...
১৯. বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম বিমান পরিসেবা চল্লিশ বছরে নেমে এল সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় তিনে। এক লিকার ব্যারন সর্বসম্মতিক্রমে হয়ে গেলেন এমপি। সময়ে সময়ে দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রশ্রয়ে বাধ্য হয়ে দেউলিয়া সংস্থাটিকে লোন দিয়ে গেছে সকল ব্যাংক। ২০১২ থেকে যাঁর কর্মচারীদের বেতন বন্ধ, লা মার্টিনিয়ারের সেই প্রাক্তনী অনায়াসে ২০১৬ সালে উড়ে গেলেন এই কর্পোরেট গণতন্ত্র ছেড়ে...
২০. সাড়ে চারটেয় সাংবাদিক সম্মেলন। কি বিষয়? আইপিএল টীমের অবৈধ ইকুইটি নিয়ে 'ভারতের কয়েকজন ক্রিকেটার' এর নাম ঘোষণা? পাকিস্তানি সাংবাদিক বা আইএসআই এজেন্টের সঙ্গে স্বামীর সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলা? উত্তর জানা গেল না। সাড়ে চারটের আগেই চিরঘুমে চলে গেছেন কাশ্মীরের উচ্চাকাঙ্ক্ষী মেয়ে সুনন্দা। ঘাড়ে বারোটি ইনজুরি, খানকয়েক সিরিঞ্জ, বিষক্রিয়া, আত্মহত্যা, স্বামীর ষড়.. এসবের সাথে যুক্ত হল তিনজন দুবাইয়ের ব্যক্তির নাম, যাদের নামে কোনো পাসপোর্টই আদৌ ইস্যু হয় নি...
২১. মুম্বইয়ের প্রগতিশীল, শিক্ষিত, আধুনিক পরিবারের চার ইঞ্জিনিয়ার ছাত্র খিলাফতের স্বপ্নে বিভোর হয়ে চলে এল ইরাক। আত্মঘাতী বাহিনী। ব্যর্থতা এবং বুলেট বুকে ক্যাম্পে ফিরে.. ফেরা? সে যে মৃত?.. প্রেমিকা বলে কেউ নেই। সেও হয়ত তার মতন কোনো ছেলে!.. ব্ল্যাক করিডোর হারানোর জন্যেই। তবু, কেউ কেউ ফিরে আসে। দেশে, আলোয়...
২২. কিডন্যাপার রা হিন্দি জানে। মালয়ালম জানে না.. প্রতি ফোনে হিন্দির ফাঁকে মালয়ালম গুঁজে ইনফরমেশন দিয়ে যাচ্ছেন অপহত আবুধাবির ব্যবসায়ী।.. সিবিআই দিল্লী পুলিশের মিলিত সেরা দল। গল্প? সিনেমা?.. তীব্র একশনের দিল্লীর গলিপথ..
২৩. পকেটে পিস্তল। হাতে শায়েরীর খাতা। দক্ষিণ মুম্বইয়ের এক ছোটো লাল ঘর ভরে যাচ্ছে অন্যসুরে।.. এবার দুজন বেরোবে অভিসারে।.. গাড়ি থামবে। তারপর.. মুম্বইয়ের রাস্তায় প্রকাশ্যে খুন হয়ে যাবে যে লোকটা, তার পরিচয় স্বয়ং দাউদ ইব্রাহিমের বড় ভাই!.. বদলার ভয়ে কেঁপে যাচ্ছে মহারাষ্ট্র থেকে গুজরাটের প্রশাসন..
২৪. সেই ত বাচ্চা ছেলে। দেশী মদ স্কুল ব্যাগে পুরে পাচার করত যে অসীম সাহসে। সাহস.. স্বয়ং দাউদকে সরাসরি গুলি, গুজরাটের ডন হংসরাজের বিখ্যাত রাধিকা জিমখানা কিলিং, রাজ্যসভার এমপি খুন.. এই লম্বা সাহসের লিস্টে হয়ত একটাই হিসেব ভুল ছিল। ফের দাউদ, আই এস আই, মুজাহিদিন, পাকিস্তান- যে প্রত্যক্ষ রুটে অভিশাপ এসেছিল ১৯৯৩ এর মুম্বইয়ে.. ভারতবর্ষের ইতিহাসে প্রথম নিখুঁত কল মনিটরিং এর রইসকাহিনী।
২৫. এক সৎমায়ের প্ল্যানে, মেয়ের খুন। যা ঘটছে আকছার। অথচ এক সাধারণ বছর কুড়ির যুবতীর নিখুঁত কার্যক্রমে হতবুদ্ধি আরব, ভারত দুই দেশের সমস্ত ইন্টেলিজেন্স...
