তিনটি ইঁদুর অন্ধ by সায়ন্তনী পূততুণ্ড Tintey Indur Andha by Sayantoni Putatunda

তিনটি ইঁদুর অন্ধ by সায়ন্তনী পূততুণ্ড Tintey Indur Andha by Sayantoni Putatunda

তিনটি ইঁদুর অন্ধ 
সায়ন্তনী পূততুণ্ড 

লেখিকা সায়ন্তনী পুততুণ্ড এর অধিরাজ সিরিজ এর "সর্বনাশীনি" প্রথমে পড়েছিলাম এবং মুগ্ধ হয়েছিলাম। তারপর তার লেখা "বহুরূপী" ও "চুপি চুপি আসে" পড়েছি। এই বই গুলো ভালো লেগেছিলো, তাই তিনটি ইঁদুর অন্ধ লেখা টিও পড়া শেষ করলাম। তবে আমি হতাশ হয়েছি। গল্পটি তে তিন জন সন্ত্রাসবাদী একটি মানসিক চিকিৎসা কেন্দ্র তে কিছু রোগীদের ও ডাক্তার কে বন্দী বানিয়ে রাখে। সেখানে সন্ত্রাসবাদীদের মগজধোলাই কিভাবে করা হয়েছে তার একটি সুন্দর বিশ্লেষণ লেখিকা দিয়েছেন আর তার বিপরীতে ডাক্তার ঘোষ এর চিন্তাধারা কিভাবে তাদের আকার যুক্তি কে খন্ডন করছে,  ও তাদের অন্ধকার থেকে আলোর জগতে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছেন এই মানসিক টানাপোড়েন ভালো বর্ণনা করেছেন। তবে কমান্ডো দের প্ল্যান ওফ অ্যাকশন ও বন্দুক গুলির লড়াই এর বর্ণনা একেবারেই জমেনি। অনায়াসে সেই জায়গা গুলো ছোট করা যেত। দুই এক পাতা স্কিপ করলেও গল্পের স্রোত থেকে হারিয়ে যাওয়া হয় না। 

সর্বোপরি যারা স্কুল বা কলেজ পড়ুয়া, তাদের ভালো লাগতে পারে। তাছাড়া একবার পড়ার মত বই।  
মতামত ব্যক্তিগত। 

রিভিউটি লিখেছেনঃ নিলয়।

review

📚 তিনটি ইঁদুর অন্ধ
🖋️ সায়ন্তনী পুততুন্ড
🖨️ মিত্র ও ঘোষ
💶 200 টাকা

"তিনটি ইঁদুর অন্ধ 
জানলা কপাট বন্ধ 
বন্ধ ঘরে তারা 
ছুটে ছুটে সারা "

সায়ন্তনী দির লেখা এটা আমার পড়া দ্বিতীয় উপন্যাস উপন্যাস, এর আগে জিঙ্গল বেল পড়েছিলাম অদ্ভুতরকম সুন্দর লেগেছিল। তাই বইমেলা থেকে এটা সংগ্রহ করি। উপন্যাস টির মূল ভিত্তি বর্তমান কালের মৌলবাদী তথা ধর্মান্ধ বনাম সাধারণ মানুষ এর সংগ্রাম। উপন্যাস শুরু হয় কতক গুলি বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসা জঙ্গিদের সঙ্গে পুলিশ এর লড়াই এর দৃশ্য এ। এদের মধ্যে সদ্য কিশোর পেরোনো তিনটে ছেলে পালিয়ে যায়, এবং বাকি রা সেখানেই মারা যায়। এর পর এরা আশ্রয় নেয় এক মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এ, যেখানে তারা ডাক্তার সহ ৬০ জন রোগীকে hostages বানিয়ে প্রশাসন এর উপর চাপ সৃষ্টি করে সেখান থেকে পালানোর ছক কষে। অন্য দিকে মেজর রানা এর নেতৃত্বে এন এস জির টীম অপারেশন শুরু করে। এর পাশাপাশি চলতে থাকে এক মনোবিদ (ড: জ্ঞানরঞ্জন ঘোষ) সঙ্গে  ধর্মান্ধ জঙ্গী ছেলে গুলোর যুক্তি বাদের লড়াই। আর কিছু বলবো না স্পয়লার হয়ে যাবে। কারা শেষ পযন্ত সফল হয় সেটাই দেখার। এই উপন্যাস এ আমার সব থেকে প্রিয় যে প্রিয় চরিত্র টি হলো পলাশ যে নিজে একজন মানসিক রোগী হয়ে সমানে লড়ে গেছে তার অজান্তেই।

সংলাপ  গুলো এখন কার দিনে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক যেভাবে কোন ধর্মান্ধ মৌলবাদী ব্যক্তি সমাজের মানুষের সমানে মগজ ধোলাই করে যাচ্ছে এবং তার সঙ্গে চলছে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার যেভাবে বেড়ে চলেছে আজকের দিনে দাঁড়িয়ে যথেষ্ট প্রাসঙ্গিকতা পেয়েছে। তাই মনে করি এই ধরনের প্লট নির্বাচন ই সবথেকে বড় পজিটিভ পয়েন্ট উপন্যাসটির তার সঙ্গে লেখিকার লেখনী তো রয়েছে। তবে কি সবকিছুই ইতিবাচক ছিল না আমার একটা ব্যাপার ই নেতিবাচক মনে হয়েছে অনেক সময় লেখিকা জঙ্গিদের একটু বেশি ইমোশনাল দিক থেকে দেখাতে চেয়েছেন, যেটা আমার প্রাসঙ্গিক লাগেনি।
রিভিউটি লিখেছেনঃ Sumanta

তিনটে ইঁদুর অন্ধ
সায়ন্তনী পূততুন্ড
  বর্তমান পৃথিবীর এক জ্বলন্ত সমস্যা টেররিজম কে তুলে ধরা হয়েছে। আটজন জঙ্গী বাংলাদেশে হামলা চালিয়ে কলকাতায় এসে গা ঢাকা দেয়, কিন্তু কলকাতার পুলিশ জানতে পেরে তাদের আস্তানায় হানা দেয়। পুলিশের থেকে পালানোর সময় পাঁচজন মারা যায় এবং বাকি তিনজন ঢুকে পড়ে "সুস্থমন"। নামক মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে ডাক্তার রোগী সহ ষাটজনকে তারা পণবন্দি করে রাখে। এক অসাধারণ মানসিক শক্তি বিশিষ্ট চিকিৎসকের সঙ্গে শুরু হয় টেররিস্ট নেতার মানসিক সংগ্রাম। অন্যদিকে বন্দিদের উদ্ধারকার্যে নেমে পড়ে এন.এস.জি।
     মৌলবাদ বা ধর্মান্ধতা কে লেখিকা খুব নিপুণ ভাবে তুলে ধরেছেন, বুঝিয়ে দিয়েছেন মানবিকতার থেকে বড় ধর্ম কিছু নেই। এই উপন্যাস এতটাই টান টান ও উত্তেজক যে শেষ পর্যন্ত না পড়ে থামা যাবে না।

রিভিউটি লিখেছেনঃ Swarnali

Post a Comment

0 Comments