শোণিত উপাখ্যান: অতীত
সৈয়দ অনির্বাণ
শোণিত উপাখ্যান ট্রিলজির দ্বিতীয় বই এটি।
ইতিহাস কথা বলে – বিজয়ীদের কথা। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় – অতীত গৌরবের সাক্ষ্য। কিন্তু কালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়া ঘটনাবলির কতটুকু তাতে অটুট থাকে?
বর্তমান-এ বর্ণিত কাহিনীর ব্যাখ্যা পেতে যেতে হবে অতীত-এ, জানতে হবে মহাকালের স্রোতে হারিয়ে যাওয়া সেই সব ঘটনাবলি যার ফলশ্রুতিতে ঢাকার বুকে আজ জমে উঠেছে এক অতিপ্রাকৃত নাটক।
প্রথম বইটির রিভিউ আগেই দেওয়া হয়েছিলো। এই বইটি হলো ট্রিলজির দ্বিতীয় পার্ট। প্রথম বইটির তুলনায় দ্বিতীয় বইটিতে কাহিনী কিছুটা অতীতে পিছিয়ে যাবে এবং আমরা অবগত হবো বেশ কিছু অতীতে ঘটে যাওয়া কাহিনীর। বইটিতে কাহিনীকে মূলত তিনটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে-
সুদূর অতীত: যেখানে বর্ণিত আছে এমন অনেক ঘটনা যার কোন লৌকিক ব্যাখ্যা দেয়া যায়নি। ইতিহাস ভুলে গেছে সেই সব ঘটনাকে। কিন্তু সেই সব ঘটনার অন্তরালে রয়ে গেছে অনেক না বলা কথা। আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট, আটিলা দ্য হান, চেঙ্গিস খান বা মোঘল সম্রাট বাবরের জীবনে জড়িয়ে আছে এমন অনেক ঘটনা। জানতে হবে সুদূর অতীতে ঘটে যাওয়া বীর যোদ্ধা বাঘাতুর এবং শোণিত মন্দিরের পুরোহিত অবলোহিতের মধ্যে ঘটে যাওয়া ঘটনা। এসবের সঙ্গে শৈলেন ভট্টাচার্য্যরই বা কিসের সম্পর্ক।
পিশাচের গ্রাম: এই অংশে বর্ণিত হয়েছে অবলালের কাহিনী। একজন পিতৃ-মাতৃহীন ছোট্ট শিশুর অপরিসীম ক্ষমতা নিয়ে বেড়ে ওঠার কাহিনীর ব্যাপারে অবগত হবে পাঠককূল। ঠিক কি ঘটেছিলো পিশাচ গ্রামে এবং আদৌ কি কেউ বেঁচে ফিরে আসতে পারবে সেই গ্রাম থেকে? একই সাথে থাকে রুমী ও ঝুমুরের জীবনে উঠে আসা ঝড়ের বর্ণনা।
জীবন্মৃত: কে এই ক্যাপ্টেন আন্ড্রিয়াস!! কিই বা তার পরিচয়। অবগত হবো তার সাথে অতিপ্রাকৃত ঘটনাবলীর সাথে মোকাবিলাকারী সংগঠন সাদা হাতের দ্বন্দ্বের কারণ সম্পর্কে। ক্যাপ্টেন আড্রিয়াসের ছায়াতলে কাজ করা তরঙ্গ কিভাবে হয়ে উঠলো অবলাল! বারো বছর আগে মিরানা ও তরঙ্গের মধ্যে মনোমালিন্যের কারণ এবং মিরানার রাগ করে চলে যাওয়ার কারণ।
আস্তে আস্তে উন্মোচিত হবে সব ঘটনাবলীর কারণ। সব প্রশ্নের উত্তর রয়েছে রক্তের উপাখ্যানে - শোণিত উপাখ্যান: অতীতে।
রিভিউটি লিখেছেনঃ Syed Ferdous
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।