নাম : সভ্যতার জন্ম
লেখক : উইল ডুরান্ট
ভাষান্তরকারী : কিউ. এন. জামান
ধরণ : ননফিকশন, দর্শন, ইতিহাস
প্রকাশনী : বাঙলায়ন
মূল্য : ৳২০০
দেশ : বাংলাদেশ
সমাজের সাংস্কৃতিক বিকাশই হলো সভ্যতা। এই সভ্যতার প্রাগৈতিহাসিক সূচনা কী? সমাজ কিভাবে তৈরি হলো? রাষ্ট্র, আইন, প্রথা কে বানালো? যদি মানুষই বানিয়ে থাকে তাহলে নিজসৃষ্টের কাছে নিজেই কেন মস্তকাবনত?
অতীতের সাথে বর্তমানের একটা বিচ্ছিন্নতা কিন্তু লক্ষণীয়। মিশরীয়রা জানে না কেন তারা পিরামিড তৈরি করেছিল। আবু সিম্বেলের মন্দিরের গায়ে যা লিখা আছে তা আজ তারা নিজেরাই পড়তে পারে না। কেন এই বিচ্ছিন্নতা? কেমন করে নিজের ইতিহাসই নিজের কাছে অজ্ঞাত হয়ে যায়?
উপরোক্ত প্রশ্নাবলী সিরিয়াসলি নিয়েছি কখনো? এখানেই আমরা আর দার্শনিকের মধ্যে তফাৎ। দার্শনিক হবার জন্য যে ভালো জিনিসটি দরকার তা হলো বিস্মিত হওয়ার ক্ষমতা। পৃথিবীর প্রতি অতি অভ্যস্ততার কারণে অধিকাংশের ওই ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে পৃথিবীর আলো-বাতাসের মতোই এসব স্বাভাবিক বলে মনে হয়। মনেই হয় না এসব সম্পর্কে যে প্রশ্ন উত্থাপিত হতে পারে। কিন্তু দার্শনিকরা ভিন্ন মৌলে গড়া। তাঁরা এসব প্রশ্ন নিয়েই মাথা ঘামান। তেমনই একজন, উইল ডুরান্ট। দর্শনে ডক্টরেট। কিন্তু এসব ডিগ্রি তাঁর কাছে মুখ্য নয়। মুখ্য হলো, মানুষের স্বভাব বোঝা, জীবনে দুর্গতি কমানো আনন্দ বাড়ানো । আর এই লক্ষ্যে তিনি দর্শন শেখানোর কাজে ইতিহাসকে উদাহরণ হিসেবে প্রয়োগ করেন। এজন্য তাঁকে কখনো ইতিহাসবিদ বলেও স্মরণ করা হয়।
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।