২৬. দুজন আইনজীবী এবং একজন রাজনীতিবিদ খুন। এ ত শুরু।.. ম্যাকডোনাল্ডে বোমা। সাইকেল বিস্ফোরণ। ট্রেনে বিস্ফোরণ। সবকিছুর পেছনে যে লোকটি, তার এলাকায় ঢোকা যায় না। সংখ্যালঘু জনতা। থুতু। পাথর.. ভারতের সেরা দুই এনকাউন্টার স্পেশালিষ্ট বনাম এক টেররিস্ট? শিরোনাম হচ্ছে না। এক কমার্স গ্রাজুয়েট ছাত্রের, জেলে বসে, সারারাত জেগে, আইন শেখা- যার সামনে কেঁপে উঠছে বিচারব্যবস্থা, তার সব চোরাপথ...
২৭. বিশ্বকাপের অভিশপ্ত সে দিন। উপমহাদেশের মহাশক্তি হেরে গেল এক নবীন অখ্যাত টীমের কাছে..ইন্টারপোলে ঠিক হল তদন্ত হবে, যে সিদ্ধান্তের বারো ঘন্টার মধ্যে বাথরুমে ভাসল কোচের মৃতদেহ!.. ইন্টারপোলের নির্ভীক তত্ত্ব চাপা পড়ে গেল জামাইকান পুলিশের রহস্যময় নিস্তব্ধতায়, উবে গেল সাক্ষীর অস্তিত্বই.. যেভাবে হয়ে চলেছে আশির দশক থেকে আইপিএল অব্দি। ভারত, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, অষ্ট্রেলিয়া.. রাজনীতিবিদ, সেলেব্রিটি, লেজেন্ড ক্রিকেটারদল, কর্পোরেট..এবং অবশ্যই ডি কোম্পানী- এত বড় গল্পে দুয়েকটা খুন, প্ল্যান ক্র্যাশ থাকতেই পারে..
২৮. যন্ত্রাংশ বিকল হলে, ফেলে দাও.. অপরাধ জগতে, যার অন্য নাম পুলিশে ধরিয়ে দাও। রিভার্স ডাবল এজেন্ট। দাউদ।.. এবং একটি ফেলে আসা স্কুটার। লাভ? অন্ধকার জগতে?...
২৯. দেশের সেরা দুই বিজ্ঞানীকে, চাবকে, রড দিয়ে পিটিয়ে স্বীকার করানো হচ্ছে তারা পাকিস্তানের চর!.. অপরাধ? ভারত নিজের লঞ্চপ্যাড তৈরী করবে যে।.. অন্যের ব্যবসায়িক স্বার্থে আঘাত দিতে নেই। আইবি থেকে কেরল পুলিশের অন্দরে, কাদের যেন করাল থাবা সর্বত্র, তাই হয়ত পরমাণুবোমার গবেষণা থমকে যায় এক প্ল্যান ক্র্যাশে; দেশের সেরা মহাকাশবিজ্ঞানী আচমকা চলে যান, অথচ তার কোনো হার্টের রোগই ছিল না..
৩০. নিজের মতন ভাবতে পারা যন্ত্র বিপজ্জনক। বিরোধীর কাছেও। স্রষ্টার কাছেও।... তাদের কাছে ধরা পড়েই যায় কাশ্মীরিদের হাতে কাশ্মীরীর রক্ত, সন্ত্রাস অগ্রাহ্য করা লোকের ভোট দিতে যাওয়া লাইন, মলিন মুজফফারবাদের পাশে মিষ্টি শ্রীনগর, জেহাদের ডাকনাম কিছু নির্দিষ্ট পক্ষের সুবিধাবাদ... এক আলোয় ফিরতে চাওয়া প্রেম। কিন্তু শান্তি চাইবার স্পর্ধা যে বেইমানী...
৩১. চরম দারিদ্র্য? দেওয়াললিখন, কমিকস, সভা, প্রার্থনা.. যেভাবে সম্ভব, শিশুকালের প্রতিটি বিন্দুতে মাথায় ঢোকানো বিদ্বেষ? ধর্ম..? পাক আর্মি? দাউদ? নাকি ভারতীয় ইমিগ্রেশনের দায়িত্বহীনতা? সমুদ্রতট নিরাপত্তাহীন? কার দোষে মুম্বইয়ের সন্ধ্যা ভেসে যায় দেশের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডে?.. এত প্রশ্নের মাঝে একটা ফোন। ভারত, এত বিদ্বেষের ভারতে, স্বার্থে বানানো দুই বন্ধুর জন্য, তবু..
ছাপার ভুল আছে ২৪, ২৫ এ কিছু। এ ছাড়া অদ্ভুত রকম নিখুঁত।
আগেপরের অনেক কাহিনী ইন্টারলিংকড। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও, এই অবিন্যস্ততার একটা আলাদা আর্ট আছে। একঘেয়ে লাগে না, এবং ভুলতে দেয় না। বেশ উপন্যাস ভাব জাগে মনে। দোষ? তা আছে। ভারী আঠালো বই। হাতে নিলে ছাড়তেই পারবেন না, যতক্ষণ না মাথা ধরে যায়।
রিভিউটি লিখেছেনঃ SR GTK
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।