বই - বারপুজো
লেখক - গৌতম ভট্টাচার্য
গল্প আবর্তিত হয়েছে অর্চিত মুখার্জী, ময়দানের একজন ফুটবল কোচকে ঘিরে বা বলা ভাল তার ফুটবলের প্রতি অদম্য প্যাশনকে ঘিরে। কিভাবে সে নিজের ফুটবলার হওয়ার অপূর্ণ স্বপ্নকে, একজন সফল কোচ হওয়ার মধ্যে দিয়ে পূরণ করে, গল্পের মূল বিষয়বস্তু সেটাই।
গল্পের বেশির ভাগটাই দেখানো হয়েছে ফ্ল্যাশব্যাকে, যেখানে অর্চিতের কোচিং জীবনের ওঠাপড়া, সঙ্গে দোসর হিসেবে ময়দানের তথাকথিত ছোট ফুটবল দলগুলোর দলগঠনের পদ্ধতি, বড় দলের সামনে জায়েন্ট কিলার হয়ে ওঠা, নোংরা ময়দানি রাজনীতি, কোচিং স্টাফদের ক্লাবের কর্তাদের বশংবদ হয়ে থাকতে বাধ্য করা,দালালচক্র, সর্বোপরি আন্তর্জাতিক ফুটবলের তুলনায় বাংলার ফুটবলের দৈন্যতা লেখক সুচারুভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
প্রসঙ্গত বইটি যে ঘরানার, বাংলা সাহিত্যে সেই ঘরানার অবিসংবাদী সম্রাট মতি নন্দী, কিন্তু লেখকের নিজস্ব লেখনশৈলীর গুণেই বইটি স্বতন্ত্র হয়ে উঠেছে।
ব্যক্তিগত রেটিং - ৮/১০
রিভিউটি লিখেছেনঃ ROY'S
বারপুজো
গৌতম ভট্টাচার্য
অনেক দিন পর ক্রীড়া বিষয়ক উপন্যাস পড়লাম। লেখক নিজেই ক্রীড়া সাংবাদিক তাই একটু বেশি আশা করেছিলাম কিন্তু উপন্যাস পড়ার পর কিছুটা হলেও হতাশ। যদি ও উপন্যাসের ট্যাগ লাইন টি উপাদেয় "পথিক তুমি কি প্যাশান হারাইয়াছো" উপন্যাসের বিষয় কলকাতার ফুটবল। কলকাতার ফুটবলের কর্মকর্তাদের অপেশাদারিত্ব গট আপ অর্থ ইনকাম এর তাগিদে নাম কা ওয়াস্তে ক্লাব টিকিয়ে রাখা প্রভূত লেখায় আসলে ও কিসের যেন অভাব যেটা মতি নন্দীর লেখায় পেতাম। তাই বলি মন ভরল না।
রিভিউটি লিখেছেনঃ Abhijit Mondal
Review
বারপূজো - গৌতম ভট্টাচার্য্য
Match report বা article এর মতই ঝরঝরে গদ্য। সাবলীল কাহিনি বিন্যাস। কলকাতা ময়দানের আলোআঁধারী অংশ, আশাভঙ্গ,বিশ্বাসঘাতকতা, সম্পর্ক তুলে ধরার মুন্সিয়ানা প্রয়াত শ্রী মতি নন্দি মহাশয় কে মাঝেমাঝে ই মনে পড়ায়। সঙ্গে তথ্যসমৃদ্ধ কিন্তু তথ্যভারাক্রান্ত নয়। তবে সমগ্র কাহিনি টি তে প্রয়াত প্রবাদপ্রতিম ক্রীড়াসাংবাদিকের বিখ্যাত উপন্যাস টির ছায়া স্পষ্টতই রয়েছে।
(last but not the list ওনার লেখনী বড় Positive vibe দেয়। আরো উপন্যাস লিখলে মনে হয় প্রবাদপ্রতিম শ্রী মতি নন্দি মহাশয় এর প্রভাব টুকু থাকবে না।
*এটুকু একেবারেই ব্যক্তিগত মতামত 🙏)
7.5 out of 10
রিভিউটি লিখেছেনঃ Dodon
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।