বই - অচেনা স্রোত
লেখক - কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়
গল্পটি 2017 সালে আনন্দবাজার পত্রিকার রবিবাসরীয়তে ধারাবাহিক ভাবে ছাপা হয়। এখানে গল্পের নায়ক প্রিয়তোষ। তার পুত্র পিকলু ও পুত্রবধূ আমেরিকায় থাকে। তার একমাসের নাতিকে দেখতে প্রিয়তোষের বউ এখন আমেরিকায়। এদিকে বাড়ি প্রমোটিং হবার জন্য সে এখন নিজের মুক্তরামবাবু স্ট্রিটের বাড়ি ছেড়ে ছেলের রাজারহাটের ফ্ল্যাটের বাসিন্দা। ছয় মাস পর তিনি আমেরিকায় গিয়ে নাতির দেখভাল করবেন ও তার বউ দেশে ফিরে আসবে। এখন এই রাজারহাটের আবাসন ও সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে বিভিন্ন সম্পর্কের টানাপোড়েন ও ফ্ল্যাটের কমিটি করা নিয়ে যে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির দড়ি টানাটানি ও কাদা ছোড়া-ছুড়ি তা লেখক অত্যন্ত মুন্সিয়ানার সঙ্গে তার লেখায় ফুটিয়ে তুলেছেন। তিনি দেখিয়েছেন কিভাবে ঋষিতা-রৌনক, টিটান-টুইটি দের জীবন তাদেরই অভিভাবকসমরা নষ্ট করে দিচ্ছে। এদিকে আবাসনের কমিটির পদাধিকারী হবার জন্য যুযুধান দু তরফ থেকেই প্রিয়তোষ কে লৰস্তাব দেওয়া হয়। যদিও তার এসব একেবারেই ভালো লাগে না। এখানে আসার পর প্রিয়তোষের গল্প অপেক্ষা কাগজে রবিবারের পাতায় ছাপা হয়। যা পড়ার পর তার ভাগ্নি ঈপ্সিতার এক ফেসবুক ফ্রেন্ড কস্তুরী প্রিয়তোষকে ফোন করেন। কথা বলতে বলতে প্রিয়তোষ, কস্তুরীর প্রতি টান অনুভব করেন। কিন্তু এরপর হঠাৎ কস্তুরী আর প্রিয়তোষের ফোন ধরে না। টুইটি কে সিসি ক্যামেরায় প্রতি রবিবার পাশের বিল্ডিংয়ের ছাদে যেতে দেখা যায়। ইতিমধ্যে প্রিয়তোষের আমেরিকায় যাবার সময় এগিয়ে আসে।
প্রিয়তোষ কি কস্তুরীর সাথে কথা বলতে পারবেন? টিটান-টুইটি, রৌনক-ঋষিতার সম্পর্ক কি সোসাইটির নোংরা পলিটিক্স কে হারিয়ে পূর্ণতা পাবে?
জানতে গেলে পড়তে হবে অচেনা স্রোত। কমবয়সী এবং বেশিবয়েসী সব ধরনের মানুষের জীবনের ক্রাইসিস নিয়ে লেখা অচেনা স্রোত পড়তে আশা করি ভালোই লাগবে।
রিভিউটি লিখেছেনঃ SOMENATH BOSE
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।